❐ সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করে লেখো:
১। উচ্চারণের সুবিধার জন্য লোকে তাকে - (জেপসন/ সিমসন/আন্ডারসন/ডাইসন) বলেই ডাকত।
উত্তরঃ উচ্চারণের সুবিধার জন্য লোকে তাকে সিমসন বলেই ডাকত।
২। মন দিয়ে শুনতে লাগল ডাক্তার সাহেবের -(কথা/ বক্তৃতা/গল্প/আলাম)।
উত্তরঃ মন দিয়ে শুনতে লাগল ডাক্তার সাহেবের বক্তৃতা।
৩। (বিড়াল/কুকুব/খরগোেশ/ঘোড়া) - বেচারি গন্ধ শুঁকে অল্পক্ষণের মধ্যেই মারা গেল।
উত্তরঃ খরগোশ বেচারি গন্ধ শুঁকে অল্পক্ষণের মধ্যেই মারা গেল।
৪। তিনি রুগিকে ওই গ্যাস শুকিয়ে (সুস্থ/অজ্ঞান/অসাড় ফেলতেন। /অসুস্থ) করে
উত্তরঃ তিনি রুগিকে ওই গ্যাস শুকিয়ে অজ্ঞান করে ফেলতেন।
৫। চেতনা লোপ করতে সক্ষম এই মিষ্টিগন্ধ যুক্ত ওষুধটি - (লাফিং গ্যাস/ইথার/ক্লোরোফর্ম /হিলিয়াম)।
উত্তরঃ চেতনা লোপ করতে সক্ষম এই মিষ্টিগন্ধ যুক্ত ।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। সিমসনের আসল নাম কী?
উত্তরঃ সিমসনের আসল নাম হলজেমস্ ইয়ং সিম্পসন।
২। সিমসনের বাবা কী করতেন?
উত্তরঃ সিমসনের বাবা ছিলেন এক গরিব রুটিওয়ালা।
৩। ডাক্তারি পড়ার জন্য সিমসন কোথায় ভর্তি হল?
উত্তরঃ ডাক্তারি পড়ার জন্য সিমসন ভর্তি হল এডিনবরার মেডিকেল কলেজে।
৪। লাফিং গ্যাস কোন্ কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ লাফিং গ্যাস রোগীকে অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
৫। মিষ্টি গন্ধযুক্ত, ওষুধটির নাম কী?
উত্তরঃ মিষ্টি গন্ধযুক্ত ওষুধটির নাম হল ক্লোরোফর্ম।
❐ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। কে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন? সিমসন কী করল?
উত্তরঃ এক ডাক্তারবাবু তাঁর ছাত্রদের সামনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।
সিমসন দলের মধ্যে ঢুকে গিয়ে সেই বক্তৃতা মন দিয়ে শুনতে লাগল।
২। 'সে ভাবল ডাক্তারদের জীবন সার্থক' - কে ভাবল? তার এই ভাবনার কারণ কী?
উত্তরঃ সিমসন ভাবল ডাক্তারদের জীবন সার্থক। কারণ ডাক্তাররা রোগীর কষ্ট লাঘবে সক্ষম।
৩। 'কিন্তু তাঁর সহকর্মী বন্ধু তাঁকে বাধা দিয়ে বললেন।' তাঁর বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তিনি বাধা দিয়ে কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ 'তাঁর' বলতে এখানে সিমসনের কথা বলা হয়েছে।
তিনি বাধা দিয়ে খরগোশকে ওষুধটির গন্ধ শুকাতে বলেছিলেন।
৪। 'একদিন গবেষণাগারে এক নতুন ওষুধ তৈরি হল।' গবেষণাগার বলতে কী বোঝ? গবেষণাগারে তৈরি নতুন ওষুধটি কেমন ছিল?
উত্তরঃ গবেষণাগার বলতে এক পরীক্ষাগার যেখানে নানা ধরনের ওষুধ আবিষ্কার করা বা পরীক্ষা করা হয়।
গবেষণাগারে তৈরি ওষুধটি ছিল মিষ্টি গন্ধযুক্ত এক ধরণের রাসায়নিক।
৫। 'এরপর বেরুলো ইথার'- ইথার কী জাতীয় পদার্থ? কী কাজে এটি ব্যবহৃত হত?
উত্তরঃ ইথার হল একধরনের জৈব তরল পদার্থ।
এটি রোগীকে অজ্ঞান করতে ব্যবহৃত হত।
৬। সিমসন কীভাবে ডাক্তারি পাশ করল?
উত্তরঃ সিমসন লেখাপড়ায় ভালো ছেলে। সে একদিন এক ডাক্তার সাহেবের বক্তৃতা মন দিয়ে শুনলো এবং প্রতিজ্ঞা করলেন ডাক্তার হবে। ডাক্তারদের জীবন সার্থক বলে সে মনে করত। সে প্রতিজ্ঞা নিয়ে এডিনবরার মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করে ডাক্তার হলেন।
৭। সিমসনের ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা জাগল কেন?
