👉(শেয়খুল হিন্দ মৌলনা মাহমুদুল হাসান প্রশ উত্তর)
❒ লেখক পরিচিতি: ১৮৯৪ খ্রিঃ ২২ সেপ্টেম্বর বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে। পিতার বাসভূমি বসিরহাটের পানিতার। প্রথমে তিনি শিক্ষকতার বৃত্তি বেছে নিলেও পরে ভাগলপুরে চলে যান ঘোষ এস্টেটের সহকারি ম্যানেজার হয়ে। চাকরি জীবনেও তিনি সাহিত্য চর্চা অব্যাহত রাখেন। জঙ্গল মহলে চাকরি করার জন্য তিনি প্রকৃতিকে ভালোভাবে জানতে পারেন। আরণ্যক, পথের পাঁচালি, অপরাজিত, ইছামতী, আদর্শ হিন্দু হোটেল, চাঁদের পাহাড় ইত্যাদি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ। ১৯৫০ খ্রিঃ এই লেখকের মৃত্যু ঘটে।
❒ বিষয় পরিচিতি: গল্পটি লেখকের 'বোতাম' গল্পের অংশ বিশেষ। এখানে গল্পটির বিষয় হল বিহারের পালামৌ জেলার আদিবাসী নেত্রী চম্পু হো ওরফে এলিশাবা কুই। কুইয়ের স্বাধীনতা সংগ্রামে কাহিনীকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এই গল্পাংশে। তিনি কীভাবে স্বাধীন সরকার গঠন করেন সে বিষয় নিয়েই এই গল্পের অবতারণ্য।
❐ সারাংশ: এলিশাবা কুই যেদিন জেল থেকে মুক্তি পেলেন, সেদিন কয়েকজনের অনুরোধ আমার মোটরটা তাকে আনার জন্য দিতে হয়েছিল। ড্রাইভার না থাকায় আমি নিজেই চালিয়ে নিয়ে গেলাম। জেলের গেটে বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। আমি এলিশাবাকে আমাদের বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম চায়ের নিমন্ত্রণ দিয়ে।
এলিশাবা কুই বন্য আদিবাসী নেত্রী। নামকরা নেত্রী। ১৯৪২-এর আন্দোলনের সময় এখানে একটি স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এঁর নেতৃত্বে। তিন মাস ছিল এই সরকার। সেই সময় খনির মালিক মি. স্পিড সব খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। আমিও স্পিড ও তার ব্যবসার খবর জানতাম। তাকে খুন করে ফেলবে তাই তার-পালানো ছাড়া উপায় নেই। সেই সময় একটা চিঠি দুজন লোক তাকে দিয়ে গেল, লেখা আছে পালাবার চেষ্টা করবেন না। পথে বিপদ হবে। তাই সাহেবের আর যাওয়া হল না, লরি ফেরৎ দিতে হল। মি. স্পিড ও তার মেয়ে রেগে গিয়েছিলেন, তারা অস্ত্র নিয়ে ঘরে বসে রইলেন। তারা এলিশাবার কথা শুনলেন। তাঁর ভালো কাজের কথা শুনে স্পিড বললেন, ইংরেজরাও এদেশে ভালো অনেক কাজ করেছে। এই নিয়ে তিনি হিন্দুদের পূজা নিয়ে ঘৃণা প্রকাশ করলেন। ইতিমধ্যে এলিশাবা দলবল নিয়ে মি. স্পিডের বাড়ি এসে তাকে অভয় দিয়ে চলে গেল। সাহেবের মেয়ে এদের দেখে ব্যাঙ্গোক্তি করল। শর্মার সঙ্গে আলোচনা করল সাহেবের এখানে থাকা যায় কিনা। শর্মাকে পাথরবাসাতে পাঠাল টাকা আনতে। পথে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। আহত হল শর্মা। বাঁচালো এলিশা বার লোকেরা। এই শর্মা সাহেবের আপদে বিপদের ভরসা। এলিশাবা কুই এরকম একটা সরকার তিনমাস চালানোর পর পুলিশের সঙ্গে লড়াইয়ে ধরা পড়ে জেলে গিয়েছিলেন। আজ তাঁর মুক্তি হল।
আমি সকলকে আমার বাসায় আসার আমন্ত্রণ জানালে কিছু সময়ের জন্য রাজি হলেন। চা পর্ব শেষ হলে শুরু হল তাঁকে দেখার জন্য মেয়েদের ভিড়। বলছে অটোগ্রাফ নেওয়া। আমিই তাড়াতাড়ি করে যাওয়ার সময় একটু পরিচয় হওয়ায় জানলাম উনি আমার আগে থেকেই পরিচিত।
