❐ সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করে লেখো:
১। হায়রে মানুষ, কবিতাটির লেখক হলেন, (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর/ কাজী নজরুল ইসলাম/আলমাহমুদ / বন্দে অলি মিঞা)।
উত্তরঃ আল মাহমুদ।
২।উঠোন জুড়ে ফুল ফুটেছে আকাশ ভরা (মেঘ/তারা/চন্দ্র/সূর্য)।
উত্তরঃ তারা।
৩।মানুষ হওয়ার জন্য কত পার হয়েছি (ধাপ/নদী/ সিঁড়ি/পথ)।
উত্তরঃ সিঁড়ি।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। ছোটবেলায় কবির কাছে কী দামি ছিল?
উত্তরঃ ছোটবেলায় কবির কাছে খেলায় ছিল সবচেয়ে দামি।
২। কবির প্রাণ কখন আত্মহারা হতো?
উত্তরঃ তারার দেশে ওড়ার সময় কবির প্রাণ আত্মহারা হতো।
৩। মন কখন শহর থেকে উড়ে যেতো?
উত্তরঃ কবির পিঠে যখন কেউ পরীর ডানা পরিয়ে দিত তখন কবির মন উড়ে যেতো।
৪। কবির খেলার সাথী কারা ছিল?
উত্তরঃ কবির খেলার সাথী ছিল প্রজাপতির ঝাঁক।
৫। দৈত্য এসে কী বলল?
উত্তরঃ পাখনা দুটো ভেঙে মানুষ হতে বলল দৈত্য।
৬। চুল কিভাবে শন হয়েছে?
উত্তরঃ জ্ঞানেরগেলাস পান করে চুল শন হয়েছে।
৭।অফিসবাড়ির মধ্যে কে কলম ধরেছে?
উত্তরঃ রোবট অফিসবাড়ির মধ্যে কলম ধরেছে।
৮। মানুষকে কবি কী বলেছেন?
উত্তরঃ মানুষকে কবি রঙিন ফানুস বলেছেন।
❐ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। কবির পিঠে কখন পরীর ডানা জুড়ে যেত?
উত্তরঃ জ্যোৎস্নার রাতে বুড়িগঙ্গা নদীতে যখন ঢেউ উঠত তখন কবির পিঠে পরীর ডানা জুড়ে যেত।
২। মানুষ হওয়ার জন্য কবি কী কী করেছেন?
উত্তরঃ মানুষ হওয়ার জন্য কবি গাধার মতো বিচ্ছিরি স্বাদহীন বই পড়ে জ্ঞান আহরণ করেছেন।
৩। জ্ঞানের গেলাস পান করার ফলে কী হয়েছে?
উত্তরঃ জ্ঞানের গেলাস পান করার ফলে চুল শন অর্থাৎ পাটের মতো ফ্যাকাসে হয়ে গেছে।
৪। নরম গদিতে বসে কারা কী করে?
উত্তরঃ মানুষ নরম গদিতে বসে কম্প্যুটারে শ্লোক লেখে আর লোক ঠকানো হিসাব কষে।
৫। ঘূর্ণিঝড় উঠলে কী হয়?
উত্তরঃ ঘূর্ণিঝড় উঠলে বাংলাদেশের কপাল পোড়ে।
৬। কী রকম মানুষ হওয়ার ইচ্ছা কবির নেই?
উত্তরঃ রঙিন ফানুষের ন্যায় মানুষ হওয়ার ইচ্ছা কবির নেই।
৭। 'দেহ থাকত এই শহরে উড়াল দিত মন' উদ্ধৃতিটি কার লেখা কোন কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে? শহর ছেড়ে কবির মন উড়ে গেলে কী ঘটত?
উদ্ধৃতিটি আল মাহমুদ রচিত 'হায়রে মানুষ' কবিতার।
উত্তরঃ কবির মন উড়ে গিয়ে তারাদের মাঝে হাঁটত, নীল চাঁদের দেশে রাত কাটাতো, মেঘের ছিটার ঝিলিক পেয়ে নয়নভরে হাসত।
৮। 'পাখনা দুটো ভেঙে বলে মানুষ হতে হবে।' অংশটি কোন কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে? কবি কে? কে মানুষ হতে বলে? মানুষ হওয়ার জন্য কবি কী কী করেছে?
