❐ সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করে লেখো:
১। এক বৃন্তে দুটি কুসুম এক (ভারতে/পাকিস্তানে/ নেপালে/বাংলাদেশে) ঠাঁই।
উত্তরঃ এক বৃন্তে দুটি কুসুম এক ভারতে ঠাঁই।
২। দুই জাতি ভাই সমান মরে (মরণ/বন্যা/মড়ক/ মহামারি) এলে দেশে।
উত্তরঃ দুই জাতি ভাই সমান মরে মড়ক এলে দেশে।
৩। দুজনারই মাঠেরে ভাই সমান (ফুল/বৃষ্টি/পাতা/ লতা) ঝরে।
উত্তরঃ দুজানরই মাটেরে ভাই সমান বৃষ্টি ঝরে।
৪। বাইরে শুধু রঙের তফাৎ ভিতরে (খেদ/ছেদ/ ভেদ/মেদ) নাই।
উত্তরঃ বাইরে শুধু রঙের তফাৎ ভিতরে ভেদ নাই।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১।দুই সহোদর ভাই বলতে কাদের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ হিন্দু ও মুসলমানের কথা বলা হয়েছে।
২। 'খোদার উপরে খোদকারি' বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ বিধাতার সৃষ্টিকে অবহেলা করে মানুষ যখন নূতন কিছু করে।
৩। বিধাতার বিচার কী রকম?
উত্তরঃ বিধাতা সকলের স্রষ্টা, তাই তাঁর বিচারে কোনো বৈষম্য নেই।
৪। 'ত্রিভুবন' বলতে কোন্ কোন্ ভুবনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল।
❐ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। 'আমাদের হীন দশা এই তাই' আমাদের হীনদশার কারণ কী?
উত্তরঃ পারস্পরিক ধর্মীয় বিভেদের জন্যই আজ আমাদের এত হীন দশা।
২। বিধাতার বিচারে মানুষের মধ্যেকার বিভেদ ঘুচে যায় কীভাবে?
উত্তরঃ মড়ক ও বন্যাতে মানুষের মধ্যেকার সকল বিভেদ ঘুচে যায়।
৩। কবিতায় হিন্দু ও মুসলিম উভয় জাতিকে সৃষ্টিকর্তা কী কী সমানভাবে দান করেন?
উত্তরঃ আলোক ও বৃষ্টিপাত।
৪। 'এক বৃন্তে দুটি কুসুম'- উদ্ধৃতিটি কোন্ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে? কবি কোন্ দুটি কুসুমের কথা বলেছেন? তাদের মাতৃভূ মির নাম কী?
উত্তরঃ মোরা দুই সহোদর ভাই। হিন্দু ও মুসলমান। ভারতবর্ষ।
৫। "আমাদের হীনদশা এই তাই" অংশটি কোন্ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে? আমাদের বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? আমাদের হীন দশা কেন?
উত্তরঃ মোরা দুই সহোদর ভাই।
হিন্দু ও মুসলমান।
পারস্পরিক ধর্মীয় বিভেদের জন্যই আজ আমাদের এত হীন দশা।
৬। "সব জাতিরই সকলকে তাঁর দান যে সমান করে” – উদ্ধৃতিটি কোন্ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে? কে সব জাতিকে সমান দান করেন? কী কী দান করেন?
উত্তরঃ মোরা দুই সহোদর ভাই। বিধাতা - বৃষ্টিপাত ও আলোক।
৭। "বাইরে শুধু রঙের তফাৎ ভিতরেভেদ নাই" অংশটি কোন্ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে? 'বাইরে' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ভিতরে ভেদ নাই কেন?