❐ নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন:
❐ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
(ক) 'এলিশাবা কুই' গল্পটির লেখক হলেন- (বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়/ তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় / শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)।
উত্তর: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
(খ) এলিশাবা কুই (আলিপুর/রাঁচি/বলিবা) জেলে বন্দি ছিলেন।
উত্তর: রাঁচি।
(গ) মনে পড়ে সেই-(নিকোডিম কারকাট্টা/মিঃ শর্মা/এলিশাবা কুই)
উত্তর: নিকোডিম কারাকাট্টা।
(ঘ) সবাই-(মিঃ শর্মা/লেখক/এলিশাবা কুই)-এর অটোগ্রাফ নিচ্ছিলেন।
উত্তর: এলিশাবা কুই।
❐ শূন্যস্থান পূরণ করো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
(ক) আমি জানতাম না ----- রাঁচি জেলে আছেন।
উত্তর: এলিশাবা কুই।
(খ) সবাই ------ নিচ্ছে।
উত্তর: অটোগ্রাফ।
(গ) ----- তো নয়, ওর নাম ------
উত্তর: এলিশাবা কুই, চক্ষু হো।
❐ বাক্যটির ভুল অংশটি সংশোধন করে লেখো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
(ক) এলিশাবা রাঁচি ও সিংভূমের আদিবাসীদের রানি।
উত্তর: এলিশাবা রাঁচি ও সিংভূমের বন্য আদিবাসীদের নেত্রী।
(খ) পরাধীন গভর্নমেন্টের নেত্রী ছিলেন এলিশাবা কুই।
উত্তর: স্বাধীন গভর্নমেন্টের নেত্রী ছিলেন এলিশাবা কুই।
(গ) এলিশাবা কুই ধরা পড়লেন বাগুন্ডার ঘাটোয়ালি মন্দিরে।
উত্তর: এলিশাবা কুই ধরা পড়লেন বা বাগুন্ডার ঘাটোয়ালি কাছারিতে।
(ঘ) মি. শর্মা খুব রাগি আর চতুর লোক।
উত্তর: মি. শর্মা খুব ভালো আর প্রভুভক্ত লোক।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ (দু একটি কথায় উত্তর দাও) (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
(ক) এলিশাবা কুইয়ের প্রকৃত নাম কী?
উত্তর: এলিশাবা কুইয়ের প্রকৃত নাম চম্পু হো।
(খ) "আমার সঙ্গে তুমিও থাকবে এখানে?"-কে কাকে একথা বলেছেন?
উত্তর: লোবরা অভ্রখনির মালিক মি. স্পিড তার ম্যানেজার মি. শর্মাকে একথা বলেছিলেন।
(গ) এলিশাবা কুইকে কীভাবে অভ্যর্থনা জানানো হল?
উত্তর: অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিশাল জনতা জেলগেটে তাঁকে অভিনন্দন জানান। পরে লেখক তাঁর বাড়িতে তাঁকে নিয়ে এলে শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনি করে, খই ও ফুল ছড়িয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
(ঘ) এলিশাবা কুইকে নিতে জেলের গেটে কে কে উপস্থিত ছিলেন?
উত্তর: জেলগেটে লেখক ছাড়া দু-তিনজনে এম. এল. এ. কংগ্রেস নেতা হরজীবন পাঠক, ব্যবসায়ী নেমিচাঁদ, উকিল প্রভাত রায়, তার জামাই ডাক্তার নীহার মিত্র উপস্থিত ছিলেন।
(ঙ) মি. স্পিড কে? তাঁর ম্যানেজারের নাম কী?
উত্তর: মি. স্পিড হলেন লোবরা অভ্রখনির মালিক আর তাঁর ম্যানেজারের নাম মি. শর্মা।
(চ) আগস্ট আন্দোলন কোন্ সময়ে হয়েছিল?
উত্তর: ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে।
(ছ) এলিশাবা কুই কোথায় ধরা পড়লেন?