উত্তরঃ সিমসন ভাবত ডাক্তাররা রোগীদের কষ্ট লাঘবে সক্ষম। ডাক্তারদের জীবন সার্থক বলে মনে করত সে। একদিন এক ডাক্তারকে ছাত্রদের সামনে বক্তৃতা দিতে দেখল এবং নিজেও মন দিয়ে শুনল। এখান থেকেই তাঁর ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা জাগল।
৮। 'মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছিলেন।'- মরতে মরতে বেঁচে যাওয়ার কারণ বুঝিয়ে বলো?
উত্তরঃ সিমসন গবেষণাগারে রোগীকে অজ্ঞান করার উদ্দেশ্যে নানা ওষুধ আবিষ্কার করতে লাগল এবং সেগুলি নিজে শুঁকে তার ফল সম্পর্কে অবহিত হত। এইসব গন্ধ শুঁকে কখনও তার খারাপ প্রভাবও তার উপর পড়েছে। তাই একথা বলা হয়েছে। কারণ গন্ধ শুঁকে খরগোশের মৃত্যুর কথা গল্পে বলা হয়েছে।
৯। 'হঠাৎ তন্দ্রায় ঢলে পড়লেন ওঁরা।'- ওঁদের তন্দ্রায় ঢলে পড়ার কারণ কী?
উত্তরঃ সিমসন ও তাঁর বন্ধু গবেষণাগারে পরীক্ষা করতে করতে এক মিষ্টি গন্ধযুক্ত রাসায়নিক ওষুধ আবিষ্কার করল। নিজেরা শুঁকে এই ওষুধটি সম্পর্কে অবহিত হতে গিয়ে তাঁরা তন্দ্রায় ঢলে পড়লেন।
১০। যা খুঁজছিলেন তা পেয়েছেন' খোঁজা জিনিসটি কীভাবে পেলেন তা বুঝিয়ে বলো।
উত্তরঃ রোগীর চেতনা লোপ করতে ওষুধ আবিষ্কারের জন্য সিমসন গবেষণাগারে পরীক্ষা করতে লাগলেন। অবশেষে ওষুধটি আবিষ্কার করলেন এবং শুঁকে অজ্ঞান হয়ে গেলেন। তারপর হইচই শুরু হওয়ার আগেই তাঁরা চৈতন্য ফিরে পেল। খোঁজা জিনিসটি এইভাবে তাঁরা আবিষ্কার করলেন, যা বেশ সুখকর।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১। 'চারিদিকে হইচই পড়ে গেল।' - প্রসঙ্গ উল্লেখ পূর্বক তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ সিমসন ছেলেবেলা থেকেই লেখাপড়ায় ভালো। সে একদিন এক ডাক্তারকে তাঁর ছাত্রদের সামনে চিকিৎসাবিদ্যা সম্বন্ধে বক্তৃতা দিতে দেখে এবং সে দলের মধ্যে ঢুকে বক্তৃতাটি মন দিয়ে শোনে। সেখান থেকেই ডাক্তার হওয়ার জেদ চেপে বসে। এডিনবরার মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ডাক্তারি পাশ করে। সে ছিল দয়ালু মনের এক মানুষ একদিন এক রোগীকে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে তার চিৎকার শুনে তার কষ্ট হয় এবং এর একটা উপায় বের করার চেষ্টা শুরু করেন। উপায়টা হল অস্ত্রোপচার কালে রোগীকে অজ্ঞান করার ওষুধ আবিষ্কার। ইতিমধ্যে লাফিং গ্যাস ও ইথার আবিষ্কৃত হয়েছে রোগীর চেতনা লোপ করতে। কিন্তু সিমসন । আরও ভালো কিছু চাইছেন। এই লক্ষ্যেই সে ক্লোরোফর্ম নামে এক মিষ্টি গন্ধযুক্ত রাসায়নিক তৈরি - করে, যা শুঁকতে গিয়ে তিনি ও তাঁর সহকারী বন্ধু চৈতন্য হারিয়ে ফেলে। সকলে হইচই আরম্ভ করে এবং ডাক্তার ডাকে। কিন্তু ডাক্তার আসার আগেই তাঁরা চৈতন্য ফিরে পায়।
২। জেমস্ ইয়ং সিমসনের চরিত্রে কোন্ কোন্ গুণ কী কারণে আমাদের আকৃষ্ট করে তা রচনাংশের অনুসরণে লেখ।
উত্তরঃ জেমস্ ইয়ং সিমসনের চরিত্রের ভালো গুণগুলি বৈশিষ্ট্যাকারে দেখানো যেতে পারে -
(ক) ছেলেবেলা থেকেই সে লেখাপড়ায় ভালো ছিল।
(খ) সে বই পড়ে বা বক্তৃতা শুনে জ্ঞান সংগ্রহ করত। সেইজন্য সে ডাক্তারবাবুর বক্তৃতা মন দিয়ে শুনেছিল।
