👉('কুরআনের বানী' গদ্য প্রশ্ন উত্তর )
১। 'ওদের জন্য মমতা কবিতায় কবি কাদের জন্য মমতা ব্যক্ত করেছেন?
উত্তরঃ ওই সমস্থ পথ শিশু, যারা, অনাদরে, অনাহারে, জ্বরের ধুক ধুকানি নিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে, তাদের জন্য মমতার কথা বলা হয়েছে।
২। ধনীর সঙ্গে তুলনায় গরিবের ছেলের কী অসহায়তা কবি উল্লেখ করেছেন?
উত্তরঃ ধনীর ছেলেদের একবার জ্বর হলে, বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি আরম্ভে হয়ে যায়। তার ওষুধ পথ্যের একটা বিরাট আয়োজন দেখা যায়। সেক্ষেত্রে গরিবের ছেলের সামান্য ওষুধ জোটে না। বড়ো লোকের ছেলেরা ঘুমায় আরামদায়ক দোলনায়। গরিবের ছেলের জায়গা হল, বাহুর উপর মাথা রেখে এবড়ো খেবড়ো তেতুল গাছের তলা।
৩। গরিব ও ধনীর সন্তানদের অবস্থার তুলনামূলক আলোচনা করো।
উত্তরঃ গরিবের ছেলেরা অনাদরে, অনাহারে থাকে, সেক্ষেত্রে ধনীর ছেলেরা, যথেষ্ট আদর ও উন্নতমানের খাবার দাবারে ডুবে থাকে। গরিবের ছেলে গায়ে ঠিক মতো জামা কাপড় ওঠে না, অপুষ্টিতে শরীর রুক্ষ শুষ্ক থাকে গা ফেটে যায়। ধনীর ছেলেদের আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের জামা কাপড় পাল্টায় উপযুক্ত পুষ্টির কারণে তাদের গা ফাটে না। গরিব ছেলের জ্বর হলে ডাক্তারের কথা ভাবায় যায় না। বড়ো লোকের ছেলের একটু গা গরম হলে দশ ডাক্তার এসে হাজির হয়। গরিবের ছেলের ঘুমনোর জায়গা তেঁতুল গাছের তলা, সেক্ষেত্রে বড়ো লোকের ছেলের আরামদায়ক দোলনা। এই হল আলোচ্য কবিতায় গরিব ও বড়ো লোকের ছেলের তুলনামূলক আলোচনা।
৪। কবিতাটির সারমর্ম নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতায় কবি গরিব দুঃখি অসহায় মায়ের শিশুদের কথা তুলে ধরেছেন। এই সমস্ত অসহায় শিশুরা অনাহারে অনাদরে থাকে। মায়েরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও সন্তানদের মুখে ঠিক মত অক্ত তুলে দিতে পারে না। সারাদিন অনাহারে থাকার ফলে তাদের শরীর শুখিয়ে যায়, অপুষ্টিতে গা ফেটে যায়, তার সঙ্গে জ্বরের প্রকোপ তো আছেই। অন্য দিকে বড়ো লোকের ছেলেদের একটু গা গরম হলে দশ ডাক্তার এসে হাজির হয়। কিন্তু ওই পথশিশুদের মায়েরা ডাক্তারের কথা ভাবতেই পারে না। বড়ো লোকের ছেলেরা যখন আরামদায়ক বিছানাযুক্ত দোলনায় ঘুমায়, তখন ওই সমস্ত হতভাগা মায়ের শিশুরা তেঁতুল গাছের তলায় বাহুর উপর মাথা রেখে - ঘুমায়। এইভাবে কবি যেমন একদিকে গরিব অসহায় শিশুদের করুণ কাহিনী তুলে ধরেছেন। অন্য দিকে সমাজের অপেক্ষাকৃত ধনী ব্যক্তিদের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সমাজে তাদের ও কিছু দায়িত্ব আছে। নিজেদের মুখে মন্ডা মিঠাই তোলার আগে এদের কথা একবার ভাবা দরকার। যে স্নেহ, মায়া, মমতা, ভালবাসা, নিজের সন্তানদের প্রতি দেখানো হয়। তার কিছুটা অংশ ওই সমস্ত গরিব অসহায় শিশুদের ভাগ করে নেওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment