👉(বিদ্যাসাগর কবিতার প্রশ্ন উত্তর )
❐ সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করে লেখো:
১। 'ঠাকুরদাদার ছুটি' কবিতাটির লেখক হলেন (সত্যেন্দ্র নাথ দত্ত /কাজী নজরুল ইসলাম/জসীমউদ্দীন/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২। তোমার ছুটি (মাঝ/কালো/নীল/ফাঁকা) আকাশে।
উত্তরঃ নীল।
৩। আমি তোমার (জামা/সোজা/শাড়ি/চশমা) পরা।
উত্তরঃ চশমা।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। এখানে কার ছুটির কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ এখানে ঠাকুরদাদার ছুটিকে বোঝানো হয়েছে।
২। কবিতায় উল্লিখিত দুটি স্থানের নাম লেখ।
উত্তরঃ কবিতায় উল্লিখিত দুটি স্থানের নাম হল পারুল ডাঙার বন ও দিঘির ঘাট। -
৩। কাঁচা ধানের খেত কখন দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ধান যখন রোপন করা হয় তখন কাঁচা ধানের খেত দেখতে পাওয়া যায়।
৪। কোন ঋতুতে শিশির পড়ে?
উত্তরঃ শীত ঋতুতে শিশির পড়ে।
৫। হিমালয় কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ হিমালয় ভারতের উত্তরে অবস্থিত।
৬। আশ্বিনের আলো কী পরে আসে?
উত্তরঃ চাদর।
❐ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। গোলাবাড়ি বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ খামারে বা বাড়িতে খড় বা বাঁশ দিয়ে ঘরের মতো করে ধান বা অন্যান্য শস্য মজুত করার জন্য যে গৃহ তৈরি করা হয় তাকে বা সেই বাড়িকেগোলাবাড়ি বলে।
২। 'তোমার' এবং 'আমার' শব্দ দুটির মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ 'তোমার' বলতে কবি ঠাকুরদাদার ছুটি আর 'আমার' বলতে নিজের কথা বলতে চেয়েছেন।
৩। শরৎকালকে মাঝির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ শরৎকালে আকাশ থাকে নির্মল, সুন্দর। নদী বা জলাশয় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। শরৎকালের আকাশে মেঘের জন্য মধ্যে তুলোর মতো মাঝির ছবি ফুটে ওঠে, সেইজন্য শরৎকালকে মাঝির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
৪। কাজকর্ম হিসাব কিতাব থরথরিয়ে কাঁপার কারণ কী?
উত্তরঃ ঠাকুরদাদা নিজের কাজে সর্বদা মশগুল। তিনি তার নাতি-নাতিনীদের মতো ছুটি নিশ্চিন্তে উপভোগ করতে পারেন না। তাঁর নাতি-নাতনিরা তাঁর ঘরে এমন দাপাদাপি করে যে, কাজকর্ম হিসাব-কিতাব সব কেঁপে ওঠে।
৫। আমার ঘরে ছুটির বন্যার কারণ বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ 'আমার' বলতে ঠাকুরদাকে বোঝানো হয়েছে। ঠাকুরদা অবসর গ্রহণ করায় তার কাজ এখন কম। ফলে এখন তাঁর শুধুই অবসর। এত বেশি অবসর যে সেটি বোঝাতেই ছুটির বন্যা কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে।
৬। 'তোমার ছুটির আশা কাঁপে। কাঁচা ধানের খেতে' কার ছুটির কথা বলা হয়েছে? কাঁচাধানের খেতে ছুটির আশার কাঁপার বিষয়টি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তরঃ এখানে কবির ছুটির কথা বলা হয়েছে।
কবির চঞ্চলতার কোন শেষ নেই, যেহেতু তিনি নাতি। তিনি কখনো নীল আকাশে, কখনো ঘাটে, আবার কখনো তেঁতুল তলায়, ঝোপে, কখনো কাঁচা খেতে ঘুরে বেড়ান। ধান নতুন গাছের আশায় যেমন জেগে উঠতে চাই। তেমনি ঠাকুরদার নাতি অর্থাৎ কবিও বিভক্তি আশা নিয়ে ঘুরেবেড়ান।
৭। 'আমার ঘরে ছুটির বন্যা/তোমার লাফে ঝাঁপে' - 'আমার ঘরে' বলতে কার ঘরের কথা বলা হয়েছে? ছুটির বন্যা বলতে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ আমার ঘরে বলতে ঠাকুরদাদার ঘরের কথা বলা হয়েছে।
ঠাকুরদাদার বয়স হয়েছে। এখন সমস্ত কাজকর্ম ছেড়ে শুধুই তাঁর অবসর ভোগ করার সময়। এত বেশি অবসর যে, তাই ছুটির বন্যা বলা হয়েছে।
৮। 'তোমার ছুটি কে যে জোগায়/জানিনে তার রীত' - 'তোমার' বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তার 'রীত' না জানার কারণ বুঝিয়ে লেখো।
উত্তরঃ 'তোমার' বলতে এখানে ঠাকুরদাদার নাতির কথা বলা হয়েছে।
নাতি নীল আকাশে, দিঘির ঘাটে, ঝোপে, পারুল বনে, কাঁচা ধানের ক্ষেতে ছুটি কাটিয়ে বেড়ায়। তার সাথে এত জায়গায় ঘোরার সামর্থ্য ঠাকুরদাদার নেই। নাতি এত ছুটির ঘোরার জায়গা কোথায় পাই দাদু তা ভেবে অস্থির।
❑ রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১। বিষয় কাজকে মাকড়সার বিষম জালের সঙ্গে তুলনা করার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ মাকড়সার জালে কোনও পোকামাকড় আটকালে বেরিয়ে আসতে পারে না। তেমনই সাংসারিক কাজ থেকে মানুষ সহজে মুক্ত হতে পারে না।
মাকড়সা অনেক বুদ্ধি খাটিয়ে জাল বোনে। একবার ব্যর্থ হলেও পুনরায় চেষ্টা করে জাল বোনা শেষ করে। মানুষকেও অনেক সময় অনেক ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয়। তখন মানুষের প্রাণ কখনও কখনও ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ে। সাংসারিক কাজকর্মকে এখানে মাকড়সার জালের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
২। তোমার ছুটি এবং আমার ছুটির ভিন্নতার কারণ নির্ণয় করো।
উত্তরঃ তোমার বলতে ঠাকুরদার নাতির এবং আমার = বলতে কবির নিজের ছুটির কথা বলা হয়েছে। নাতি - অল্পবয়সী। তার মন যেখানে যেতে চায় সে সেখানেই ঘুরে বেড়ায়। বনে-বাদাড়ে মাঠে-ঘাটে-কাঁচা ধানের ক্ষেতে ছুটে বেড়ায়। অন্যদিকে ঠাকুরদার বয়স হয়েছে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে। মন চাইলেও সে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারেন না। কিন্তু - নাতির লাফে-ঝাঁপে ঠাকুরদার মন ভরে ওঠে। তাই নাতির ছুটি আর দাদুর ছুটির ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।
৩। শিউলি কানন সাজাকে শুভ্র ছুটির সাজি হিসাবে একই পংক্তিতে গণ্য করার কারণ বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ শিউলি হল শুভ্রতার প্রতীক আর শুভ্রতা হল পবিত্রতার প্রতীক। শিশু প্রকৃতির কাছ থেকে যে অনন্ত তাতে কোনো সমস্যা বা চিন্তার কু-প্রভাব থাকে না। তাই তার মুক্তির আনন্দকে শুভ্র ছুটির সাজি বলা হয়েছে।
৪। 'ওইখানে মোর জিত'- পঙক্তিটির অন্তর্নিহিত অর্থ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ নাতি-নাতনিরা চিন্তা বা কর্মহীন জীবনে অভ্যস্ত। তাদের কোনো দায়িত্ব থাকে না। তারা মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ে বেড়ায়। তাদের এই আনন্দের মূল উৎস প্রকৃতি। ঠাকুরদা নাতি-নাতনিদের সঙ্গে মুক্তির আনন্দ লাভ করেন। কারণ দাদুর আর ওড়ার ক্ষমতা থাকে না, কারণ তিনি মনের দিক থেকে দুর্বল। নাতি-নাতনিদের স্নেহ-ভালোবাসাই তখন ঠাকুরদাদার পরম প্রাপ্য। এখানেই নাতি-নাতনিদের চাইতে ঠাকুরদাদার জিত।
❐ পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
১। বাক্যরচনা করো:
ছুটি - পুজোর ছুটিতে বেড়ানোই কাজ।
তরঙ্গ - জলে ইট ফেললে তরঙ্গ সৃষ্টি হয়।
কণ্ঠ - গায়কের গানের কণ্ঠ মধুর।
বাঁশি - বাঁশির সুর কানে বাজে।
সাথি - সাথি ছাড়া জীবন নিঃসঙ্গ
বন্যা - বর্ষাকালের বন্যা সমস্ত দেশ ভেসে যায়।
থরথরিয়ে - ঠান্ডায় হাত-পা থরথরিয়ে কাঁপন দিচ্ছে।
২। সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দের অর্থ লেখো:
(ক) বাঁধা - বন্ধন
(খ) বাঁশি - বাদ্যযন্ত্র
বাধা - বিঘ্ন
বাসি - পুরানো
(গ) কোণ - একটি নির্দিষ্ট স্থানবিশেষ
কোন – কোনো কিছুর উদ্দেশ্য।
৩। পদ পরিবর্তন করো:
কোণ - কৌণিক;
বিষয় - বৈষয়িক;
ধুর--মাধুর্য্য;
চপল – চপলতা;
শুভ্র - শুভ্রতা;
রঙিন - রঙ;
ভোের - প্রাতঃ;
কিতাব- বই;
তুফান -ঢেউ।
৪। সমার্থক শব্দ লেখো:
তরঙ্গ - ভঙ্গি;
উমি মধুর – মনোহর, মাধুর্য যুক্ত;
কানন - বীথি, উদ্যান;
হাওয়া - বায়ু, বাতাস;
ভোর - প্রভাত, প্রত্যুষ;
কিতাব – বই, পুস্তক;
তুফান - ঝড়, প্রবস বাতাস।
৫। রেখাঙ্কিত পদগুলির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো:
(ক) তোমার ছুটি মাঠে।
উত্তরঃ কর্তৃকারকে 'র' বিভক্তি।
(খ) ওইখানে মোর জিত।
উত্তরঃ অধিকরণ কারকে 'এ' বিভক্তি।
(গ) ফুল ফোটানো ভোরে।
উত্তরঃ ঐ কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
No comments:
Post a Comment