👉(ক্লোরোফর্ম গদ্য প্রশ্ন উত্তর)
❐ সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করে লেখো:
১। (অটো/ট্রেনে/বাসে/রিকশায়) বড়ো বই পড়তে পড়তে আসছিলাম।
উত্তরঃ ট্রেনে বড়ো বই পড়তে পড়তে আসছিলাম।
২। ব্যাগটা রাখলাম (হাতে/কাছে/পিঠে/বুক পকেটে)।
উত্তরঃ ব্যাগটা রাখলাম বুক পকেটে।
৩। লোকটা চেনা, আগে (ড্রাইভার/কশাই/পুলি শ/ডাকাত) ছিল।
উত্তরঃ লোকটা চেনা, আগে পুলিশ ছিল।
৪। আমারও খুব ইচ্ছা করছিল (মুড়ি/চা/ভাত/রুটি) খাবার।
উত্তরঃ আমারও খুব ইচ্ছা করছিল চা খাবার।
৫ । (পাঁচটি/তিনটি/দু'টি/চারটি) টাকা সে আমার সামনে রেখে দিল।
উত্তরঃ দুটি টাকা সে আমার সামনে রেখে দিল।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। লেখক কীসে যাচ্ছিলেন?
উত্তরঃ লেখক ট্রেনে যাচ্ছিলেন।
২। তখন তাঁর হাতে কী ছিল?
উত্তরঃ তখন তাঁর হাতে একটি বই ছিল।
৩। ভদ্রলোক লেখকের কাছে কী চেয়েছিলেন?
উত্তরঃ ভদ্রলোক লেখকের কাছে বইটি চেয়েছিলেন।
৪। ট্রেন থেকে নেমে লেখক কোথায় উঠলেন?
উত্তরঃ ট্রেন থেকে নেমে লেখক জাহাজে উঠলেন।
৫। কুলিকে পয়সা দিতে গিয়ে লেখক কী টের পেলেন?
উত্তরঃ কুলিকে পয়সা দিতে গিয়ে লেখক দেখলেন পকেট থেকে মানিব্যাগটি চুরি গেছে।
৬। লেখক ভাইকে চিঠিতে কী লিখেছিলেন?
উত্তরঃ লেখক কুলিটিকে পাঁচটি টাকা দেবার কথা ভাইকে চিঠিতে লিখেছিলেন।
৭। কুলি লেখকের কাছে আবার ফিরে এসেছিলেন কেন?
উত্তরঃ শ্রমের উপার্জিত অতিরিক্ত পয়সা দুটি টাকা ফেরত দেবার জন্য লেখকের কাছে কুলি আবার এসেছিলেন।
৮ । লেখকের কী স্পর্ধা হল না?
উত্তরঃ কুলিকে দুটি টাকা বকশিশ স্বরূপ দেওয়ার স্পর্ধা হল না লেখকের।
❐ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। 'আমি জানালা দিয়ে বাইরে চেয়ে রইলাম।' - বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য তখন কেমন ছিল?
উত্তরঃ বাইরে দূর চক্রবাল রেখায় সূর্য অস্ত যাচ্ছিল। নানা বর্ণের মেঘ বিচিত্র পোশাক পরে দাঁড়িয়ে ছিল।
লেখকের এই দৃশ্য দেখে মনে হয়েছিল যেন কোনো সম্রাট বিদায় নিচ্ছেন এবং তাঁর আমির-ওমরারা তাঁকে বিদায় জানাতে এসেছেন।
২। 'তাড়াতাড়ি কুলি ডেকে জিনিসপত্র তার মাথায় চড়িয়ে রওনা হলাম জাহাজের দিকে।' লেখকের তাড়াতাড়ি রওনা হওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ তাড়াতাড়ি জাহাজে রওনা না দিলে তিনি জাহাজে বসবার জায়গা পাবেন না। সারাটা রাস্তা দাঁড়িয়ে যেতে হবে। তাই তিনি কুলিকে ডেকে জিনসিপত্র নিয়ে তাড়াতাড়ি জাহাজে রওনা হলেন।
৩। 'তার মুখের দিকে চেয়ে আরও ভীত হয়ে পড়লাম' - ভীত হওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ মানিব্যাগ চুরি যাওয়ায় কুলির মজুরি তিনি দিতে পারছেন না। আবার মনে করছেন হয়তো বা কুলি রূঢ় বাক্য বলে বসবেন। তাই তিনি কুলির মুখের দিকে চেয়ে ভীত হচ্ছিলেন।
৪। 'দুর্ভাগ্য কিন্তু যে পাশেই দাঁড়িয়েছিল, তা বুঝতে পারিনি।' - দুর্ভাগ্য কিভাবে লেখকের পাশে দাঁড়িয়েছিল?
উত্তরঃ যে ভদ্রলোককে লেখক বইটি দিয়েছিলেন তার কথা বলা হয়েছে। জাহাজে ভিড়ের মধ্যে হয়ত বা লেখক তাকে খুঁজছিলেন। কিন্তু পরে দেখলেন তিনি পাশেই রয়েছেন।
৫। 'বকশিশ করবার স্পর্ধা আমার হল না।' লেখকের বকশিশ দেওয়ার স্পর্ধা হয়নি কেন?
উত্তরঃ কুলির ফেরৎ দেওয়া দু'টাকা লেখক বকশিশ দিতে সাহস পেলেন না। কেননা তিনি ইচ্ছা করেই দুটি টাকা বেশি দিয়েছেন। হয়ত বা কুলিটি এর মাধ্যমে বলতে চাইলেন যে, সর্বক্ষেত্রে উদার ও মুক্ত মনের মানুষ হওয়া উচিৎ নয়।
৬। 'একটা রূঢ় কিছু প্রত্যাশা করছিলাম।' রূঢ় প্রত্যাশা বলতে এখানে কী বোঝানো হয়েছে? সেই প্রত্যাশার পরিণতি কী হয়েছিল?
উত্তরঃ পকেট থেকে ব্যাগ চুরি হওয়ার ফলে - কুলিকে লেখক টাকা দিতে পারছিলেন না। আবার লেখক এখানে কুলিকে চিনতেন, সে আগে কশাই - ছিল। তাই তিনি ভাবছেন কুলি হয়ত বচসা শুরু করবে।
কিন্তু কুলি বলেছিলেন যে, লেখকের কাছে টাকা মার যাবে না। কুলি পরে নিয়ে নেবেন সমস্ত টাকা। কুলি উপরন্তু তাঁর সমস্ত দিনের উপার্জন লেখককে দিয়েছিল বাসে বাড়ি ফেরার জন্য।
৭। 'লোভ সংবরণ করতে হল।'- কে লোভসংবরণ করেছেন? তিনি কেন লোভ সংবরণ করেছেন?
উত্তরঃ লেখক লোভ সংবরণ করেছেন।
চায়ের প্রতি লেখকের লোভ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু টাকা না থাকায় লোভ সংবরণ করতে হয়।
৮। 'আপনি দু টাকা বেশি লিখে দিয়েছেন।' এখানে বক্তার চরিত্রের কী পরিচয় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ এখানে কুলি মজুরির দুটি টাকা ফেরৎ দেওয়ার মাধ্যমে এমন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায় যে, তিনি তাঁর শ্রমের মূল্য যেটুকু সেটুকুই নেবেন, বেশি নেবেন না।
৯। 'ট্রেনের সেই ভদ্রলোক।' - এখানে কোন্ ভদ্রলোকের কথা বলা হয়েছে? কী কারণে লেখক তাঁর কথা পুনরায় স্মরণ করেছেন?
উত্তরঃ যে ভদ্রলোক লেখকের থেকে বই চেয়ে পড়ছিলেন তাঁর কথা বলা হয়েছে।
কুলির দু'টাকা বাড়িতে আলাদাভাবে এসে ফেরৎ দেওয়ার পরই লেখকের ভদ্রলোকের কথা মনে হয়েছে।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১। আলোচ্য গল্পে লেখকের 'সৌভাগ্য' ও 'দুর্ভাগ্য'র পরিচয় দাও।
উত্তরঃ আলোচ্য গল্পে লেখক জাহাজে উঠবার জন্য উ তাড়াতাড়ি কুলিকে ডেকে জিনিসপত্র গুছিয়ে রওনা দিলেন, যাতে বসবার জায়গা পান। নইলে সমস্তরাস্তা দাঁড়িয়ে যেতে নে হবে। জাহাজে উঠে তিনি বসবার জায়গা পেয়েছিলেন। এটা লেখকের কাছে 'সৌভাগ্য'।
তিনি ট্রেনে যে ভদ্রলোককে বইটি দিয়েছিলেন তাকেই হয়ত মনে মনে খুঁজছিলেন। কিন্তু পরক্ষণে দেখলেন তিনি লেখকের পাশেই দাঁড়িয়ে। এরপর কুলিকে মজুরি দিতে গিয়ে বুঝলেন মানিব্যাগ নেই, সেটি ভিড়ের মধ্যে চুরি গেছে। এগুলিই লেখকের কাছে 'দুর্ভাগ্য' বলে মনে হয়েছে।
২। 'আমার মুখ দিয়ে কথা সরছিল না।' লেখকের মুখ দিয়ে কথা না বলার কারণ নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ লেখকের মানিব্যাগ হারিয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না এবং কুলিকে পারিশ্রমিকও দিতে পারছেন না। কিন্তু কুলি সমস্ত জিনিসপত্র সটান বাসে তুলে দিল।
লেখক দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে কিছু বলবার আগেই কুলি । তার কোমর থেকে গোঁজা সমস্ত টাকা লেখককে দেন, যাতে তিনি নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন। - পরে কুলি টাকা সংগ্রহ করে নেবেন এও জানান। এহেন একদা কশাই কুলির ব্যবহারে লেখকের মুখ দিয়ে কিছু কথা সরছিল না।
৩। 'আমাদের দেশে নৈতিক অধঃপতনের কারণ শিক্ষার অভাব।'- প্রতিবাদ গল্প অবলম্বনে এই সত্যতা বিচার করো।
উত্তরঃ নৈতিক অধঃপতন শিক্ষার অভাবেই হয় আবার এই শিক্ষা দুধরনের হয়। পুঁথিগত শিক্ষা ঐশি শিক্ষা আমরা দেখেছি পুঁথিগত শিক্ষা যথেষ্ঠ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ঘুষ খায়, মন্ত্রি মদ খায় তাই পুঁথিগত শিক্ষা নয়। প্রকৃতি ঐশি শিক্ষাই মানুষকে সৎ চরিত্রবান ও নিষ্ঠা হতে শেখায়।
❐ পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
(ক) বাক্যগঠন করো:
ভদ্রলোক - সকলকে ভদ্রলোক ভাবা উচিৎ নয়।
দুর্ভাগ্য- কোন কাজে সফল না হলেই তা আমাদের কাছে দুর্ভাগ্যজনক হয়ে ওঠে।
অসহায় - অসহায় মানুষদের সাহায্য করা উচিৎ।
সেলাম - হিন্দুস্থানীদের সেলাম করা একটা রেওয়াজ।
বকশিস - বকশিশ হিসাবে বই দেওয়া বেশ ভালো একটা চিন্তা।
(খ) সন্ধিবিচ্ছেদ করো:
অধিকাংশ = অধিক + অংশ।
অর্থাভাব = অর্থ+ অভাব।
(গ) রেখাঙ্কিত পদগুলির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো:
১। ট্রেনে একটা বড়ো বই পড়তে পড়তে আসছিলাম।
উত্তরঃ কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
২। তিনি একাগ্রচিত্তে পড়তে লাগলেন।
উত্তরঃ কর্মকারকে 'এ' বিভক্তি।
৩। টিকিট-চেকার প্রত্যেকের টিকিট পরীক্ষা করছিলেন।
উত্তরঃ কর্তৃকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
৪। লোভ সংবরণ করতে হল।
উত্তরঃ কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
৫। আমি নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছালাম।
উত্তরঃ অধিরণকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
(ঘ) অর্থ লেখো:
চিত্রার্পিতবৎ – দাঁড়ানো। -
গেঁজে - থলি।
বকশিশ - উপঢৌকন।
রূঢ় - নিষ্ঠুর।
সৌভাগ্য - ভাগ্যের অনুকূল।
No comments:
Post a Comment