👉(মোরা দুই সহোদর ভাই কবিতার প্রশ্ন উত্তর)
❐ সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করে লেখো:
১। বাবু বলে, সারা (জীবন/জনম/বছর) মরলিরে তুই খাটি।
উত্তরঃ জনম।
২।বলতো কেন লবণপোরা (জীবনভরা /সাগরভরা / পুকুরভরা) পানি।
উত্তরঃ সাগরভরা।
৩।তোমার দেখি জীবনখানা (আট / বারো /ষোলো) আনাই মিছে।
উত্তরঃ ষোলো।
৪।(বৃদ্ধ/মূর্খ/শ্রান্ত) মাঝি বলে এখন কেন কাবু?
উত্তরঃ মূর্খ।
৫। নদীর (পাণি/ধারা /জীবন) কেমনে আসে পাহাড় হতে নেমে?
উত্তরঃ ধারা।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। বাবুমশাই বোটে চড়েছিলেন কেন?
উত্তরঃ সখ মেটানোর জন্য বোটে চড়েছিলেন।
২। বাবুমশাই মাঝিকে প্রথমে কী জিজ্ঞাসা করেছিলেন?
উত্তরঃ বাবুমশাই মাঝিকে জিজ্ঞাসা করেছিল সূর্য কেন ওঠে?
৩। জোয়ার কী?
উত্তরঃ চন্দ্র-সূর্যের আকর্ষণে জল ফুলে ওঠাকে জোয়ার বলে।
৪। চাঁদের বাড়া-কমা ঘটে কেন?
উত্তরঃ চাঁদের নিজেস্ব কোনো আলো নেই। চাঁদের যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে, সে অংশ আমরা দেখতে পাই। তাই চাঁদকে বাড়া-কমা মনে হয়।
৫। গ্রহণ কাকে বলে?
উত্তরঃ যখন চাঁদ-সূর্য-পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে তখন কখনো চাঁদকে আবার কখনো সূর্যকে দেখা যায় না তাকে গ্রহণ বলে।
৬। মাঝি লজ্জা পেয়েছিল কেন?
উত্তরঃ বাবুমশাই যখন একের পর এক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিল তখন মূর্খ মাঝি উত্তর দিতে না পারায় লজ্জা পেয়েছিল।
৭। মাঝি বাবুর জীবনটাকে যোলো আনাই মিছে বলেছে কেন?
উত্তরঃ কারণ বাবু উচ্চশিক্ষিত হলেও নিজের জীবনটা বাঁচানো তার কাছে শ্রেয় বলে মনে হয়েছে। বাবু শিক্ষিত হলেও নৌকা ডোবার ভয় তাকে পুরোটার মিছে বলে মনে হয়েছিল।
৮। বাবু মশাই কখন ভীত হয়েছিল?
উত্তরঃ যখন ঝড় উঠে নদীর জল ফুটে ওঠে। আর নৌকা ডুবোর মতো অবস্থা তখন ভীত হয়েছিল।
❐ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। মাঝি কেন সারাজীবন খেটে মরছে বলে বাবুমশাইয়ের মনে করেছেন?
উত্তরঃ মাঝির কাজ হলো নৌকার দাঁড় বেয়ে লোককে এপার ওপার করা। তাই বৃদ্ধ মাঝি নৌকার দাঁড় টানা ছাড়া আর কোনো বাইরের জগৎ সম্পর্কে খোঁজও নেন না। এই সম্বন্ধে পিছিয়ে রয়েছে কারণ তার কোনো ধারণায় নেই। তাই মাঝি শুধু খেটে মরেছে বলে মনে হয়েছে বাবুমশাইয়ের।
২। চারটি বাক্যে মাঝির একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ মাঝি ছিলেন মূর্খ। মাঝি একজন বৃদ্ধ লোক। মাঝির কাজ ছিল নৌকার দাঁড় টানা। মাঝি বাস্তব বোধ সম্পন্ন ছিল।
৩। বাবুমশাই মাঝিকে এত প্রশ্ন করছিলেন কেন?
উত্তরঃ বাবমশাইয়ের মধ্যে যে শিক্ষার মহত্ত ছিল সেটা মাঝিকে জানাতে চাইছিল। বাবুমশাই উচ্চশিক্ষা লাভ করলেও তিনি প্রকৃত শিক্ষিত নন। তাই বাবু মাঝি মূর্খ জেনেও বারবার হেনস্থা করার জন্যই তাঁকে নানারকম প্রশ্ন করেছিলেন।
৪। মাঝির জীবনটাকে চার আনা, আট আনা, বারো আনা বৃথা বলার মধ্যে দিয়ে বাবুর কোন জাতীয় মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তরঃ বাবুমশাই শিক্ষিত হলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি শিক্ষিত নন। কারণ তার মধ্যে শিক্ষার যে অহংকার ছিল তা মাঝিকে অপদস্থ করতে চাইছিল। তাই চার আনা, আট আনা, বারো আনা বৃথার মধ্য দিয়ে বাবুর অহংকার মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।
৫। বাবুমশাই এর প্রশ্ন আর মাঝির প্রশ্নের পার্থক্য কোথায়?
উত্তরঃ বাবুমশাই ছিলেন পুঁথিগত তাই বিভিন্ন ব্যঙ্গাতক প্রশ্নে মাঝিকে মুখোমুখি করে। বাবু শিক্ষিত হলেও বাস্তব সম্পর্কে কোনো জ্ঞান ছিল না। অপরদিকে মাঝি বাস্তববোধ সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। মাঝি মূর্খ হলেও বাস্তব সম্পর্কে জ্ঞান ছিল।
৬। "বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব কোরো পিছে" এখানে বক্তা কে? সে কাকে এই কথা বলেছে? এই কথা বলার কারণ কী?
উত্তরঃ এখানে বক্তা মূর্খ মাঝি।
মাঝি বাবুমশাইকে এই কথা বলেছে।
মাঝি ও বাবুমশাই এর মধ্যে যখন কথোপকথন চলছিল, ঠিক সেই সময় প্রবল বেগে ঝড় উঠে নদী জল ফুটে ওঠে। আর নৌকার ডুবো ডুবো অবস্থা দেখে বাবুমশাই ভয় পেয়ে যায়। বাবুর মনে পড়ে বেঁচে আর বাড়ি ফিরে যেতে পারব কি। তাছাড়া বাবুমশাই সাঁতার জানে না। তাই জানা অজানা নিয়ে বোঝার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বিপদের মধ্যে থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নেওয়ায় সর্বত্তম বলে মনে করে মাঝি।
৭। "কেন এমন নীল দেখা যায় আকাশের এই চূড়ো" - উদ্ধৃতিটি কোন কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে? বক্তা কাকে এই প্রশ্ন করেছেন? আকাশের ওই চূড়া বলতে তুমি কী বোঝ?
উত্তরঃ উদ্ধৃতিটি 'বিদেবোঝাই বাবুমশাই' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
বাবুমশাই বৃদ্ধ মাঝিকে এই প্রশ্ন করেছেন।
আকাশের 'চূড়া' বলে কোনো জিনিস নেই। মহাশূ ন্যে কোনো চূড়া নেই। বাবুমশাই মাঝিকে ব্যঙ্গাত্মক রসিকতার ছলে আকাশের চূড়া বলেছেন।
৮। "খানিকবাদে ঝড় উঠেছে"- কখন ঝড় উঠেছিল? ঝড় ওঠার পর কী ঘটেছিল?
উত্তরঃ যখন বাবুমশাই মাঝিকে বিভিন্ন প্রশ্নে জর্জরিত করেছেন ঠিক সেই সময় ঝড় উঠেছিল।
ঝড় ওঠার পর বাবু ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। যদি নৌকা ডুবে যায় তাহলে তিনি ডুবে যাবেন কারণ সাঁতার জানে না বাবুমশাই। এই সুযোগে মাঝি বাবুমশাইকে তার শিক্ষার ব্যঙ্গ রসিকতার করে বলে সে তার জীবনটা পুরোটায় মিথ্যে।
৯।"বাবু বলেন এই বয়সে জানিসনেও তা কি" বাবু কাকে এই কথা বলেছেন? এই বয়স বলতে কেমন বয়সের কথা বলা হয়েছে? ব্যক্তিটি কী জানে না?
উত্তরঃ বাবু মাঝিকে এই কথা বলেছেন।
এই বয়স বলতে বৃদ্ধ বয়সের কথা বলা হয়েছে। বৃদ্ধ মাঝিটি জানে না যে, কেমন করে পাহাড় থেকে নদীর ধারা নেমে আসে। কেন সমুদ্রের জল লবণে ভরা এই সব প্রশ্নের উত্তর মাঝি জানে না।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১।কবি বাবুকে 'বিদ্যেবোঝাই' বলেছেন কেন তা নিজের ভাষায় লেখ।
উত্তরঃ সুকুমার রায়ের লেখা 'বিদ্যে বোঝাই বাবুমশাই' কবিতায় বাবুকে কবি বিদ্যে বোঝাই বলেছেন কারণ নানা প্রশ্নে জর্জরিত করে মূর্খ মাঝিকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে। আসলে অনেক বিদ্যা আছে। কিন্তু তিনি বিদ্বান নন। বিদ্বান কথার অর্থ জ্ঞানী। একজন জ্ঞানী শিক্ষিত মানুষ কখনোই মূর্খ ব্যক্তিকে এঝাবে নানা প্রশ্নে সম্মুখীন করে না। কিন্তু বিপদের সময় মাথা ঠিক রেখে কিভাবে বিপদ থেকে মুক্ত হবে এই জ্ঞানটি বাবু মশাইয়ের ছিল না। তাই এই কারণে কবি একথা বলেছেন।
২। 'বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই' কবিতাটি তোমার কেন ভালো লেগেছে তা বুঝিয়ে বলো।
উত্তরঃ বিদ্যেবোঝাই বাবু মশাই কবিতাটি বিভিন্ন কারণে ভালো লেগেছে। এই কবিতা ব্যঙ্গ-রসিকতার ছলে লেখা হয়েছে। এটি হাস্যকর কবিতা হিসাবে উৎসাহিত পেয়েছে। বাবুমশাই এই কবিতাতে শিক্ষিত হয়েও বাস্তব কর্মজীবনের সম্পর্কে কোনো জ্ঞান ছিল না। বাবুমশাই মূর্খ মাঝিকে নানা প্রশ্নে জর্জরিত করেছে। এখানে পুঁথিগত শিক্ষার থেকে কর্মের শিক্ষাকে অনেক বেশী বড়ো করে দেখানো হয়েছে।
৩। বিদ্যে বোঝাই বাবুমশাই কবিতাটিকে নাট্যধর্মী কবিতা বলার কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ কবিতাটিকে নাটকীয়ভাবের প্রকাশ পাওয়া গেছে। কারণ নাটকের মধ্যে রয়েছে সংলাপ।
বাবুমশাই ও মাঝি উভয়ের প্রতি সংলাপ প্রকাশ পেয়েছে এই কবিতাটি কবিতার আকারে লেখা থাকলেও নাট্যকীয় রূপের পার্থক্য রয়েছে। নাটকের প্রধান রূপ একটার পর একটা ঘটনা ঘটা। ঠিক একইভাবে এই কবিতাটি এগিয়ে গিয়েছে। আরও একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে নাট্যধর্মী কবিতারূপে। যথা চরিত্র। এখানে মাঝিও বাবুমশাই-এর চরিত্র লক্ষ্য করা যায়। অতএব 'বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই' কবিতাটিকে সব দিক থেকে লক্ষ্য করলে বলা যায় যে, এটি নাট্যধর্মী কবিতা।
❐ পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
১। বাক্যগঠন করো:
বিদ্যেবোঝাই- বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই কবিতাটি হাস্যকর কবিতা।
বোট - বোটে চড়ে মানুষ এপার ওপার করে।
কাবু - নৌকা ডোবার ভয়ে বাবুমশাই কাবু হয়েছে
ষোলোআনা - মাঝি মনে করে যে, বাবুর জীবনটায় ষোলো আনা মিথ্যে।
২। প্রতিশব্দ লেখো: (২টি করে)
সূর্য – ভাস্কর, তপন;
পাহাড়ে - গিরি, পর্বত;
চাঁদ - শশি, চন্দ্র;
আকাশ - গগন, ব্যোম।
৩। নিম্নে মোট অক্ষরের পদগুলি কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো:
(ক) বিদ্যে বোঝাই বাবুমশাই চড়ি শখের বোটে।
উত্তরঃ অধিকরণ কারকের 'এ' বিভক্তি।
(খ) পাহাড় হতে নেমে।
উত্তরঃ অপাদান কারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
(গ) সূর্য-চাঁদে গ্রহণ লাগে কেন?
উত্তরঃ অধিকরণ কারকের এ বিভক্তি।
(ঘ) জীবন খানা ষোলো আনাই মিছে।
উত্তরঃ কর্মকারকের শূন্য বিভক্তি।
No comments:
Post a Comment