👉(হায়রে মানুষ কবিতার প্রশ্ন উত্তর)
❐ সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করে লেখো:
১। আমাদের যুগে আমরা খেলেছি (কড়ি ঘড়ি/পুতুল/কম্পিউটার) খেলা।
উত্তরঃ পুতুল।
২। তোমরা এখন কালের জাহাজ চালাও (আকাশ/বাতাস/গগন/পৃথিবী) জুড়ে।
উত্তরঃ গগন।
৩। তৃণ ও তরুকে সরস করবে (সাগর / নদী /জলাশয় / পুকুর)।
উত্তরঃ নদী।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। আমাদের যুগের বলতে কোন্ যুগের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ আমাদের যুগের বলতে কবিদের যুগের কথা বলা হয়েছে।
২। এ যুগ বলতে কোন যুগকে বোঝায়?
উত্তরঃ এ যুগ বলতে আধুনিক যুগের কথা বলা হয়েছে।
৩। উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুতে কী কী রয়েছে?
উত্তরঃ উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুতে বরফ, শ্বেত ভল্লুক, উত্তর মহাসাগর ও দক্ষিণে দক্ষিণ মহাসাগর রয়েছে।
৪। পাতালপুরীর অজানা কাহিনী কীভাবে জানা যায়?
উত্তরঃ এখনকার আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে মানুষ পাতালে গিয়ে অজানা রহস্যভেদ করে আনতে সম্ভবপর হয়ে উঠছে।
৫। 'এই মাটি মা' বলতে কোন মাটি মার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ এই মাটি মা বলতে আমাদের দেশের মাটি অর্থাৎ জন্মভূমির কথা বলা হয়েছে।
❐ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। কারা পুতুল খেলে? পুতুল খেলা বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ শিশুরা পুতুল খেলে।
পুতুল খেলা শিশু মনকে আনন্দ দেয়, সেখানে তাদেরকে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। কেবল খেলেই যায়।
২। 'লেখাপড়া করো মেলা।' - 'মেলা' শব্দটির অর্থ কী? আমরা লেখাপড়া করি কেন?
উত্তরঃ 'মেলা' শব্দটির অর্থ হল 'প্রচুর'। আমরা আমাদের জ্ঞানের সীমাকে বাড়াবার জন্য ও বিভিন্ন নতুন নতুন অচেনা বা অজানা তথ্য জানবার জন্য লেখাপড়া করি।
৩। 'উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু সব তোমাদের জানা' - উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু বলতে কী বোঝ? এইসব ধারণা তারা লাভ করল কীভাবে?
উত্তরঃ মহাদেশ ও মহাসাগরের সম্মিলনে পৃথিবী গঠিত হয়েছে। মহাদেশের উত্তর দিকে উত্তর মেরু আর দক্ষিণ দিকে দক্ষিণ মেরু রয়েছে। বিভিন্ন বই পড়ে আধুনিক প্রযুক্তি ও টেলিভিসনের মাধ্যমে তারা এইসব ধারণা লাভ করেছে।
৪। জগৎ করিবে মধুময়, প্রাণে প্রাণে বাঁধি ডোর।' - কারা জগৎ মধুময় করে তুলবে? 'প্রাণে প্রাণে বাঁধি ডোের' বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ এ যুগের ছেলেমেয়েরা তাদের জ্ঞানের - শিখা দীপ্ত করে জগৎ মধুময় করে তুলবে। এযুগের ছেলেমেয়েরা জ্ঞানের প্রদীপ জ্বেলে, অজানা বা অচেনাকে জেনে বা চিনে, পরকে আপন করে প্রাণে প্রাণে সুতো বেঁধে একে অপরে মিলিত হয়ে তারা এগিয়ে গিয়ে সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলবে।
৫। 'উড়ায়েছি শুধু ঘুড়ি'- অংশটি কোন কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে? ঘুড়ি উড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ কী?
