👉(ফুলের ভাষা কবিতার প্রশ্ন উত্তর )
❐ সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করে লেখো:
১। কুকুর আসিয়া এমন কামড় দিল (রমণীর/পথিকের/ কামারের) পায়ে।
উত্তরঃ পথিকের।
২। কষ্টে হাসিয়া (আর্ত/শ্রান্ত/পথিক) কহিল, "তুই রে হাসালি মোরে।
উত্তরঃ আর্ত।
৩। বাপেরে সে বলে (আদরের/সোহাগের/ভর্ৎসনা) ছলে কপালে রাখিয়া হাত।
উত্তরঃ ভর্ৎসনা।
৪। তুমি কেন (বাপু/ওগো/বাবা), ছেড়ে দিলে তারে।
উত্তরঃ বাবা।
৫। তা বলে কুকুরে কামড়ানো কীরে (আমাদের/মানুষের/ তাহাদের) শোভা পায়?
উত্তরঃ মানুষের।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। কবিতাটিতে কাকে 'বেচারা' বলা হয়েছে?
উত্তরঃ পথিককে বেচারা বলা হয়েছে।
২। মানুষের পক্ষে কী করা শোভা পায় না?
উত্তরঃ কুকুরকে কামড়ানো।
৩। মেয়েটি তার বাবাকে ভর্ৎসনা করেছিল কেন?
উত্তরঃ বাবার দাঁত থাকতেও কুকুরকে কামড়ায়নি বলে।
৪। মেয়েটি কেন রাত্রে জেগেছিল?
উত্তরঃ কুকুরের কামড়ে বাবার পায়ে ব্যথা হচ্ছিল বলে।
৫। মেয়েটি তার বাবাকে ভর্ৎসনা করে কী বলেছিল?
উত্তরঃ তোমার দাঁত থাকতেও তুমি কুকুরকে কামড়ালে না কেন?
❐ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। কুকুরের দাঁতকে বিষদাঁত বলা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ কুকুরের দাঁতে বিষ থাকে। কুকুর আমাদের কামড়ালে সেই বিষ রক্তের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে বিষক্রিয়া ঘটায় এই কারণে কুকুরের দাঁতকে বিষদাঁত বলা হয়েছে।
২। পথিকের পায়ে ব্যথার কারণ কী?
উত্তরঃ পথিকের পায়ে কুকুর কামড়ে ছিল তাই পথিকের পায়ে ব্যথা হয়েছিল।
৩। পথিককে কবি 'আর্ত' বলেছেন কেন?
উত্তরঃ কুকুরটি বিনা কারণে পথিকের পায়ে কামড়ে দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও পথিকটি কুকুরটিকে কিছু বলেনি এই কারণে পথিককে কবি আর্ত বলেছেন।
৪। কবিতাটিতে কুকুর এবং মানুষের পার্থক্য কীভাবে বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতাটিতে কুকুরকে অমানবিক বলা হয়েছে। কোনো রকম ভালো মন্দ বিচার না করে যে কোনো কাজ সে করতে পারে কিন্তু মানুষের মানবিকতা আছে। তাকে কোনো কাজ করতে হলে অবশ্যই বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে। তাই কুকুর মানুষকে কামড়ালেও মানুষ কুকুরকে কামড়াবে এটা কোনো মতেই শোভা পায় না।
৫। মেয়েটির সঙ্গে তার বাবার কী কথোপকথন হয়েছিল?
উত্তরঃ কুকুরের কামড়ে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসলে মেয়েটি তার বাবার কপালে হাত রেখে বলল, বাবা তুমি কেন কুকুরটাকে ছেড়ে দিলে তোমারতো দাঁত আছে। বাবা তখন তার মেয়েকে বলে দাঁত আছে বলে আমি কেমন করে কুকুরকে কামড়াই। কুকুরের কাজ কামড়ানো এবং তা সেটাই করেছে কিন্তু তা বলে মানুষ হয়ে কুকুরকে কামড়ানো কোনো মতেই শোভা পায় না।
৬। "বাপেরে সে বলে ভৎর্সনা ছলে কপালে রাখিয়া হাত" - এখানে কে, কাকে ভর্ৎসনা করেছিল? সে তার কপালে, কেন হাত রেখেছিল?
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতায় পথিকের মেয়ে পথিককে ভর্ৎসনা করেছিল। পথিকের পায়ে কুকুর কামড়ে দিয়েছিল, এর ফলে তার পায়ে বিষম ব্যথা হচ্ছিল। ঘুমাতে পারছিল না। তাই মেয়েটি তার বাবার কপালে হাত রেখেছিল।
৭। 'তুই রে হাসালি মোরে', - একথা কে কাকে বলেছিল? বক্তার হাসির কারণ বলো।
উত্তরঃ পথিক তার মেয়েকে একথা বলেছিল।
কুকুরের কামড় খেয়ে পথিক বাড়িতে আসে। বিষম ব্যথায় সে ঘুমাতে পারছিল না। পথিকের মেয়ে বাবার মাথার উপর হাত রেখে যখন বলেছিল বাবা তুমি কেন কুকুরটিকে ছেড়ে দিলে, তোমারও তো দাঁত ছিল তাহলে তুমি কেন কুকুরটিকে ছেড়ে দিলে, একথা শুনে পথিক হেসেছিল।
৮। তা বলে কুকুরকে কামড়ানো কী মানুষের শোভা পায়? মানুষের পক্ষে কুকুরকে কামড়ানো শোভা পায় না কেন? কবি এখানে 'তা বলে' বলতে কোন্ ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন?
