বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন উত্তর সপ্তম শ্রেণি বাংলা | মাদ্রাসা বোর্ড সপ্তম শ্রেণি বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন উত্তর | Class 7th Bangla Question and Answer High Madrasa (MCQ, SAQ, DAQ ) - Psycho Principal

Fresh Topics

Sunday, 8 June 2025

বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন উত্তর সপ্তম শ্রেণি বাংলা | মাদ্রাসা বোর্ড সপ্তম শ্রেণি বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন উত্তর | Class 7th Bangla Question and Answer High Madrasa (MCQ, SAQ, DAQ )

 

বাংলা ব্যাকরণ 
প্রশ্ন উত্তর



👉(বাংলা প্রবন্ধ ও রচনা সপ্তম শ্রেণি )


১। বাক্য কাকে বলে? বাক্যের কয়টি অংশ ও কী কী?

উত্তরঃ এক বা একাধিক শব্দ পাশাপাশি ভাবে বসে সম্পূর্ণরূপে মনের ভাব প্রকাশ করলে তাকে বাক্য বলে। বাক্যের দুইটি অংশ, উদ্দেশ্য ও বিধেয়।


২। বাক্য গঠনে কী কী বিষয় বিশেষ ভাবে প্রয়োজন?

উত্তরঃ বাক্য গঠনে নিম্নলিখিত বিষয়গুল বিশেষভাবে প্রয়োজন।

(ক) অর্থবহ শব্দ পাশাপাশি বসে বক্তা এবং স্রোতার আকাংঙ্খা পরিপূর্ণ হতে হবে।

(খ) বাক্যের মধ্যে ভাবগত, অর্থগত-র সংহতি এবং অর্থের বিশ্বাস যোগ্যতা থাকতে হবে।

(গ) যথাযথ বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে বাক্যের মধ্যে অবশ্যই একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকবে।


৩। যেটি ঠিক সেটি বেছে নিয়ে লেখা:

(ক) প্রতিটি বাক্যে (দুটি/তিনটি) অংশ থাকে।

উত্তরঃ দুইটি।


(খ) যাকে লক্ষ্য করে বলা হয় তাকে (বিধেয়/উদ্দেশ্য) বলে।

উত্তরঃ উদ্দেশ্য।


(গ) প্রথমে বাক্যের (বিধেয়/উদ্দেশ্য) অংশে বসে।

উত্তরঃ  উদ্দেশ্য।


(ঘ) বাক্যে একটি সমাপিকা ক্রিয়া (থাকবে/থাকবে না।)

উত্তরঃ থাকবে।


৪। নীচের পদগুলোকে ঠিক মতো বসিয়ে বাক্য গঠন করো:

(ক) বৃন্তে মোরা হিন্দু এক মুসলমান কুসুম দুটি।

উত্তরঃ মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান।


(খ) মেয়েটিকে অন্ধ রুটি সুমিতা দিয়েছে।

উত্তরঃ সুমিতা অন্ধ মেয়েটিকে রুটি দিয়েছে।


(গ) না সে এসব গ্রাহ্যই করল।

উত্তরঃ সে এসব গ্রাহ্যই করল না।


(ঘ) নেই স্বাধীনতা বিসর্জন করতে দিয়ে কিছু।

উত্তরঃ স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে কিছু করতে নেই।


১। কারক কাকে বলে? উদাহণসহ বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ ক্রিয়াপদের সঙ্গে বাক্যস্থিত বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের অন্বয় বা সম্বন্ধকেই বলা হয় কারক। বাক্যে ক্রিয়ার সঙ্গে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের কোনো নাকোনো সম্বন্ধ থাকে। সম্বন্ধর এই স্বরু পটির সন্ধান মেলে ক্রিয়াকে প্রশ্ন করে।

উদাহণ স্বরূপ -

বাবর রাজদরবারে দরিদ্রদের স্বহস্তে ধন ভান্ডারথেকে অর্থ দান করতেন।

এই বাক্যটিতে ক্রিয়াপদ 'দান করতেন' এই ক্রিয়া পদটিকে পর পর প্রশ্ন করে যে উত্তর পাওয়া যাবে তাতে বাক্যের অন্যান্য পদের সঙ্গে সম্পর্কটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে।


২। কারক কয় প্রকার ও কী কী? প্রত্যেক প্রকারের দুইটি করে উদাহণ দাও।

উত্তরঃ কারক ছয় প্রকার -

i. । কর্তৃকারক, ২। কর্মকারক, ৩। কদরণ কারক, ৪। নিমিত্ত কারক, ৫। অপাদান কারক, ৬। অধিকরণ কারক।