উত্তরঃ অংশটি সুফিয়া কামালের লেখা 'আজিকার শিশু' কবিতার অংশ। তখনকার দিনে মেয়েদের বাইরে বেরোনোর স্বাধীনতা ছিল না। ঘরের মধ্যেই বন্দী হয়ে থাকতে হত। লেখাপড়ার কোন ছোঁয়া তাদের মনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারত না। ফলে তেমন কাজ থাকত না, তাই ঘুড়ি ওড়াবার কথা বলা হয়েছে।
৬। 'তোমরা আনিবে ফুল ও ফসল' - ফুল ও ফসল বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? কারা সেগুলি বয়ে আনবে?
উত্তরঃ এদেশের ছেলেমেয়েরা নতুন কিছু আবিষ্কার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। মেয়েরা জ্ঞান অর্জনে সক্ষম হবে। তবেই তো নতুন আলোর ফুল ফুটবে আর নতুন ধারার ফসল ফলবে। এযুগের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা সেগুলি বহন করে এনে নতুন পৃথিবী গড়ে তুলবে।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১। 'লেখাপড়া করো মেলা' পঙক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ আধুনিক পৃথিবীতে কারোর এক মুহূর্ত বসবার সময় নেই। সবাই নিজের কাজে ব্যস্ত। সকলেই নিজেদের ছেলেমেয়েদের জীবনকে উজ্জ্বল করতেছোট থেকেই তাদের পিছনে উঠে পড়ে লাগে। ফলে তারা পড়া পড়া খেলা ছাড়া আর কিছুই জানতে পারে না। তাই উপরিউক্ত উদ্ধৃতিটি করা হয়েছে।
২। 'আমাদের ঘরে আলোর অভাব কভু নাহি হবে আর' - আলোর অভাব না হওয়ার কারন বর্ণনা করো।
উত্তরঃ বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে আমাদের জীবনযাপনের চিত্রটাও পাল্টে যাচ্ছে। আগে দেশে দেশে বিদ্যুত না থাকায় মানুষকে অনেক অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এ যুগের ছেলেমেয়েরা শিক্ষালাভের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে সমাজকে তথা দেশকে আলোর দিশা দেখাবে। তাই কবির বিশ্বাস ভবিষ্যতে আর ঘরে ঘরে আলোর অভাব হবে না।
৩। 'পাখি ডাকা রাঙা ভোরে'র মধ্যে দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ ঐ আধুনিক যুগে ছেলেমেয়েরা পুরানো চিন্তাভাবনাকে মন থেকে মুছে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে নব নব আবিষ্কারে ব্রতী হয়েছে। ফলে জীবনে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। পুরানো যুগের মানুষের কাছে রীতি-নীতিই ছিল সবচেয়ে বড়ো কথা। ফলে তাদের মনের প্রসার ঘটতে ব্যাহত হয়েছে। তখন মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচতে শিখেছে। এই স্বাধীনতাকে 'পাখি ডাকা রাঙা ভোর'-এর সাথে তুলনা করা হয়েছে।
❐ পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
১। সমার্থক শব্দ লেখঃ
গগন - আকাশ, ব্যোম।
অঙ্গ - দেহ, শরীর।
নদী - স্রোতস্বিনী, কল্লোলিনী।
ফুল - পুষ্প, কুসুম।
২। নিম্ন রেখাঙ্কিত শব্দগুলির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো:
i. পাতালপুরীর অজানা কাহিনী তোমরা শোনাও সবে।
উত্তরঃ অধিকরণ কারকে 'র' বিভক্তি।
ii. আমাদের ঘরে আলোর অভাব কভু নাহি হবে আর।
উত্তরঃ কর্মকারকে 'র' বিভক্তি।
iii. তোমাদের গানে কলকল তানে উছলি উঠবে নদী।
উত্তরঃ করণকারকে 'এ' বিভক্তি।
iv. পাখি ডাকা রাঙা ভোর।
উত্তরঃ কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি
No comments:
Post a Comment