👉(পাখির ডিম গদ্য প্রশ্ন উত্তর)
❐ সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করে লেখো:
১। বিয়ের পর বউ পয়লা (নিজের / বন্ধুর /গেরস্থের) বাড়িতে এল।
উত্তরঃ বিয়ের পর বউ পয়লা গেরেস্থর বাড়িতে এল।
২। বউ চোখ (বুজে/খুলে/ তাকিয়ে) কেবল কোণে বসে থাকে।
উত্তরঃ বউ চোখ বুজে কেবল কোণে বসে থাকে।
৩। মেয়েরা তার (হাত/পা/গলা) ধরে টেনে নিয়ে গেল।
উত্তরঃ মেয়েরা তার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল।
৪। লোকে সব (পাথর/জল/মাটি) তুলে নিয়ে যাবে না তো।
উত্তরঃ লোকে সব জল তুলে নিয়ে যাবে না তো।
৫। এ (গঙ্গা নদীর/ইচ্ছামতী নদীর/কৃপা নদীর জল) কি ফুরাবার?
উত্তরঃ এ কৃপা নদীর জল কি ফুরবার।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। 'গেরস্থের বউ' কোন্ পরিবেশের মেয়ে ছিল?
উত্তরঃ গেরস্থের বউ মরুদেশের মেয়ে ছিল।
২। গেবস্থের বউ এর বিয়ে হয়েছিল কোথায়?
উত্তরঃ গেরস্থের ঘরে বিয়ে হয়েছিল।
৩।সে কীসে করে নদীর জল আনতে যেত?
উত্তরঃ সে কলসি করে নদীর জল আনতে যেত।
৪। 'গেরস্থের বউ' নদী থেকে জল নিয়ে এসে কী কী ভর্তি করল?
উত্তরঃ 'গেরস্থের বউ' নদী থেকে জল এনে কলসি ও জালা ভর্তি করল।
❐ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। গেরস্থের বউ কখন চোখ মেলে কী দেখল?
উত্তরঃ আস্তে আস্তে লজ্জা ভাঙলে গেরস্থের বউ চোখ মেলে এ দেশে মাটির ওপর নরম ঘাস, জমির ওপর গাছের পাতা, আকাশের কোলে মেঘ ও পাখিদের গান গেয়ে হাওয়ায় সাঁতার দিয়ে বেড়ানো দেখল।
২। 'মরুদেশ' অপেক্ষা এদেশের কী কী রূপ গেরস্থের বউয়ের ভালো লেগেছিল?
উত্তরঃ এ দেশের যেসব রূপ গেরস্থের বউয়ের ভালো লেগেছিল সেগুলি হল- এ দেশের মাটির উপর নরম ঘাস, জমির ওপর ছোট-বড়ো গাছের পাতা, নীল আকাশের কোলে মেঘের দল, পাখিদের গান এবং উড়ে বেড়ানো।
৩। 'মখমল' শব্দের অর্থ কী? নরম মখমল বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ 'মখমল' শব্দের অর্থ মোলায়েম। নরম মখমল বলতে নরম ঘাসকে বোঝানো হয়েছে।
৪। 'গেরস্থের বউ' গল্পে উল্লেখ্য মরুদেশটি কেমন?
উত্তরঃ সেখানে সবুজ ঘাস বা শ্যামল গাছপালা নেই। সেখানে পাখির গান শোনা যায় না।
৫। 'ব্যাপারখানা কী বলো তো?' উক্তিটি কার? কার উদ্দেশ্যে এই উক্তি করা হয়েছে? তিনি কখন এই উক্তি করেছেন?
উত্তরঃ 'গেরস্থের বউড গল্পে উক্তিটি গেরস্থের। গেরস্থ তার বউয়ের উদ্দেশ্যে এই উক্তি করেছে। গেরস্থের বউ যখন রাস্তাঘর থেকে শোবার ঘর পর্যন্ত কলসি আর জালায় জল ভর্তি করেছে তখন গেরস্থ এই উক্তি করেছেন।
৬। 'এত জল? কাকের চোখের মতো কালো। আর কি ঠান্ডা' কে, কখন এই উক্তি করেছিল? কাকের চোখের মতো কালো বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ গেরস্থের বউ নদীতে জল আনতে গিয়ে নদীর জল দেখে বিস্মিত হয়ে এ উক্তি করেছিল। কাকের চোখের মতো কালো বলতে নদীর জলকে বোঝানো হয়েছে।
৭। 'আয় না, বউ। জল আনতে যাই'। কার উদ্দেশ্যে কারা এই উক্তি করেছিল? উদ্ধৃতিটি কোন্ গল্পের অন্তর্গত?
উত্তরঃ 'গেরস্থের বউ' গল্পে পাড়ার মেয়েরা গেরস্থের বউকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছিল। উদ্ধৃতিটি লেখক মহম্মদ শহীদুল্লাহ-এর 'গেরস্থের বউ' গল্পের অন্তর্গত।
৮। 'তুমি আমায় হাবা মেয়ে ভেবো না' কে, কাকে এরূপ উক্তি করেছে? বক্তা নিজেকে হাবা মেয়ে ভাবতে রাজী নয় কেন?
উত্তরঃ গেরস্থের বউ গেরস্থকে এরূপ উক্তি করেছে।
গেরস্থের বউয়ের মনে হয়েছিল নদীর জল সবাই তুলে নিয়ে যেতে পারে এবং শুকিয়ে যেতে পারে। সেজন্য সে কলসি ও জালা ভর্তি করেছিল। এ প্রসঙ্গে গেরস্থ জানতে চাইলে গেরস্থের বউ নিজেকে হাবা মেয়ে মনে না করার কথা বলেছে।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১। গেরস্থের বউ যখন অনেক কষ্ট করে জল এনে ঘরের কলসি আর জালা ভর্তি করেছিল, তখন তার মধ্যে কোন্ মানসিকতা বিরাজ করেছিল তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ গেরস্থের বউ নদীর কুলকুলধারা দেখে চমকিত হয়েছিল। তার মনে শঙ্কা জেগেছিল যে লোকে সব জল তুলে নিয়ে যাবে এবং নদীর জল শুকিয়ে যাবে। তাইসে সমস্ত কলসি ও জালায় জল ভর্তি করেছিল। এবং সে ভেবে ছিল তার বাড়ির লোক এতে তার প্রতি খুব প্রসক্ত হবে তাই এ ব্যাপারে তার স্বামী তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে নিজেকে হাবা মেয়ে মনে না করার কথা বলেছে।
২। 'গেরস্থের বউ' গল্পটিতে বিয়ের পর নূতন বউ কীভাবে স্বামীগৃহে দিন কাটাতো তা সংক্ষেপে উল্লেখ করো।
উত্তরঃ বিয়ের পর গেরস্থের বউ লজ্জায় ঘোমটা কেটে ঘরের কোণে চোখ বুজে বসে থাকত। নতুন বউ সাধারণত লাজুকে হয় সেক্ষেত্রে গৃহস্থের বউ সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশের মেয়ে হওয়ার সেই লজ্জা বহু গুনে বেড়ে যায়। চোখ তুলে কারোর দিকে ২ তাকাত না। কেমন একটা ভয় ভয় ভাব ছিল তার। সর্বদা জড়োসড়ো হয়ে থাকত। এরপর একদিন তার লজ্জা ভেঙে গেল। বউ চোখ মেলে এ দেশের নরম ঘাস, জমি, নীল আকাশ ও পাখির দিকে চোখ মেলল। এসব তার ভারী সুন্দর লাগল। একদিন পাড়ার মেয়েদের জোরাজুরিতে কলসি কাঁখে নদী থেকে জলও এনেছে এইভাবে ধীরে ধীরে সে গেরস্থের বউ হয়ে উঠেছে।
৩। 'সে তো ভেবেই অস্থির'। সে বলতে এখানে কার কথা বলা হয়েছে? সে ভেবে অসিথর কেন? তার ভাবনার কারণ 'গেরস্থের বউ' অবলম্বনে লেখো।
উত্তরঃ সে বলতে এখানে গৃহস্থের বউয়ের কথা বলা হয়েছে। মরুদেশে পুরুষেরা উট, ঘোড়া, নিয়ে দু র দেশ থেকে জল আনতে যায়। ঘটনাক্রমে একদিন পাড়ার মেয়েরা ঘোমটা দেওয়া নতুন বউকে নদী থেকে জল আনতে যাওয়ার জন্য আহবান করে তাদের কাঁখে কলসি দেখে নতুন বউয়ের কৌতূহল জন্মায় এবং সেও কলসি নিয়ে তাদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে। বাড়ির অদূরেই সে নদী ভর্তি জল দেখে অবাক হয়ে যায়। সে অস্থির হয়ে ওঠে এই ভেবে যে এত সুন্দর ঠান্ডা জল যদি কেউ সব তুলে নিয়ে চলে যায়! তাই সে পরের দিন বাড়ির যত জালা কলসি ছিল সব ভর্তি করে বাড়িময় সাজিয়ে রাখে। আসলে বাইরের পৃথিবী সম্বন্ধে কোনো ধারণা না থাকার ফলে সে ভিক্ত পরিবেশের ভক্তি প্রকৃতি দেখে অস্থির হয়ে পড়ে।
❐পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
(ক) সমার্থক শব্দ:
পাখি - বিহঙ্গ, পক্ষী;
চোখ - আঁখি, নয়ন;
জল - বারি, সলিল;
মেয়ে - কন্যা, দুহিতা।
(খ) পদ পরিবর্তন:
ঘাস - ঘেসো;
শ্যামল - শ্যামলতা;
জল - জলীয়;
গেরস্থ - গেরস্থালি;
পাগল - পাগলামি।
(গ) কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো:
১। নীল আকাশের কোণে কেমন মেঘের পেঁজা তুলো।
উত্তরঃ অধিকরণ কারকে 'এর' বিভক্তি।
২। এখানে মেয়েরা জল আনতে যায় পায়ে হেঁটে।
উত্তরঃ কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
৩। লোকে সব জল তুলে নিয়ে যাবে না তো।
উত্তরঃ কর্তৃকারকে 'এ' বিভক্তি।
৪। জলে নেমে তাঁর কাঁখের কলসি কাঁখেই রইল।
উত্তরঃ অধিকরণকারকে 'এ' বিভক্তি।
(ঘ) বাক্যরচনা করো:
বৈঠকখানায় - বৈঠকখানা লোক যাতায়াত বড্ড বেশি।
জড়োসড়ো - ভয়ে জড়োসড়ো হওয়া একটা স্বভাব।
লজ্জাবতী - মেয়েদের লজ্জাবতীসেজে থাকা একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গেরস্থ - গেরস্থ ঘরে মানিয়ে চলাই কাজ।
No comments:
Post a Comment