উত্তরঃ মোরা দুই সহোদর ভাই।
'বাইরে' বলতে ধর্ম, বর্ণ ও আকার আকৃতিতে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকমের হয়।
উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে লাল রক্ত সঞ্চারিত হচ্ছে। সকলেরই সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর। সকলেই এক ঈশ্বরের আরাধনা করে। তাই সকল মানুষের মধ্যেই এক অদৃশ্য আন্তর সমতা অলক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১। হিন্দু মুসলমান এই দুই জাতির সম্প্রীতিরক্ষার বিষয়ে কবি যা বলেছেন তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ "মোরা দুই সহোদর ভাই"- কবিতায় সাম্যবাদী কবি বিভেদ ভুলে গিয়ে দুই জাতির সম্প্রীতি রক্ষার কথা বলেছেন। তাঁর মতে ভারতীয়রা হিন্দু ও মুসলমান একই মায়ের দুই সন্তান। সহোদর ভাই যেমন পরস্পরের মধ্যে এক স্নেহ সুনিবিড় বন্ধন অনুভব করে, ভারতীয় হিন্দু মুসলমানও তেমনি এক মন এক প্রাণ হয়ে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে দেশের জন্য কাজ করে যাবেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য পূর্বে যেমন মিলিত ভাবে কাজ করেছেন, তেমনি আগামী দিনেও তাঁরা দেশ ও জাতির জন্য সমবেতভাবে কাজ করবেন বলে কবি আশা করেন।
২। 'মোরা দুই সহদোর ভাই' কবিতায় কবি যে যে কারণে হিন্দু ও মুসলিম উভয় জাতিকে ৪। সহোদর ভাই বলেছেন তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ সাম্যবাদী কবি নজরুল ইসলাম 'মোরা দুই সহোদর ভাই' কবিতায় হিন্দু মুসলিম উভয় জাতিকে সহোদর ভাই বলেছেন। কবির মতে ভারতমাতার দুই সন্তান, হিন্দু ও মুসলমান। তাঁদের পথ ভিন্ন হলেও লক্ষ্য কিন্তু এক। মন্দিরে মসজিদে তাঁরা একই পরমস্রষ্টার উদ্দেশ্যে যখনই ব্যাহত হয়, তখনই নেমে আসে নানা অভিশাপ। পরম পুরুষের দানে সকলেরই তুষ্ট থাকা দরকার। বন্যা, মড়ক সকলকেই সমানভাবে কষ্ট দেয়। ভারতীয় হিন্দু ও মুসলমান যখন একই সহোদর ভাইয়ের সম্প্রীতি নিয়ে কর্মসাধনায় ব্রতী হবে, তখন আরকোনো বাধা থাকতে পারে না।
❐ পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
১। বাক্যগঠন করো (বিশেষ্য ও বিশেষণ থাকবে):
কুসুম - মোরা এক বৃত্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান।
মড়ক - মড়ক কোনোদিন হিন্দু মুসলমান বিচার করে না।
কুটীর - গ্রামে এখনও অনেক কুটীর দেখা যায়।
নয়ন - মুসলিম তার নয়নমণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।
২। পদপরিবর্তন করো: ভারত, দেশ, জাতি, রং।
ভারত - ভারতীয়;
দেশ - দেশীয়;
জাতি - জাতীয়;
রং- রঙিন।
৩। নিম্নলিখিত পদগুলির কারক বিভক্তি নির্ণয় করো।
i. মোরা বিবাদ করে করি খোদার উপরে খোদকারি।
উত্তরঃ কর্তৃকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
ii. বিধাতার সেই বিচারে ভাই বিভেদ নাহি পাই।
উত্তরঃ কর্মকারকে 'এ' বিভক্তি।
iii. এ বাগানখানি দেখ রে নয়ন মেলে।
উত্তরঃ করণ কারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
iv. একবৃত্তে দুটি কুসুম এক ভারতে ঠাঁই।
উত্তরঃ অধিকরণ কারকে 'এ' বিভক্তি।
৪। সন্ধি (যুক্ত ও বিচ্ছেদ) করো:
সহোদর = সহ + উদার;
বৃষ্টি = বৃষ + তি।
৫। সমার্থক শব্দ লেখো:
বিধাতা - ঈশ্বর, ভগবান।
কুসুম - ফুল, পুষ্প।
নয়ন- চোখ, আঁখি।
No comments:
Post a Comment