উত্তরঃ মানুষের মধ্যে মনুষত্য জ্ঞান থাকে যার জন্য সে যা খুশি তাই করতে পারে না। কুকুর একটি অমানবিক প্রাণী। সে মানুষকে কামড়াতে পারে। তাই বলে মানুষের পক্ষে কুকুরকে কামড়ানো শোভা পায় না।
কুকুরের কামড়ে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে পথিক যখন বাড়ি ছেরে তখন পথিকের মেয়ে তার বাবাকে ভর্ৎসনা করে বলেন যে তারও তো দাঁত ছিল তবে সে কেন কুকুরটিকে কামড়ালো না। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে পথিক তার মেয়েকে একথা বলেছিল।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১। কবি কবিতার নাম 'উত্তম ও অধম' রেখেছেন কেন?
উত্তরঃ উত্তম বলতে বোঝায় যার মধ্যে ভালো গুণ থাকে এবং অধম বলতে খারাপ গুণের অধিকারীকে বোঝানো হয়। কবিতাটিতে উত্তম কথাটির দ্বারা একজন মানুষের মানবিক বোধকে বোঝানো হয়েছে। অপরদিকে অধম কথাটির দ্বারা একটি কুকুরের পাশবিক ও হিংস্র মনোভাবকে বুঝিয়েছেন। পথের মধ্যে কুকুরটি বিনা কারণে পথিকের পায়ে কামড়ে দেয়। বিষম যন্ত্রণায় সে রাতে ঘুমাতে পারেনি। পথিকের সাথে সাথে তার মেয়েটিও রাতে ঘুমায়নি। বাপকে ভর্ৎসনার ছলে সে বলে তোমার দাঁত থাকতেও তুমি কেন কুকুরটিকে কামড়ালে না। যন্ত্রণার সহিত হাসতে হাসতে পথিক উত্তর দিল দাঁত থাকলেও সে কি করে কুকুরকে কামড়াবে, কুকুরের যা কাজ তাই সে করেছে, তা বলে একজন মানুষ হয়ে কুকুরকে কিভাবে কামড়াবে? অর্থাৎ আলোচ্য কবিতায় উত্তম ও অধমের পরিষ্কার একটা পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে। তাই কবি কবিতার নাম 'উত্তম ও অধম' রেখেছেন।
২। কবি কবিতাটির মাধ্যমে কোন্ বার্তা দিতে চেয়েছেন বলে তোমার মনে হয়?
উত্তরঃ কবি কবিতার মাধ্যমে বলতে চেয়েছেন কেউ যদি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে তার বদলে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা উচিত নয়। যে যার কর্ম সে তাই করবে।
❐ পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
১। বাক্য রচনা করো:
পথিক - ক্ষুধার্ত পথিককে খাদ্য দেওয়া উচিত।
বিষম - কুকুরের কামড়ে পথিকের পায়ে বিষম ব্যথা হচ্ছিল।
শিয়র - ছেলেটি শিয়রে হাত রেখে ঘুমাচ্ছিল।
ভর্ৎসনা - পথিক ভর্ৎসনার ছলে উত্তর দিল।
শোভা - কুকুরকে কামড়ানো মানুষের শোভা পায় না।
২। প্রতিশব্দ লেখো:
পথিক - পথচারী;
ব্যথা - বেদনা;
ভর্ৎসনা - তিরস্কার;
দাঁত - দন্ত।
৩। পদান্তর করো:
দাঁত (বি) - দন্ত (বিণ)।
শোভা (বি) - শোভিত (বিণ)।
আর্ত (বিণ) - আর্তিত (বি)।
ব্যাথা (বি) – ব্যথিত (বিণ)।
৪। নিম্নরেখাঙ্কিত পদগুলির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো।
(ক) কপালে রাখিয়া হাত।
উত্তরঃ অধিকরণ কারকে 'এ' বিভক্তি।
(খ) কুকুরে কামড়ানো কী করে মানুষের শোভা পায়?
উত্তরঃ কর্মকারকে 'এ' বিভক্তি।
(ঘ) বিষম ব্যথায় জাগে।
উত্তরঃ করণ কারকে 'য়' বিভক্তি।
(ঙ) রাত্রে বেচারা বিষম ব্যথা জাগে।
উত্তরঃ কর্তৃকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
No comments:
Post a Comment