👉( বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই কবিতার প্রশ্ন উত্তর)
❐ সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করে লেখো:
১। হও নম্র, (শুভ্র/কৃপণ/শুচি) ও সুন্দর।
উত্তরঃ শুচি।
২। সুসিত (বৃক্ষগুলি/কমলগুলি/তরুগুলি) সরসীর ছলে।
উত্তরঃ কমলগুলি।
৩। শেফালির/রাঙাগোলাপের/যুথিকার কলি বলে।
উত্তরঃ যুথিকার।
৪। পাই তবে (প্রভুর/দেবের/তোমার) বারতা।
উত্তরঃ দেবের।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। রাঙা গোলাপের ফুল কী বলে?
উত্তরঃ নম্র, শুচি ও সুন্দর হতে।
২। 'হও নম্র', নম্রতা বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ ভদ্র, শুচি ও নরম মনের।
৩। সূর্যমুখির রঙ কেমন?
উত্তরঃ সূর্যমুখির রঙ কনক-বরণ দীপ্ত অর্থাৎ সোনার মতো উজ্জ্বল।
৪। কৃপন না হওয়ার জন্যকে আমাদের পরামর্শ দান করেছে?
উত্তরঃ যুথিকার কলি অর্থাৎ জুঁই ফুল কৃপন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
৫। ধৈর্য না হারাবার জন্য আমাদের কে উপদেশ দিয়েছে?
উত্তরঃ সূর্যমুখী ধৈর্য না হারাবার উপদেশ আমাদের দিয়েছে।
❐ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। 'হও নম্র', শুচি ও সুন্দর, কে বলেছে? কাদের উদ্দেশ্যে তার এই উপদেশ।
উত্তরঃ রাঙা গোলাপের ফুল বলেছে। মানুষের উদ্দেশ্যে এই উপদেশ। জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য সমস্ত মানুষকে নম্র, ভদ্র, শুচি অর্থাৎ পবিত্র এবং সুন্দর হওয়া প্রয়োজন।
২। সুসিত কমল বলতে কি বোঝায়? তারা কি বলে?
উত্তরঃ সুসিত কমল বলতে সরোবরে ফোটা পদ্মফুলে বোঝায়। তারা শুভ্রতর হতে বলে।
৩। 'প্রীতি করো দান'- বক্তা এখানে কী উপদেশ দিয়েছে? এটা কার উক্তি?
উত্তরঃ ক্ষুদ্র হও কিন্তু কৃপন হয়ো না। এটা যুথিকার কলির উক্তি।
৪। 'ক্ষুদ্র হও, হয়ো না কৃপণ' - বক্তা কে? বক্তার এই উক্তির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ বক্তা এখানে যুথিকার কলি। কৃপণ মানুষ বা সমাজে কখনও কখনও মর্যাদা পায়না। তারা সমাজে সব সময় অশ্রদ্বারা পাত্র হয়ে থাকে তাই ক্ষুদ্র বা দরিদ্র হওয়া ভাল কিন্তু কৃপণ হওয়া ভাল নয়।
৫। 'ফুলের ভাষা' কবিতায় উল্লিখিত ফুলগুলির নাম লেখ।
উত্তরঃ রাঙা গোলাপ, কেল অর্থাৎ পদ্মফুল, সূ র্যমুখি, জুঁইফুল, শেফালি ফুল প্রভৃতির কথা এই কবিতায় উল্লিখিত হয়েছে।
৬। 'হও ক্রমে শুভ্রতর' - কে বলেছে? কথাগুলির মধ্যে দিয়ে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছে?
উত্তরঃ কথাটি বলেছে সারি সারি প্রস্ফুটিত পদ্মফুল।
জীবনে সার্থক হতে গেলে আগে সুন্দর হতে হবে। যদি 'ভদ্র, পবিত্র ও সুন্দর না হওয়া যায় তাহেল সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় না। তাই সুন্দর থেকে সুন্দরতর হয়ে ওঠার কথা বলেছে সরোবরে প্রস্ফুটিত পদ্মফুল।
৭। 'কনক-বরণ দীপ্ত' - 'কনক বরণ দীপ্ত' -কার? তার দেওয়া উপদেশগুলি কী কী?