(গ) সে ভাবত ডাক্তারদের জীবন সার্থক। তাই সে প্রতিজ্ঞা করল ডাক্তারি পড়বে। অবশেষে ডাক্তারি পাশ করে রোগীর কষ্ট লাঘবের পিছনে দৌড়াতে আরম্ভ করে।
অস্ত্রপাচারকালে রুগির আর্তনাদ দেখে চেতনা লোপ করার ওষুধ আবিষ্কার করতে উঠে পড়ে লাগলেন। শেষ পর্যন্ত ক্লোরোফর্ম আবিষ্কার করে রোগীর কষ্ট দূর করলেন।
রোগীর কষ্ট লাঘবের এই মহান প্রচেষ্টা তাকে তাঁর উন্নতির শিখর চূড়ায় আর এক ধাপ এগিয়ে দেয়।
৩। 'ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়'- প্রবাদ বাক্যটি সিমসনের জীবনে কতটা কার্যকরী হয়েছে বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ সিমসন ছিলেন এক গরিব রুটিওয়ালার ছেলে। বড়ই দুঃখের সংসার। কিন্তু লেখাপড়ায় খুব মেধাবী। ডাক্তারি পড়ার জেদ তার মাথায় চেপে বসে। কিন্তু অত টাকা খরচ করার সামর্থ্য তার বাবার নেই। যেভাবেই হোক কষ্ট করে পড়ার খরচ জোগাবে এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে এডিনবরার মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয় এবং কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করে বেরোয়। এরপর গল্পে আমরা দেখতে পাই রোগীর চেতনা লোপ করতে গবেষণাগারে ক্লোরোফর্ম আবিষ্কার তারই উজ্জ্বল কীর্তি। এইভাবে সে উন্নতির মহান শিখরে পৌঁছাতে পেরেছিল। তাই বলা যায় ইচ্ছে ছিল বলেই শত দারিদ্র্য সিমসনের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছিল।
৪। তোমার জীবনের লক্ষ্য কী এবং কেন?
উত্তরঃ আমার জীবনের লক্ষ্য একজন শিক্ষক হওয়া।
কারণ শিক্ষক হয়ে সমাজকে বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষিত করার কাজে এগোবো। সমাজকে শিক্ষিত করে তুললেদেশের উপকার হবে।
❐ পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
(ক) সন্ধিবদ্ধ পদ খুঁজে বার করে সন্ধিবিচ্ছেদ করো:
১। উচ্চারণের সুবিধার জন্য লোকে তাকে সিমসন বলেই ডাকত।
উত্তরঃ উচ্চারণ = উৎ + চারণ।
২। রোগার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবের।
উত্তরঃ রোগার্ত = রোগ + আর্ত।
৩। একদিন এক রুগির দেহে অস্ত্রোপচার হচ্ছিল।
উত্তরঃ অস্ত্রোপচার = অস্ত্র + উপচার।
৪। পরীক্ষা চালাতে লাগলেন সিমসন।
উত্তরঃ পরীক্ষা = পরি + ইক্ষা।
(খ) পদান্তর করো:
আহরণ - আহরিত;
পথ - পথ্য;
দল - দলীয়;
কোমল - কোমলতা;
প্রচলন - প্রচলিত;
শ্রদ্ধা - শ্রাদ্ধ;
আনন্দ - আনন্দিত;
(গ) শব্দার্থসহ বাক্যরচনা করো:
বক্তৃতা (ভাষন) – মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনতে ভিড়ে লোক গিজগিজ করছে।
আহরণ (সঞ্চয়) - মৌমাছি ফুলথেকে মধু আহরণ করে।
মোচন (লাঘব বা কম করা) - ডাক্তার রোগীর কষ্ট মোচনের ওষুধ দেন।
কর্তৃত্ব (ক্ষমতা) - সকলের কর্তৃত্ব সমান নয়।
প্রতিকার (সমাধান)- করতে শ্রম দিতে হয়। সমস্যার প্রতিকার
(ঘ) বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:
জ্ঞান - অজ্ঞান;
সুযোেগ - বিয়ােযাগ
সামনে - পিছনে;
তরল - কঠিন;
সার্থক - নিরর্থক।
(ঙ) সমার্থক প্রতিশব্দ লেখো:
বদলে - পাল্টে, পরিবর্তন।
টাকা - পয়সা, কড়ি।
বন্ধু - মিত্র, সখা।
পথ - রাস্তা।
No comments:
Post a Comment