উত্তর: এলিশাবা কুই ধরা পড়লেন বাগুন্ডার ঘাটোয়ালি কাছারিতে।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-২/৩)
(ক) "আজকার ব্যাপারটি যা ঘটল, তা আমার পক্ষে বেশ একটু আশ্চর্যজনক।"-"আমার" বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? তাঁর পক্ষে আশ্চর্যজনক লেগেছিল কেন? কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উক্তিটি করা হয়েছে?
উত্তর: উদ্ধৃত অংশে 'আমার' বলতে লেখক নিজেকে বুঝিয়েছেন। লেখক যেখানে থাকতেন সেখানকার কয়েকজন ছেলে এসে তাঁকে জানায় যে সেইদিন আদিবাসী নেত্রী এলিশাবা কুই মুক্তি পাচ্ছেন রাঁচি জেল থেকে। এইজন্য তারা তাকে তাঁর মোটগাড়িটিকে দেবার অনুরোধ জানাল। লেখক আশ্চর্য হলেন এই জন্য যে তিনি জানতেন না এলিশাবা কুই রাঁচি জেলে বন্দি ছিলেন।
(খ) "লোক দুটি চিঠি দিয়েই মোটরে উঠে চলে গেল"-কাকে চিঠি দিয়েছিলেন? সেই চিঠিতে কী লেখা ছিল?
উত্তর: মি. স্পিড সংবাদ পেয়েছিলেন যে তার বাংলো পুড়িয়ে দেওয়া হবে। তাই তিনি স্ত্রী, কন্যা ও জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মালপত্র যখন লরিতে বোঝাই হয়ে গেছেন তখন দুজন লোক মোটরে করে এসে মি. স্পিডের হাতে একটি চিঠি দিল। এটি এলিশাবা কুইয়ের স্বাক্ষরিত। এবং তাতে মি. স্পিডকে হুকুম দেওয়া ছিল যে তিনি যেন বাংলো ছেড়ে চলে যাওয়ার ঝুঁকি না নেন। বাংলোয় থাকলে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে পালামৌ কংগ্রেস সরকার। পালাতে চেষ্টা করলে তিনি বিপদে পড়বেন।
(গ) "বেদে তার প্রমাণ আছে"-উক্তিটি কে কাকে করেছিলেন? বেদে কীসের প্রমাণ আছে?
উত্তর: উক্তিটি করেছিলেন অভ্র ও বক্সাইট খনির মি. স্পিডের ম্যানেজার মি. শর্মা। মি. স্পিড আদিবাসীদের ভূতপূজো, গাছপুজো নিয়ে ব্যঙ্গ করেছিলেন। তখন মি. শর্মা এই কথা বলেছিলেন। বেদ হিন্দুদের প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ। তাতে প্রকৃত পূজোর উল্লেখ আছে। প্রেতাত্মাকে তার দেবতা মনে করত। মি. শর্মা একথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫)
(ক) "তাঁদের অবগতির জন্য দু-একটা কথা ওঁর সম্বন্ধে বলি।"-এখানে ওঁর বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? কাদের অবগতির জন্য লেখক উদ্দিষ্ট ব্যক্তি সম্বন্ধে কথা বলেছিলেন? যা বলেছিলেন সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর: অংশটি প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় 'এলিশাবা কুই' থেকে নেওয়া হয়েছে।
আদিবাসীদের জনপ্রিয় নেত্রী ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর দান সম্বন্ধে অনেকেই কিছু জানেন না। লেখক তাদের এলিশাবা কুইয়ের কথা জানাতে চান।