উত্তরঃ কনক-বরণ দীপ্ত সূর্যমুখির।
সূর্যমুখির দেওয়া উপদেশগুলি হল শির উঁচু করে উচ্চে লক্ষ্য রাখ, প্রেমে সুখী এবং জীবনে ধৈর্য্য ধর দৃঢ়তার সঙ্গে।
৮। 'পাই তবে দেবের বারতা', উদ্ধৃতিটি কোন কবিতার অংশ? বক্তাকে? দেবের 'বারতা' কিভাবে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ 'ফুলের ভাষা', কবিতার অংশ। বস্তা হল শেফালি। সকলকে মিলিয়ে দিয়ে বা সকলকে প্রেম প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে দিতে পারলে দেবতার বার্তা অবশ্যই পাওয়া যাবে।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১। 'ফুলের ভাষা' কবিতার মধ্য দিয়ে কবি মানুষের জীবনে যে মূল্যবোধের প্রকাশ ঘটাতে চেয়েছেন, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ মানুষের ভদ্র, নম্র, শুচি ও সুন্দর হওয়া প্রয়োজন। অপরের ক্ষতি করা ঠিক নয়। লক্ষ্য সবসময় উঁচুতে রাখা দরকার। জীবনে সুখি হওয়াটা বড়ো কথা। জীবনে সফল হতে গেলে ধৈর্য্য প্রয়োজন। প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। জীবনে ক্ষুদ্র হলেও কৃপন হওয়া উচিৎ নয়। সকলকে প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করতে পারলে দেবতার আশীর্বাদ পাওয়া যাবে। 'ফুলের ভাষায় কবিতার মধ্য দিয়ে কবি মানুষের জীবনের এই সমস্ত মূল্যবোধের প্রকাশ ঘটাতে চেয়েছেন।
২। কবিতাটির নাম কবি 'ফুলের ভাষা' রেখেছেন কেন?
উত্তরঃ ফুল হল সুন্দরের প্রতীক। যা কিছু সুন্দর তার মূলে রয়েছে ফুলের সৌন্দর্য। তাই কবি কলুষিত সমাজকে মুক্ত করতে শুভ্রতার শুচিতার, নম্রতার বানী প্রচারে ফুলকে বেছে নিয়েছেন, রাঙা গোলাপ, পদ্ম, সূর্যমুখী, যুথিকা, শেফালি এই সকল ফুলের মধ্যে ভাষা প্রয়োগ করে আমাদের সুন্দর থেকে সুন্দরতর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যেহেতু ফুলের মুখ থেকে ব্যক্ত হয়েছে তাই কবিতাটির নাম 'ফুলের ভাষা'।
৩। 'ফুলের ভাষা' কিভাবে 'দেবতার বারতা' এনে দিতে পারে? কবিতা অবলম্বনে নিজের ভাষায় বুঝিয়ে লেখো।
উত্তরঃ ফুল সৌন্দর্য্যের প্রতীক। ফুলের মধ্য দিয়েই কবি আমাদের সুন্দর হওয়ার ডাক দিয়েছেন। মানুষের জীবন যদি সুখী জীবন হয়, মানুষ যদি ধৈর্য্যশীল হয়, জীবনের লক্ষ্য যদি উঁচু হয়, এবং সবাই যদি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় তাহলে দেবতাও খুশি হয়ে আশীর্বাদ বর্ষণ করবে। এভাবেই ফুলের ভাষা দেবতার বারতা এনে দিতে পারে।
❐ পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
১। বাক্যরচনা করো:
শুচি -শুচি করো মন তবে ফল পাবে।
তপন – সূর্যের সমার্থক শব্দ তপন।
কৃপন - কৃপন চোর অপেক্ষা বেশী দোষী।
ধৈর্য্য - ধৈর্য্য ধরলে ফললাভ ঘটবে।
কমল - রীতা কমলের ন্যায় নরম মনের মানুষ।
বারতা - মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা বারতা দিলেন।
২। পদান্তর করো:
নম্র - নম্রতা;
শুচি - শুচিতা;
সুন্দর -সৌন্দর্য্য;
ক্ষুদ্র - ক্ষুদ্রতা;
দীপ্ত - দীপ্তমান;
ফুল – ফুলেল।
৩। বিপরীত শব্দ লেখঃ
শুচি - অশুচি
সুন্দর - কুৎসিত;
উর্ধ্ব-নিম্ন;
উচ্চ - নীচ;
ক্ষুদ্র - বৃহৎ;
জীবন- মরণ।
১। রেখাঙ্কিত পদগুলির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করোঃ
(ক) হাসি মুখে বলে।
উত্তরঃ অপাদান কারকে 'এ' বিভক্তি।
(খ) প্রেমে হও সুখি।
উত্তরঃ কর্মকারকে 'এ' বিভক্তি।
(গ) ধৈর্য্য ধর জীবনে মরণে।
উত্তরঃ কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
(ঘ) হিমবায় রবে কতক্ষণ?
উত্তরঃ কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
২। অর্থ লেখঃ
হিমবায় - শীতল, বাতাস;
বারতা - বার্তা;
কলি - ফুল;
প্রফুল্ল - আনন্দ;
নির্মল – পরিষ্কার;
সরসী - সরোবর।
No comments:
Post a Comment