উদাহরণ:

 i. কর্তৃক ফারক: (ক) ফুলবুলিতে ধান খেয়েছে। (খ) মারিয়া কোরান পড়ে।

ii. কর্মকারক: (ক) বুলবুলিতে ধান খেয়েছে। (খ) মারিয়া কোরান পড়ে।

iii. করণ কারক: (ক) শাহীন হাত দিয়ে ভাত খায়। (খ) শিক্ষক খড়ি দিয়ে অঙ্ক করছেন।

iv. নিমিত্ত কারক: (ক) গান্ধিজি দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেন। (খ) অন্ধ জনে দেহ আলো।

v.  অপাদান কারক: (ক) আমি গাছ থেকে আম পাড়লাম। (খ) সে হাঁড়ি হতে ভাত বের করল।

vi. অধিকরণ কারক: (ক) আমরা সারা দিন ধরে বনভোজন করেছি। (খ) বিকালবেলায় রোজ খেলা করি।


৩। অধিকরণ কারক কয় প্রকার ও কী কী? একটি করে উদাহণ দাও।

উত্তরঃ অধিকরণ কারক সাধারণ পাঁচ প্রকার। নিম্নে উদাহরণসহ দেওয়া হল।

i.  কালাধিকরণ হবে। পনের তারিখে পরীক্ষা

ii.  স্থানাধিকরণ - পুকুরে মাছ আছে।

iii. বিষয়াধিকরণ - ধর্মে মতি রাখ।

iv.  ভাবাধিকরণ ফোটে। ভোরে সূর্য উঠলে পদ্মফুল

v. অধিকরণে নিশির-শিশির। পাতায় পাতায় পড়ে


৪। সম্বন্ধ ও সম্বোধন পদ কারক নয় কেন? উদাহণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে যে নাম পদের সম্বন্ধ থাকে না, অথচ অন্য নাম পদের সঙ্গে সম্বন্ধ থাকে, তাকে সম্বন্ধ পদ বলে।

বাংলা সম্বন্ধ পদ কারক নয়। কারণ এই সম্বন্ধ পদের সঙ্গে ক্রিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন -আমি তব গুণপনা হেরি চুপে চুপে।কাহার গুণপনা 'তব' পদটি সম্বন্ধ পদ।

কোনো ব্যক্তিকে যে পদ দিয়ে সম্বোধন করা হয় তাকে সম্বোধন পদ বলে। ইহা কারক নয় কারণ বাক্যের সমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে এর কোনো সম্বন্ধ নেই। যেমন - 'খোদা', আমায় রক্ষা করো।

এখানে খোদাকে ডাকা হচ্ছে তাই খোদা পদটি সম্বোধন পদ। কিন্তু এই খোদা পদটির সঙ্গে বাক্যের অন্য কোনো পদের সম্পর্ক নেই।


৫। এমন একটি বাক্য লেখো যাতে সব কটি কারক আছে। কোনটি কোন কারক তা নির্দেশ করো।

উত্তরঃ বাবর রাজ দরবারে দরিদ্রদের কল্যাণে স্বহস্তে ধন ভান্ডার থেকে অর্থ দান করতেন।


❐। নীচের বাক্যগুলো থেকে অনুসর্গ বেছে নিয়ে লেখো।

(ক) চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগল।

উত্তরঃ দিয়ে, পড়তে।

(খ) বাঘটি ঝোপ থেকে বের হল।

উত্তরঃ থেকে।

(গ) ইহার চেয়ে হতেম যদি আরব বেদুইন।

উত্তরঃ চেয়ে।

(ঘ) সকলের তরে সকলে আমরা।

উত্তরঃ তরে।

(ঙ) আমার উপর তোমার বিশ্বাস নেই?

উত্তরঃ উপর।

(চ) দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় না।

উত্তরঃ বিনা।


1.  সংখ্যাবচক শব্দ কাকে বলে? উদাহণ দাও।

উত্তরঃ যে শব্দ বা পদ গণনাযোগ্য সংখ্যা নির্দেশ করে তাকে সংখ্যাবাচক শব্দ বলে। যেমন - এক, দুই, পাঁচ, দশ প্রভৃতি।


2.  পূরণবাচক বা ক্রম সংখ্যাবাচক শব্দের উদাহণসহ সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ যে সব শব্দ কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যায় অবস্থানকে নির্দেশ করে তাদের বলা হয় পূরণ বাচক। বা ক্রম সংখ্যা বাচক শব্দ।

যেমন অষ্ঠাদশ ইত্যাদি। প্রথম, দ্বিতীয়, পঞ্চম বাক্যে প্রয়োগ সাবিনা পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে।


