Class 7th Geography Chapter -11 Parte-2 Questions And Answers | ইউরোপ মহাদেশে রুঢ় শিল্পাঞ্চল প্রশ্ন উত্তর সপ্তম শ্রেণী | ক্লাস সেভেন ভূগোল একাদশ অধ্যায় রুঢ় শিল্পাঞ্চলের প্রশ্ন উত্তর - Psycho Principal

Fresh Topics

Friday, 6 January 2023

Class 7th Geography Chapter -11 Parte-2 Questions And Answers | ইউরোপ মহাদেশে রুঢ় শিল্পাঞ্চল প্রশ্ন উত্তর সপ্তম শ্রেণী | ক্লাস সেভেন ভূগোল একাদশ অধ্যায় রুঢ় শিল্পাঞ্চলের প্রশ্ন উত্তর

রুঢ় শিল্পাঞ্চল
প্রশ্ন উত্তর



"লন্ডন অববাহিকা" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো

⬛ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর:প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

1. রুঢ় শিল্পাঞ্চলের আয়তন কত? 

উঃ। রুঢ় শিল্পাঞ্চলের আয়তন 4 হাজার 600 বর্গ কি.মি.।


2. রুঢ় অঞ্চলটি কোন্ কোন্ প্রাকৃতিক কারণের ফলে সৃষ্টি হয়েছে?

 উঃ। হিমবাহ ও নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে বৃঢ় অঞ্চলটি সৃষ্টি হয়েছে।


3. গূঢ় অঞ্চলের প্রধান শিল্প কী? 

উঃ। রূঢ় অঞ্চলের প্রধান শিল্প লৌহ-ইস্পাত শিল্প।


4. 'জার্মানির ম্যাঞ্চেস্টার' কাকে বলা হয় ও কেন? 

উঃ। জার্মানির গ্ল্যাডবাক শহরকে বস্ত্রবয়ন শিল্পের জন্য জার্মানির ম্যাঙ্কেস্টার বলা হয়।


5. গূঢ় অঞ্চলের কোন্ বন্দর এখানকার শিল্পোন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

উঃ। রুঢ় অঞ্চলের হামবুর্গ বন্দর এই অঞ্চলের শিল্পোন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


6. গূঢ় অঞ্চলের কোথায় কাচ শিল্প গড়ে উঠেছে। 

উঃ। গেলসিনকিরখেন শহরে কাচ শিল্প গড়ে উঠেছে। 


7. রুঢ় অঞ্চলে কোন্ শ্রেণির কয়লা পাওয়া যায় ?

উঃ। এই অঞ্চলে অ্যানথ্রাসাইট ও বিটুমিনাস জাতীয় উৎকৃষ্ট মানের কয়লা পাওয়া যায়। 


৪. রূঢ় শিল্পাঞ্চলের পূর্ব সীমানায় কী রয়েছে? 

উঃ। গূঢ় শিল্পাঞ্চলের পূর্ব সীমানায় রয়েছে সয়ারল্যান্ড উচ্চভূমি। 


9. কোন্ খনিকে কেন্দ্র করে রূঢ় শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে।

উঃ। রাইন-এর উপনদী গূঢ় ও লিপের সংযোগস্থলের কয়লাখনিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে রুঢ় শিল্পাঞ্চল। 


10. গূঢ় অঞ্চলে কীসের প্রভাবে সারা বছর বৃষ্টিপাত হয়? 

উঃ। পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে সারাবছর ধরে এখানে বৃষ্টিপাত হয়। 


11. রূঢ় শিল্পাঞ্চলে রাইন নদীর উপর কাটা দুটি খালের নাম লেখো।

 উঃ। রাইন-হার্নে-ডর্টমুন্ড খাল ও লিপে খাল। 


12. রুঢ় অঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করা হয় এমন দুটি শিল্পকেন্দ্রের নাম লেখো। 

উঃ। ডুসেলডর্ফ ও ডুইসবার্গ।


 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :তিটা প্রশ্নের মান -2/3

1. রূঢ় অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি ও নদনদীর বিবরণ দাও।

উঃ। গূঢ় অঞ্চলের ভূমিরূপ প্রায় সমতল, সামান্য ঢেউখেলানো। হিমবাহ ও নদীর সায়কার্যের ফলে গড়ে ওঠা এই অঞ্চলে ছোটো ছোটো টিলা দেখা যায়। সমগ্র অঞ্চলটির গড় উচ্চতা 240 মিটারের মতো। রুঢ় অঞ্চলের প্রধান নদী রাইন। এই নদীটি দক্ষিণে কোলন শহরের কাছে গূঢ় অঞ্চলে প্রবেশ করে পশ্চিম সীমানা বরাবর প্রবাহিত হয়েছে। রুঢ়, লিপে, এমসার, উপার এই চারটি নদী হল রাইনের উপনদী। রুঢ় ও লিপে এই দুটি এই অঞ্চলের নদী পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে এসে রাইন নদীতে মিশেছে। নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে উর্বর পলিমাটি ও দক্ষিণে চার্নোজেম, উত্তরে পড়সল মাটি দেখা যায়।


