👉(পারার্থে গদ্য প্রশ্ন উত্তর সপ্তম)
১। গ্যালভানি কোন্ দেশের বিজ্ঞানী ছিলেন? তাঁকে লোকে কী বলে উপহাস করত এবং কেন?
উত্তরঃ গ্যালভানি ইটালির বিজ্ঞানী ছিলেন। 'ব্যাং-নাচানো' অধ্যাপক গ্যালভানি দেখেন যে, লোহাও তামার তার দিয়ে একটা মরা ব্যাঙ কে স্পর্শ করলে ব্যাং নড়ে ওঠে। তিনি অনেক বৎসর ধরে এই ঘটনাটি অনুসন্ধান করতে লাগলেন। এইরূপ সামান্য বিষয় নিয়ে এত সময় অপব্যয় করতে দেখে তাঁকে লোকে উপহাস করত ব্যাং নাচানো অধ্যাপক বলে।
২। ধাতুর বেলুন কে আবিষ্কার করেন? তিনি কোন্ দেশের মানুষ?
উত্তরঃ কোয়ার্জ নামে একজন বিজ্ঞানী ধাতুর বেলুন আবিষ্কার করেন। তিনি জার্মানের অধিবাসী ছিলেন।
৩। "আমরা কেন পাখির মত আকাশে ভ্রমণ করতে পারি না"? উক্তিটি কার? তিনি সে মন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন তার বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ আলোচ্য উক্তিটি জার্মান বিজ্ঞানী লিলিয়েন্থালের। পাখির অনুকরণ করে তিনি পাখার সাহায্যে আকাশে উড়ার যন্ত্র আবিষ্কারের চেষ্টা করেন। তিনি প্রথমে বাহুতে দুইখানি পাখা বেঁধে পাহাড় থেকে নীচে ঝাঁপ দিয়ে পাখার উপর ভর দিয়ে নামতে থাকেন। এতে বুঝতে পারেন পাখার সংখ্যা অধিক হলে এই কাজের আরো সহায়ক হবে। এজন্য তিনি প্রায় ত্রিশ বৎসর সাধনা করে অধিক পাখা বিশিষ্ট যান তৈরি করেন। এই যান নিয়ে তিনি অকাশে উড়ার চেষ্টা করেন এবং উড়তেও থাকেন, কিন্তু সহসা বাতাসের একটা ঝাপটা এসে, উপরের একখানা পাখা ভেঙে যায়। ফলে যন্ত্রটি মাটিতে ভেঙে পড়ে এবং তিনি প্রাণ হারান।
৪। বিজ্ঞানী সোয়ার্জের ধাতুর বেলুন তৈরির ইতিহাস বর্ণনা করো।
উত্তরঃ সোয়ার্জ নামে একজন জার্মানি বিজ্ঞানী অ্যালুমিনিয়াম ধাতুর এক বেলুন প্রস্তুত করেন। যেটি ছিল কাগজের ন্যায় হালকা এবং বায়ুনিরোধক। বেলুন যে ধাতুর হতে পারে এটি কেউ বিশ্বাস করল না। কিন্তু সোয়ার্জ তাঁর সমস্ত সম্পত্তি ও জীবনপণ - করে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে লাগলেন। বেলুন যাতে বাতাসের প্রতিকূলে উড়তে পারে এজন্য একটি ক্ষুদ্র ইঞ্জিন প্রস্তুত করলেন। জাহাজের নীচেযেমন স্কু থাকে এবং ইঞ্জিনে স্ক্রু ঘোরারে জল কেটে জাহাজ চলতে থাকে। সেরূপ বাতাস কেটে চলার জন্য তিনি এক বড়ো স্ক্রু লাগান। কিন্তু দুর্ভাগ্য বেলুন নির্মিত্ত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই হঠাৎ তাঁহার জীবনাবসান হয়।
সোয়ার্জের সহধর্মিনী জার্মানি গভর্নমেন্টের কাছে বেলুনটি পরীক্ষার জন্য আবেদন জানান। অনিচ্ছার সত্বেও গভর্নমেন্ট যুদ্ধ বিভাগে কতিপয় ব্যক্তিদের হাতে পরীক্ষার জন্য দায়িত্ব দেন।
তারা দেখে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, প্রচুর যন্ত্রপাতি বিশিষ্ট বিশালাকার বেলুন আকাশে উড়া অসম্ভব। তাহাদের মধ্যে একজন এগিয়ে এলেন, এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কাটছাট করে সেটিকে আকাশে উড়াবার চেষ্টা করলেন। বেলুনটি সবাইকে আশ্চর্য করে দিয়ে আকাশে উড়ল বটে কিন্তু বিভিন্ন রকম যন্ত্রপাতি বাদ দেওয়ার ফলে সেটি অল্পক্ষণের মধ্যেই ভূপাতিত হল। সোয়ার্জের এই চেষ্টা ও গবেষণা বিফলে যায়নি এটিকে অনুসরণ করে জেপেলিন অল্প দিনের মধ্যে ব্যোমযান নির্মাণ করে সেই শূনস্থান পূরণ করেন।
No comments:
Post a Comment