উত্তরঃ অংশটি 'হায়রে মানুষ' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
কবি হলেন আল মাহমুদ। দৈত্য মানুষ হতে বলে।
মানুষ হবার জন্য কবি কত সিঁড়ি পার করেন, গাধার মতো বিচ্ছিরি স্বাদহীন বই পড়েন।
৯। 'মানুষ হওয়ার ইচ্ছে আমার এক্কেবারে নাই।' - উদ্ধৃত অংশটি কোন্ কবিতা থেকে সংকলিত? কোন্ ধরনের মানুষ হওয়ার ইচ্ছা কবির নেই? কেন কবি ঐ রকম মানুষ হতে চান না?
উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি 'হায়রে মানুষ' কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে।
মানুষ ঠকানো, রঙিন ফানুসের ন্যায় মানুষ হওয়ার ইচ্ছা কবির নেই।
কাগজের তৈরী রঙিন বেলুনের ন্যায় হাওয়ায় উড়ে, লোক ঠকিয়ে, গদিতে বসে গাণিতিক হিসাব করে, কম্প্যুটারে শ্লোক লিখে, সমস্তরকম আনন্দ বিসর্জন দিয়ে কবি মানুষ হতে চান না।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১। 'হায়রে মানুষ' কবিতায় কবি শৈশবের যে স্বপ্ন রঙিন সময়ের ছবি এঁকেছেন তা নিজের ভাষায় ব্যক্ত করো।
উত্তরঃ শৈশবে মন থাকে স্বপ্ন রঙিন ও আনন্দে পরিপূর্ণ। কবি যখন শিশু ছিলেন তখন তার কাছে খেলায় ছিল দামী। উঠোন ভরা ফুল, আকাশ ভরা তারার দেশে উড়বার জন্য কবির মন আত্মহারা হয়ে উঠত। বুড়ি গঙ্গা নদীতে জ্যোৎস্না রাতে যখন ঢেউ উঠত তখন কে যেন কবির পিঠে ডানা পরিয়ে দিত। তখন কবির মন উড়ে যেত তারাদের দেশে, নীল চাঁদের দেশে। এইভাবেই কবি শৈশবের একটি স্বপ্নরঙিন ছবি এঁকেছেন।
২। 'সবাই মানুষ হতে চায়। কিন্তু কবি কী কারণে তথাকথিত মানুষ হতে চাননি তা 'হায়রে মানুষ' কবিতা অবলম্বণে গুছিয়ে লেখ।
উত্তরঃ সবাই মানুষ হতে চায় কিন্তু প্রকৃত মানুষ আর কতজন হয়। কারণ এখানে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্বের বড়ই অভাব। আনন্দ-হাসি মন থেকে দূর হয়েগেছে। মানুষ শুধু গানিতিক হিসাব কষে লোক ঠকানোর চিন্তায় মগ্ন। মানুষ হয়ে আজ তারা মনুষ্যত্বের পরিচয় না দিয়ে জন্তুর মতো আচরণ করছে। তাই কবি বলছেন, যে সমাজে প্রেম-প্রীতি, মনুষ্যত্ব ও বিবেক নেই, সেই সমাজের মানুষ হতে তিনি চান না।
❐ পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
১। নিম্ন রেখাঙ্কিত শব্দগুলির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো:
i. উঠোন জুড়ে ফুল ফুটেছে, আকাশ ভরা তারা।
উত্তরঃ কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
ii. নীল চাঁদোয়ার দেশে হঠাৎ রাত ফুরাত না।
উত্তরঃ অধিকরণ কারকে 'এ' বিভক্তি।
iii. দেহ থাকত এই শহরে উড়ান দিত মন।
উত্তরঃ অধিকরণ কারকে 'এ' বিভক্তি / কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
২। পদ পরিবর্তন করো:
মেঘ - মেঘলা;
দেশ - দেশীয়
মন - মনীয়;
শাসন – শাসনীয়।
৩। সন্ধি (যুক্ত ও বিচ্ছেদ) করঃ
সংসার = সম্ + সার
ব্যাকুল = বি + আকুল।
৪। সমার্থক শব্দ লেখ
নয়ন - চোখ;
ফুল - পুষ্প;
পরাণ - প্রাণ;
চুল - কেশ;
উচ্চ- লম্বা;
ক্ষুদ্র - ছোটো
জীবন- প্রান।
No comments:
Post a Comment