2. রুঢ় অঞ্চলের জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদের বিবরণ দাও।

উঃ। রুঢ় শিল্পাঞ্চলের জলবায়ু শীতল নাতিশীতোয় প্রকৃতির। গ্রীষ্মকালীন উয়তা মাঝারি ও শীতকাল বেশ শীতল। গ্রীষ্মকালে উয়তা থাকে 15°-20° সে. ও শীতকালে উয়তা হয় 2°-5° সে। এখানকার গড় বৃষ্টিপাত হয় 50-70 সেমি।। পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে সারা বছর ধরেই এখানে বৃষ্টিপাত হয়। তবে শীতকালে মাঝে মাঝে তুষারপাত হয়। বর্তমানে এখানে কৃষি, শিল্প ও বসতির জন্য বনভূমির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। শিল্পাঞ্চলের দূষণ রোধের জন্য কিছু সংরক্ষিত বনভূমি রয়েছে। কিছু পরিকল্পিত বনভূমিও সৃষ্টি করা হয়েছে। এইসব বনভূমিতে পাইন, বার্চ, ওক, ফার, বিচ জাতীয় গাছ দেখা যায়। 


3. রূঢ় অঞ্চলের খনিজ সম্পদ সম্পর্কে লেখো।

উঃ। গূঢ় অঞ্চল প্রধান শিল্পাঞ্চল হওয়ায় এখানে কৃষির পরিমাণ ও কৃষির গুরুত্ব দুটিই কম। এখানকার প্রধান খনিজ সম্পদ কয়লা। এটি রুঢ় শিল্পাঞ্চলের প্রাণ। এই কয়লা রাইন, লিপে ও রুঢ় নদীর মাঝের অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় যা এই অঞ্চলের শিল্পোন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে বিটুমিনাস ও অ্যানথ্রাসাইট জাতীয় উৎকৃষ্ট মানের কয়লা এখানে পাওয়া যায়। এই বলয়ের কয়লার স্তর বেশ পুরু। এখানকার বেশ কিছু জায়গায় খনিজ তেলও পাওয়া যায়।


4. গূঢ় অঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থা কীরূপ?

উঃ। বুঢ় অঞ্চলের রেল, সড়ক ও জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থা খুব উন্নত। উন্নত পরিবহণের কারণে সমগ্র অঞ্চলটি বেশ ঘনবসতি পূর্ণ। দক্ষিণ থেকে উত্তরে নিরবচ্ছিন্ন ঘনবসতি দেখা যায়। রাইন নদীর পূর্বদিকে রাইন-হার্নে-ডর্টমুন্ড খাল ও উত্তরে লিপে খাল কাটা হয়েছে। নদীগুলো এই খালপথের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে এবং এগুলি সারাবছর নৌ-পরিবহণের উপযুক্ত। রূঢ় অঞ্চলের উত্তরে অবস্থিত হামবুর্গ বন্দর এই অঞ্চলের শিল্পোন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। সড়কপথের ন্যায় রেলপথও বুঢ় অঞ্চলে জালের ন্যায় ছড়িয়ে আছে। বিমানপথের মাধ্যমেও এই শিল্পাঞ্চলের প্রধান প্রধান শহরগুলো যুক্ত। ডুসেলডর্ফ এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর।


5. রুঢ় শিল্পাঞ্চলের কৃষিকাজ ও পশুপালন সম্বন্ধে যা জানো লেখো।

উঃ। রূঢ় অঞ্চল প্রধানত শিল্পাঞ্চল হওয়ায় এখানে কৃষির পরিমাণ ও গুরুত্ব দুইই কম। এখানে শহরের পাশাপাশি অঞ্চলে মিশ্রকৃষি পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করা হয়। তাই শহরের পাশাপাশি অঞ্চলে গম, যব, আলু, ওট, রাই, বিভিন্ন শাকসবজি, ফল, ফুল প্রভৃতি চাষ করা হয়। এইসব চাষের পাশাপাশি দুধ, মাংস ও পশমের জন্য কৃষি খামারগুলিতে পশুপালন করা হয়।


6. কোনো অঞ্চলে শিল্পস্থাপনের জন্য কী কী প্রয়োজন হয়?