৩। সংখা বাচক শব্দ ও পূরণ বাচক শব্দের পার্থক্য নির্ণয় করো।

উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা যা গণনার যোগ্য সেই শব্দকে সংখ্যাবাচক শব্দ বলে। যেমন এক, দুই, তিন, চার ইত্যাদি।

কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যার অবস্থান বোঝানো শব্দ হল পূরণ বাচক শব্দ।

যেমন - প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ।


৪। সংখ্যাবাচক শব্দ ও পূরণ বাচক শব্দ বিশেষণর্ পে ব্যবহার করে পাঁচটি বাক্যে গঠন করে দেখাও।

উত্তরঃ সংখ্যাবাচক বিশেষণ:

(ক) তারা তিনজনে কাজটি করল।

(খ) রাজার পাঁচটি সুন্দরী কন্যা ছিল।

(গ) আমরা দুজন ভাই শিবের গাজন গায়।

(ঘ) আমরা পাঁচজনবেড়াতে গিয়েছিলাম।

(ঙ) শিবঠাকুরের বিয়ে হল তিন কন্যে দান।


পূরণ বাচক বিশেষণঃ

(ক) আমিনা পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে।

(খ) সপ্তম শ্রেণিতে আজ ক্লাস হবে না।

(গ) শাহীন দৌড় প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছে।

(ঘ) রমজান দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

(ঙ) কম্পিউটার ছাড়া এক বিংশ শতাব্দী অচল।


৬। কোনটি সংখ্যাবাচক শব্দ এবং কোনটি পূরণ বাচক শব্দ নির্ণয় করো।

উত্তরঃ প্রথম, পঞ্চাশ, ত্রয়োবিংশ, পাঁচের, দশই, বাইশ, চুয়াল্লিশ।

সংখ্যাবাচক শব্দ: পঞ্চাশ, বাইশ, চুয়াল্লিশ।

পূরণবাচক শব্দ : প্রথম, ত্রয়োবিংশ, পাঁচের, দশই।



১। শব্দ কাকে বলে? শব্দ কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ এক বা একের বেশি বর্ণ পাশাপাশি বসে কোনো কিছু অর্থ বোঝালে তখন সেই বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টিকে শব্দ বলে।

শব্দ দুই প্রকার: গঠনমূলক ও অর্থমূলক।



৪। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রবর্তিত নতুন বানান অনুসারে নীচের বাক্যগুলি বানান ঠিক করে লেখো।

(ক) পালকী চলে, পালকি চলে গগণ তলে আগুণ জ্বলে।

উত্তরঃ পালকি চলে, পালকি চলে, গগন তলে আগুন জ্বলে।


(খ) চরকার ঘর্ঘর পড়শীর ঘর ঘর।

উত্তরঃ vচরকার ঘর্ঘর পড়শির ঘর ঘর।


(গ) কানে কানে কী কথা বলছ?

উত্তরঃ কানে কানে কী কথা বলছো?


(ঘ) এ জগতে হায়, সেই বেশী চায় আছে যার ভূরি ভুরি।

 উত্তরঃ এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূ রি ভূরি।


(ঙ) পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসান বুটি।

উত্তরঃ পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।


(চ) দীপার গায়ের রং কাল, কিন্তু সে গান করে ভাল।

উত্তরঃ দীপার গায়ের রং কালো, কিন্তু সে গান করে ভালো।


(ছ) খাঁচার পাখী ছিলো সোনার খাঁচাটিতে।

উত্তরঃ খাঁচার পাখি ছিলো সোনার খাঁচাটিতে।


(জ) আঠার বছর বয়স জানে না কাঁদা।

উত্তরঃ আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা।


(ঝ) স্বদেশী আমলে চরকার সুতো কাটার ধুম পড়ে গিয়েছিল।

উত্তরঃ স্বদেশী আমলে চরকার সুতো কাটার ধুম পোড়ে গিয়েছিল।


(ঞ) খুন করে আসামী গা ঢাকা দিয়েছে।

উত্তরঃ খুন কোরে আসামি গা ঢাকা দিয়েছে।


(ট) বিপদে মোরে রক্ষা কর, এ নহে মোর প্রার্থনা।

উত্তরঃ বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রার্থনা।


(ঠ) আমি কি ডরাই সখি ভিখারি রাঘবে।

উত্তরঃ আমি কি ডরাই সখী ভিখারি রাঘবে।


(ড) খুকির জন্য জামা এনেছি।

উত্তরঃ খুকীর জন্য জামা এনেছি।


(ঢ) সরকারি কাজে বড়োবাবু কলকাতা গেলেন।

উত্তরঃ সরকারি কাজে বড়বাবু কলকাতা গেলেন।


(ণ) ফোটে কী কমল কভু সমল সলিলে।

উত্তরঃ ফোটে কি কমল কভু সমল সলিলে।


No comments:

Post a Comment