১। রূপাই কে? তার সুখের সঙ্গে কবি কীসের তুলনা করেছেন?
উত্তরঃ রূপাই হল গাঁয়ের এক চাষার ছেলে। তার সুখের সঙ্গে কালো ভ্রমের তুলনা করেছেন।
২। 'রূপাই' কবিতায় কবি 'কালো' শব্দটি কতবার ব্যবহার করেছেন? কবি তাঁর আলোচ্য কবিতায় কালোর মহিমা কীভাবে ব্যক্ত করেছেন?
উত্তরঃ নয় বার ব্যবহার করা হয়েছে। কালোর প্রতি অনেকেরই একটা ঘৃণা বিদ্বেষ আছে। তাই কবি কালোর মহিমাকে অনেক ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। বিশেষ করে চাষীর কালো ছেলের রূপকে কবি ফুটিয়ে তুলেছেন। চাষীর ছেলের কালো মুখের কালো ভ্রমরকে, রঙিন ফুলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যে কালোর প্রতি মানুষের এত অনীহা সেই কালো চোখের তারা দিয়েই পৃথিবীর সৌন্দর্য অবলোকন করা হয়। পৃথিবী বিখ্যাত কোরান, কালো কালি দিয়েই লেখা হয়। পৃথিবীর অগণিত মানুষের মুখে সোনার ফসল তুলে দেয় এই চাষীর কালো ছেলে। এই ভাবেই কবি কালোর মহিমা ব্যক্ত করেছেন।
৩। চাষার ছেলের কেমন চেহারা কবি বর্ণনা করেছেন?
উত্তরঃ চাষীরা রোদে পুড়ে, জলে ভিজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের মুখে অন্ন তুলে দেয়। তাই আলোচ্য কবিতায় চাষার প্রতি কবির হৃদ্যতা প্রকাশ পেয়েছে। কৃষিজ সম্পদ, গাছ গাছালি ইত্যাদির সৌন্দর্য কবি চাষার ছেলে দৈহিক গঠনের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন। লম্বা চুল বিশিষ্ট চাষার ছেলের কালো মুখের কালো ভ্রমরযেন রঙিন ফুলকে হার মানিয়েছেন। নবীন তৃণের স্নিগ্ধ ছায়ার মতো তার কচি মুখ যেন ধান গাছের কচি পাতা দেহটি তমাল বৃক্ষের ন্যায় লম্বা এবং বাহু দুখানি লাউয়ের ডগার মতো সরু। বৃষ্টি ভেজা চকচকে গায়ের উজ্জ্বলতার কাছে বিদ্যুৎ চমকানীর আলো যেন মলিন হয়ে যায়। এইভাবেই কবি চাষার ছেলের দৈহিক গঠনের বর্ণনা দিয়েছেন।
৪। কেতাব কোরান কী দিয়ে লেখা হয়?
উত্তরঃ কালো দোয়াতের কালি দিয়ে কেতাব কোরান লেখা হয়।
৫। চাষার ছেলে কী দিয়ে সব জয় করে?
উত্তরঃ রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে চাষার ছেলে সকলের হৃদয় জয় করে।
৬। সমগ্র কবিতাটির সারমর্ম তোমার নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ আমরা যতই সভ্য হইনা কেন, যতই সভ্য জগতে বাস করি না কেন। আমাদের প্রত্যেকের খাদ্যের প্রয়োজন হয়। চাষীরা জলে ভিজে, রোদে পুড়ে অক্লান্ত পরিশ্রমে চাষ করে আমাদের জন্য ফসল ফলায়। তাই কবি চাষীর প্রতি কৃতজ্ঞ দেখাতে গিয়ে কৃষিজ সম্পদ, গাছ গাছালির সৌন্দর্য্য চাষার ছেলের দৈহিক গঠনের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন। লম্বা চুল বিশিষ্ট চাষার ছেলের কালো মুখের কালো ভ্রমর যেন রঙিন ফুলকে হার মানিয়ে দেয়। নবীন তৃণের স্নিগ্ধ ছায়ার মতো তার কচি মুখ যেন, ধান গাছের কচি পাতা। দেহটি তমাল বৃক্ষের ন্যায় লম্বা এবং বাহু দুখানি লাউয়ের ডগার মতো সরু। বৃষ্টি ভেজা গায়ের উজ্জ্বলতা, বিদ্যুত চমকানির আলোকে হার মানিয়ে দেয়। কালোর প্রতি অনেকেরই একটা ঘৃণা বিদ্বেষ আছে। তাই কবি কালোর মহিমাকে অনেক ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। উদাহরণ স্বরূপ কবি বলেছেন, সৌন্দৰ্য্যমণ্ডিত অপরূপ পৃথিবীকে কালো চোখের তারা দিয়েই দেখা হয়। পৃথিবী বিখ্যাত কোরানকে কালো দোয়াতের কালি দিয়েই লেখা হয়। সোনা দিয়ে সোনা গড়া বা রং দিয়ে রামধনু আঁকা এ কোনো কঠিন কাজ নয়, বরং রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষের মুখে অক্ত তুলে দিয়ে, চাষার কালো ছেলে সকলের হৃদয় জয় করে নিয়েছে।
No comments:
Post a Comment