উঃ। কোনো অঞ্চলে শিল্প স্থাপনের জন্য সবার আগে প্রয়োজন জমি, কাঁচামাল ও জলের। পাশাপাশি শক্তিসম্পদ, উন্নত পরিবহণ ও দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন। শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে মূলধন খুবই প্রয়োজনীয় এবং পাশাপাশি শিল্পকে সহায়তা করা ও সুযোগ সুবিধার জন্য সরকারী নীতি একটা বড়ো ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। শিল্পের ক্ষেত্রে বাজারের একটা বড়ো ভূমিকা থাকে কারণ উৎপন্ন দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য বাজারের প্রয়োজন। বাজার না থাকলে শিল্পজাত দ্রব্যের চাহিদার পরিমাপ করা যায় না।


⬛ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর:তিটা প্রশ্নের মান -5/7

1. রুঢ় অঞ্চলের শিল্পকেন্দ্রগুলির বিবরণ দাও।

উঃ। (i) লৌহ-ইস্পাত শিল্প : রুঢ় অঞ্চলের প্রধান শিল্প লৌহ-ইস্পাত শিল্প ডুইসবার্গ, মুলহাইম, এসেন, ডর্টমুন্ড, বখুম, গেলসিনকিরখেন, হ্যাম, হ্যাটিনজেন প্রভৃতি অঞ্চলে গড়ে উঠেছে। এসেন শহরে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের কারখানা গড়ে ওঠায় কে 'বৃঢ় অঞ্চলের রানি' বলে।

(ii) ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প : ডর্টমুন্ড, বন্ধুম, এসেন, ডুইসবার্গ, গেলসিনকিরখেন, হ্যাম, ব্লাডবাক, হ্যাগেন প্রভৃতি এখানকার ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকেন্দ্র। এখানে রেল-বগি, ইঞ্জিন, মোটরগাড়ি ও যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা আছে।

(iii) রাসায়নিক শিল্প : ডুইসবার্গ, হ্যাম, বটপ, রেকলিং, হার্ডজেন, গ্লাডবাক প্রভৃতি শহর রাসায়নিক শিল্পের জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চলগুলিতে রং, ওষুধ, কীটনাশক, বিস্ফোরক দ্রব্য প্রভৃতি শিল্প গড়ে উঠেছে।

(iv) বস্ত্রবয়ন শিল্প : এসেন, মোঁচেন, গ্লাডবাক, আচেন, ডুইসবার্গ, বট্রপ প্রভৃতি শহরে এই শিল্প গড়ে উঠেছে। গ্লাডবাক শহরটিকে এই কারণে জার্মানির ম্যাঞ্চেস্টার' বলে।

(v) সিমেন্ট শিল্প : এসেন, গেলসিনকিরখেন শহরে সিমেন্ট শিল্প গড়ে উঠেছে।

(vi) অন্যান্য শিল্প : আচেন, বন্ধুম, ডর্টমুন্ড শহরে বৈদ্যুতিক শিল্প গড়ে উঠেছে। গেলসিনকিরখেন শহরটি কাচ শিল্পের জন্য বিখ্যাত। ডুসেলডর্ফ, ডুইসবার্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে উঠেছে। ইউরোপের ডমুন্ড শহরটি সুরা শিল্পের জন্য বিখ্যাত।


2. রুঢ় অঞ্চলটির শিল্পোন্নতির কারণ কী?

উঃ। জার্মানির রূঢ় শিল্পাঞ্চল শুধুমাত্র ইউরোপ মহাদেশের নয় এটি সমগ্র পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পাঞ্চল। এখানে শিল্পোন্নতির অনুকূল কারণগুলি হল— 

(i) উন্নতমানের কয়লা : রুঢ় অঞ্চলে উন্নতমানের অ্যানথ্রাসাইট ও বিটুমিনাস কয়লার জন্য শিল্পগুলিতে জ্বালানি  কাঁচামালের অভাব হয় না।

(ii) উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা : রেল, সড়ক, জলপথ ও বিমানপথ পরিবহণের জন্য এই অঞ্চল ইউরোপ সহ সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত। এই কারণে সমগ্র শিল্পাঞ্চলটি শিল্পে ব্যাপক উন্নত। 

(iii) আকরিক লোহার প্রাচুর্য : রূঢ় উপত্যকায় ভূগর্ভ থেকে আকরিক লোহা পাওয়া না-গেলেও পাশাপাশি অঞ্চল থেকে প্রচুর আকরিক লোহা পাওয়া যায়। ফ্রান্সের লুক্সেমবার্গ সীমান্তে অবস্থিত লোরেন অঞ্চল আকরিক লোহার জন্য বিখ্যাত। 

(iv) জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল : অঞ্চলটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় শিল্পের প্রয়োজনীয় শ্রমিক পাওয়া যায় এবং এখানকার শ্রমিকরা স্বাভাবিকভাবেই শিল্পকর্মে যথেষ্ট দক্ষ। 

(v) পর্যাপ্ত মূলধন ও উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা : প্রযুক্তির দিক দিয়ে জার্মানি অন্যতম। বিশ্বের ধনী দেশগুলির মধ্যেও জার্মানি অন্যতম। তাই শিল্পোন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন ও উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যার অভাব এখানে নেই।

5 comments: