👉(গেরেস্থর বউ গদ্য প্রশ্ন উত্তর)
❐ সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করে লেখো:
১। বছরের ছোট ঈদ হয় (২/৩/৪) বার।
উত্তরঃ ২ বার।
২। কাবা শরীফের দিকে মুখ করে আল্লাহর উদ্দেশ্যে পার্থনাকে (রাজা/নামাজ/জাকাত) বলে।
উত্তরঃ নামাজ।
৩। মুসলিম সমাজের সমুদয় ধর্মে কর্মে (বৈরিতা/ঐক্য / উচ্ছাস) নিহিত আছে।
উত্তরঃ ঐক্য।
৪। ঈদের বালার্কের সহিত আমাদের অন্ধকার হৃদয়ে নব আশার (নবজীবন/নবনূর/নববর্ষ) উদ্দীপ্ত হউক।
উত্তরঃ নবনূর।
৫। পবিত্র ঈদের নামাজে (ধনী-ধনী / ধনী-দরিদ্র / দরিদ্র-দরিদ্র) একত্রে মিলিত হয়।
উত্তরঃ ধনী-দরিদ্র।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। ঈদে কোন্ দিকে লক্ষ্য করিয়া নামাজে দাঁড়ানো হয়?
উত্তরঃ কাবাশরীফের দিকে।
২। ঈদে কার উদ্দেশ্যে হাজার হাজার মানুষের মাথা নস্তক হয়?
উত্তরঃ আল্লাহর উদ্দেশ্যে।
৩। ঈদের নামাজ কোথায় পড়া হয়?
উত্তরঃ ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়া হয়।
৪। বছরে মোট কতবার ঈদ সম্মিলন হয়?
উত্তরঃ বছরে মোট ২ বার ঈদ সম্মিলন হয়।
৫। 'ঈদ সম্মিলন' রচনাটি রচয়িতার নাম লেখো।
উত্তরঃ বেগম রোকেয়া।
৬। অন্ধকার অমানিশার অবসানে কীসের উদয় হয়?
উত্তরঃ নবনূরের উদয় হয়।
❐ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। ঈদের নামাজের শেষে মুসলমানরা কী করে?
উত্তরঃ ঈদের নামাজের শেষে পরস্পর পরস্পরকে ভ্রাতৃভাবে আলিঙ্গন করে।
২। সম্মিলন বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে ধনী-দরিদ্র, ছোটো-বড়ো সবাই একসঙ্গে মিলিত হওয়া।
৩। ঈদের মাহাত্ম্য কী?
উত্তরঃ মুসলমানদের পবিত্র উৎসব হলো ধনী-দরিদ্র, ছোটো-বড়ো সবাই একই সঙ্গে মিলিত হয়ে আনন্দে উজ্জীবিত হয়। ঈদ সমাগমে দুঃখের অবসান ঘটিয়ে নবনূরের উদ্দীপ্ত হউক।
৪।ঈদে আনন্দের ধারা কীভাবে প্রভাহিত হয়?
উত্তরঃ বসন্তের সমাগমে পবিত্র ঈদ গৃহের মতো কাননে অনেক ফুল ফুটেছে। ছোটো-বড়ো, ধনী-দরিদ্র সবাই একসাথে মিলে কাবাশরীফের দিকে মুখ করে নামাজ পাঠ করে এবং পরস্পর পরস্পরের সাথে আলিঙ্গন করে হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে থাকে।
৫। 'এ দৃশ্য কি চমৎকার"! কোন্ দৃশ্যকে চমৎকার বলা হয়েছে? কেন তা চমৎকার?
উত্তরঃ মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ার দৃশ্যকে চমৎকার বলেছে।
পবিত্র ঈদ হলো মুসলমানদের প্রিয় উৎসব। এই উৎসবে সহস্র সহস্র লোক হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে ছোটো-বড়ো, ধনী-দরিদ্র, সবাই একই সাথে মিলিত হয়ে মস্তক আল্লাহ উদ্দ্যেশে আনত হয়।
৬। 'ঈদ সমাগমে আজি আমাদের সে দুঃখ যামিনীর অবসান হউক"। - এখানে কোন্ দুঃখের কথা বলা হয়েছে? কীভাবে তার অবসান হবে?
উত্তরঃ এখানে যেমন পিতা-পুত্রের বিবাদ, ভ্রাতায় ভ্রাতায় বিরোধ, ঘরে ঘরে আত্মকলহ প্রভৃতি দুঃখের কথা বলা হয়েছে।
যাহারা প্রতিবেশির প্রতি এতদিন ধরে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করিত তাহারা আজ ঈদ সমাগমে বিদ্বেষভাব ভুলে গিয়ে দুঃখের অবসান ঘটাবে।
৭। "এরূপ আশা কি দুরাশা" - কোন্ আশার কথা বলা হয়েছে? সত্যিই কি তা দুরাশা?
উত্তরঃ এই ঈদ সমাগমে হিন্দু-মুসলমান আমাদের সহিত সম্মিলিত হওয়ার আশার কথা বলা হয়েছে। এই আশা দুরাশা নয়।
৮। "তাহারা সমস্ত সমাজটিকে 'আপন' ভাবিতে পারিবে কি রূপে”? এখানে তাহারা বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? আপন বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ এখানে তাহারা বলতে যারা ঘরে ঘরে বিবাদ, পিতা-পুত্রের বিবাদ, ভাইয়ে ভাইয়ে বিবাদ, এই সমস্ত সমাজকে বোঝানো হয়েছে।
'আপন' বলতে নিজেদের বোঝানো হয়েছে।
৯। "এবার আমরা একতা সযত্ন রক্ষা করিব" একতা সযত্নে রক্ষা করা কীভাবে সম্ভব?
উত্তরঃ একতা হলো একধরনের মহাশক্তি। একতা আমাদের ধর্মের মূল অংশ। একতা আমাদের ধর্মে, কর্মে নিহিত আছে। বিরোধিতা ভুলে, একে অপরকে ভালোবেসে আপন করে নিতে পারে একতা।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১। 'ঈদ সম্মিলন' রচনাটির মূল বক্তব্য তোমার নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ 'ঈদ সম্মিলন' রচনাটি বেগম রোকেয়ার রচিত এক অন্যতম গল্প। মুসলমানদের পবিত্র ঈদ বড়ো উৎসব। সারা বৎসর কাটার পর ঈদ উৎসব আসিয়া বসন্তের সমাগমে অসংখ্য প্রীতি কুসুম ফুটেছে। এই দিন সহস্র সহস্র লোক মিলিত হয়ে কাবাশরীফের দিকে মুখ করিয়া নামাজে দাঁড়ায়। একই সঙ্গে বসে একই সঙ্গে ওঠে এবং একই সঙ্গে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সহস্র লোক মাথা নত করে। এই দিন পরস্পর পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে আলিঙ্গন করে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে একই যোগে সন্মিলিত হয়। প্রতিবেশীর প্রতি বিদ্বেষ ভাব পোষণ করা, একে অপরের প্রতি হিংসা করা, পিতা-পুত্রের বিবাদ করা, পুত্র-কন্যার অমঙ্গল কামনা করা, ভাইয়ে-ভাইয়ে বিবাদ প্রভৃতি ভুলে গিয়ে আজ এই উৎসবে মিলিত হয়েছে। ঈদ সমাগমে দুঃখের অবসান ঘটিয়ে সুখের উজ্জীবিত হউক।
২। তোমার এলাকায় 'ঈদ সম্মিলন' যেভাবে উদ্যাপিত হয়, সে বিষয়ে ১০০টি শব্দে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তরঃ মুসলমান সমাজে ঈদ খুব বড়ো উৎসব। সারা বছর অবসাদের পর ঈদ আসে। এই আনন্দের দিনে ধনী-দরিদ্র্য, সহস্র সহস্র লোক কাবাশরীফের দিকে লক্ষ করে নামাজের উদ্দেশ্যে আগত হয়। এই দৃশ্য দেখিলে চক্ষু পবিত্র হয়। আমাদের ধর্মের মূল অংশ হলো একতা। একতা এক ধরনের মহাশক্তি। আমাদের মধ্যে ধর্ম-কর্ম-এর ঐক্য নিহিত আছে। ঘরে ঘরে আত্মকলহ, পিতা-পুত্রে বিবাদ, পুত্র কন্যার অমঙ্গল, ভ্রাতার ভ্রাতার বিরোধ প্রভৃতির নিস্পত্তি হয়ে এই সম্মেলন মিলিত হবে। ঈদের সমাগমে এই দুঃখের অবসান হবে। এই দিনে অন্ধকার দূর করে নতুন আশার নবনূর উদ্দীপ্ত হবে। ঈদের সমাগমে হিন্দু ভ্রাতৃগণ আমাদের সঙ্গে সন্মিলিত হবে। আমাদের এখানে অভিশাপের আশীর্বাদ আসবে। পবিত্র ঈদের এই একতা সারাজীবন বিদ্যমান থাকুক।
❐ পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
(ক) উদ্ধৃতাংশ থেকে বিশেষ্য, বিশেষণ বেছে নিয়ে বাক্য গঠন করো:
১। আজি সে হিংসা-দ্বেষ ভুলিয়া গিয়েছে।
হিংস-দ্বেষ বিশেষণ।
হিংসা-দ্বেষ - ঈদ সমাগমে হিংসা-দ্বেষ ভুলে গিয়ে একই যোগে সম্মিলিত হয়েছে।
২। "এবার আমরা একতা মসজিদে ফেলিয়া আসিব না"।
মসজিদ - বিশেষ্য।
মসজিদ - মুসলমানদের আল্লাহর উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ার জায়গা হলো মসজিদ।
৩। "সমষ্টির মঙ্গলের জন্য ক্ষুদ্র স্বার্থ পদদলিত হউক"।
মঙ্গল - বিশেষণ।
মঙ্গলে - আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুক এটা আমার পার্থনা।
৪। আমাদের এ মহাব্রতে আল্লাহ সহায় হউক।
আল্লাহ - বিশেষ্য।
আল্লাহ - আল্লাহ আমাদের প্রতিপালক।
৫। "এ দৃশ্য দেখিলে চক্ষু পবিত্র হয়”।
চক্ষু - বিশেষণ।
চক্ষু - চক্ষু দিয়া আমরা বাইরের দৃশ্য দেখি।
(খ) সন্ধি (যুক্ত ও বিচ্ছেদ) করো:
অভ্যন্তর = অভি+ অন্তর।
সহোদর = সহ উদর।
সমাগম সম + আগমন।
তদোপেক্ষা তদঃ + উপেক্ষা।
(গ) পদান্তর করো: উৎসাহ, লজ্জা, একতা, বিস্মৃতি।
উৎসাহ - উৎসাহী।
লজ্জা - লজ্জিত।
একতা - একত্রিত। বিস্মৃতি - বিস্ময়।
No comments:
Post a Comment