১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট আন্দোলনে সারা ভারতবর্ষ উত্তাল হয়ে উঠেছিল। সেই আন্দোলনের ঢেউ এসে লেগেছিল রাঁচি সিংভূমের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে। আদিবাসীরা পূর্বে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল-এ ঐতিহ্য তাদের অতীব গৌরবময়। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে সমগ্র পালামৌ জেলায় একটি স্বাধীন সরকারের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। যদিও এই সরকার মাত্র দুমাস স্থায়ী হয়েছিল, তবু এই সময়ে তাঁর সরকার এই অঞ্চলকে একটি সুসম্মিলিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রথমে চুরি, ডাকাতি, ঘুষ নেওয়া প্রভৃতি ঘটনা নিরাপত্তার কথা সকলকে জানাতে চান। তাই এই প্রসঙ্গে তিনি এসেছিলেন। পালামৌ জেলার আদিবাসীদের মধ্যে এলিশাবা কুইয়ের অসাধারণ জনপ্রিয়তার লেখক মুগ্ধ হয়েছিলেন।
(খ) এলিশাবা কুই-এর চরিত্র সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর: এলিশাবা কুই ছিলেন ১৯৪২-এর আগস্ট আন্দোলনে পালামৌ জেলার আদিবাসীদের অবিসংবাদিত নেত্রী। তিনি ছিলেন অহিংসার পূজারি। এই আন্দোলনে তিনি ইংরেজ সরকারের অধীনতা ফাঁস ছিন্ন করে ওখানে একটি স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও এই সরকার মাত্র দুমাস কালস্থায়ী হয়েছিল। তবু এই সামান্য সময়ে সরকারের কাজকর্মের মধ্যে তিনি সততা, বিচক্ষণতা ও সংগঠন শক্তির পরিচয় দিয়েছিলেন তা সত্যিই অতুলনীয়। তার আমলে তাঁর এলাকায় চুরি-ডাকাতি, ঘুষ নেওয়া দেওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এটা সহজেই বোঝা যায় যে এই ধরনের আন্দোলন হিংসাশ্রয়ী হয়ে উঠতে পারে, তাই তিনি দায়িত্ব নিয়ে মি. স্পিডের পরিবারবর্গকে রক্ষা করে এক মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছিলেন।
তিনি পূর্ববর্তী জীবনে ছিলেন চম্পু হো। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তার যোগ দেওয়া এবং সর্বজনমান্য নেত্রী এলিশাবা কুইয়ে রূপান্তরিত হওয়া যদিও প্রায় অলিখিত, তবু কাহিনী থেকে আমরা তার কর্মে সততা, দেশপ্রেমের নিষ্ঠার যে ছবি পাই তা আমাদের মুগ্ধ করে। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে এ ধরনের প্রচারবিমুখ, নিষ্ঠাবর্তী চরিত্র খুব কমই আছে।
❐ ব্যাকরণ:
(ক) সমাস নির্ণয় করো: দেশনেত্রী, স্বাধীন, আদিবাসী, অরণ্যদেবতা, পূর্বপুরুষ, প্রভুভক্ত, সসম্ভ্রম
উত্তর : দেশনেত্রী-দেশের নেত্রী (তৎপুরুষ সমাস)
স্বাধীন-স্ব অধীন (তৎপুরুষ সমাস)
আদিবাসী-আদি বাসী যে (উপপদ তৎপুরুষ সমাস)
পূর্বপুরুষ-পূর্বের পুরুষ (তৎপুরুষ সমাস)
প্রভুভক্ত-প্রভুর ভক্ত (তৎপুরুষ সমাস)
সসম্ভ্রম-সম্ভ্রমের সহিত বর্তমান (বহুব্রীহি সমাস)
(খ) সন্ধি বিচ্ছেদ করো: জগন্নাথ, স্বাধীন, নির্ভয়, আশ্চর্য।
উত্তর: জগন্নাথ = জগৎ নাথ।
স্বাধীন স্ব অধীন।
নির্ভয় = নিঃ+ ভয়।
আশ্চর্য = আ + চর্য
(গ) পদান্তর করো: অবগতি, আক্রমণ, বিদ্যুৎ, অরণ্য, বিলম্ব, লাবণ্য।
উত্তর:অবগতি-অবগত।
বিদ্যুৎ-বৈদ্যুতিক।
বিলম্ব-বিলম্বিত।
আক্রমণ-আক্রান্ত।
অরণ্য-আরণ্যক।
লাবণ্য-লাবণ্যময়।
(ঘ) কারক বিভক্তি নির্ণয় করো:
i. বেদে, তার প্রমাণ আছে।
উত্তর: বেদে-অধিকরণ কারকে 'এ' বিভক্তি।
ii. সর্দার তাঁকে আক্রমণ করেছে।
উত্তর: সর্দার-কর্তৃকারকে শূন্য 'কে' বিভক্তি।
তাঁকে-কর্মকারকে 'কে' বিভক্তি।
iii. ভূতের রাজত্ব শেষ হয়েছে।
উত্তর: ভূতের-কর্মকারকে 'এর' বিভক্তি।
iv. সম্মিলিত কলরবে অন্দর সরগরম।.
উত্তর: কলরবে-কর্মকারকে 'এ' বিভক্তি।
No comments:
Post a Comment