"পোল্ডার ভূমি" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক কর
👉( পোল্ডার ভূমি প্রশ্ন উত্তর )
⬛ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর:প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. লন্ডন কোন যুক্তরাজ্যের রাজধানী?
উঃ। লন্ডন ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের রাজধানী।
2. লন্ডন শহরটি কোন্ নদীর ধারে গড়ে উঠেছে?
উঃ। লন্ডন শহরটি টেমস নদীর ধারে গড়ে উঠেছে।
3. লন্ডন অববাহিকার আয়তন কত?
উঃ । লন্ডন অববাহিকার আয়তন প্রায় 7.760 বর্গকিমি।
4. লন্ডন অববাহিকার আকৃতি কীরকম?
উঃ। অববাহিকার আকৃতি মাটির সরার মতো।
5. লন্ডন অববাহিকার উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণে কোন্ কোন্ উচ্চভূমি রয়েছে?
উঃ। উত্তরে চিলটার্ন উচ্চভূমি, হোয়াইট হর্স ও দক্ষিণে নর্থ ডাউনস উচ্চভূমি রয়েছে।
6. টেমস নদী কোথা থেকে উৎপন্ন হয়েছে?
উঃ। টেমস নদী কটন্ডস পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
7. লন্ডন অববাহিকার কৃষির বৈশিষ্ট্য কী?
উঃ। প্রচুর পরিমাণে সবজি চাষ লন্ডন অববাহিকার কৃষির বৈশিষ্ট্য।
৪. এখানে পশুখাদ্য হিসেবে কীসের চাষ হয়?
উঃ। পশুখাদ্য হিসেবে হে ও স্লোভার ঘাসের চাষ হয়।
9. লন্ডন অববাহিকার একটি জাহাজ মেরামতি ও একটি মোটর গাড়ি নির্মাণ কেন্দ্রের নাম লেখো।
উঃ। চ্যাথাম, অক্সফোর্ড।
10. লন্ডন অববাহিকার একটি মুদ্রণ শিল্পকেন্দ্রের নাম বলো।
উঃ। ওয়াচফোর্ড।
11. লন্ডন অববাহিকায় কোথা থেকে প্রচুর মাছ ধরা হয়?
উঃ। উত্তর সাগর থেকে প্রচুর মাছ ধরা হয়।
12. লন্ডন অববাহিকায় বনভূমির পরিমাণ কম কেন?
উঃ। ঘন জনবসতি, শহরায়ন ও শিল্পায়নের কারণে এখানকার বনভূমির পরিমাণ কম।
13. পুনঃরপ্তানি বন্দর কাকে বলে?
উঃ। যে বন্দরের মাধ্যমে অনেক দেশের সঙ্গে পণ্যসামগ্রী আমদানি ও রপ্তানি করা যায় তাকে পুনঃরপ্তানি বন্দর বলে।
14. লন্ডন অববাহিকা অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণ কী?
উঃ। দ্রুত শিল্পায়নের জন্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লক্ষ করা যায়।
15. অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে লন্ডন অববাহিকায় কী গড়ে উঠেছে?
উঃ। ঘন জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল
16. লন্ডন অববাহিকা অঞ্চলের ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প কোথায় গড়ে উঠেছে?
উঃ। ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প গড়ে উঠেছে গিলফোর্ড-এ এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প রিডিং-এ।
17. লন্ডন অববাহিকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম কী?
উঃ। লন্ডন অববাহিকা অঞ্চলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম হিথরো।
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :তিটা প্রশ্নের মান -2/3
1. লন্ডন অববাহিকার সীমা ও অবস্থান বর্ণনা করো।
উঃ। লন্ডন অববাহিকা ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে অবস্থিত। এর উত্তরে চিলটার্ন উচ্চভূমি, দক্ষিণে নর্থ ডাউনস উচ্চভূমি, পশ্চিমে রিডিং শহর এবং পূর্বে উত্তর সাগর। এই অববাহিকার আয়তন প্রায় 7760 বর্গ কিমি.।
2. লন্ডন অববাহিকার আবহাওয়া ও জলবায়ুর বর্ণনা দাও।
উঃ। লন্ডন অববাহিকা শীতল পশ্চিম উপকূলীয় জলবায়ু অঞ্চল বা ব্রিটিশ জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত। এই অববাহিকার গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা প্রায় 18° - 20° সে. এবং শীতকালীন তাপমাত্রা 3°- 5° সে.। গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 60-75 সেমি। সাধারণভাবে এখানে সারাবছর মেঘলা আকাশ; ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও স্যাতসেতে আবহাওয়া। পাশের সমুদ্র দিয়ে প্রবাহিত উয় স্রোতের প্রভাবে শীতকালীন উন্নতা খুব একটা কমে না। পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে এখানে সারা বছর বৃষ্টিপাত হয়।
3. টেমস নদীর গতিপথ বর্ণনা করো।
উঃ। লন্ডন অববাহিকা অঞ্চলের প্রধান নদী টেমস। এই নদী পশ্চিমে কটসওল্ডস পাহাড়ে উৎপন্ন হয়ে হোয়াইট হর্স ও চিলটার্ন পর্বতের মধ্যবর্তী গোরিং গ্যাপের মধ্য দিয়ে লন্ডন অববাহিকায় প্রবেশ করেছে। পরে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে উত্তর সাগরে গিয়ে মিশেছে। টেমসের উপনদীগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লি, রোডিং, ওয়ে, মোল প্রভৃতি। নদীগুলি সুনাবা ও বরফমুক্ত থাকে।
4. লন্ডন অববাহিকা অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উঃ। লন্ডন অববাহিকার ঘন জনবসতি, শহরায়ন ও শিল্পায়নের জন্য অঞ্চল গড়ে ওঠায় এখানে বনভূমি তেমন গড়ে ওঠেনি। এখানকার উচ্চভূমিতে পাইন, ওক, বার্চ, অ্যাশ, বিচ, লক প্রভৃতি গাছের বনভূমি দেখা যায়। এখানে পাহাড়ের পাদদেশে নাতিশীতোয় তৃণভূমি দেখা যায়। তবে শহরায়নের জন্য দ্রুত এই বনভূমিও একদিন শেষ হয়ে যাবে।
5. লন্ডন অববাহিকা অঞ্চলের শিল্প সম্পর্কে লেখো।
উঃ। লন্ডন অববাহিকা টেমস নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। আর এই নদীর দুই তীরে প্রচুর শিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। রেডিং শহরটি বিস্কুট, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প হিসাবে বিখ্যাত। বিমান ও তার যন্ত্রপাতির জন্য রিডিং ও হ্যামেল হাম্পস্টেড বিখ্যাত। ডেয়ারি ও ময়দা শিল্পের জন্য লিচেস্টার, এসেন্স বিখ্যাত। জাহাজ মেরামতির জন্য চ্যাথাম শহর, ছাপাখানার জন্য ওয়াচফোর্ড শিল্পকেন্দ্র বিখ্যাত। এখানকার পারফ্লিক্ট, নর্থফ্রিক্ট ও ডার্টফোর্ড অঞ্চলে গড়ে উঠেছে কাগজশিল্প। মোটরগাড়ি নির্মাণের জন্য লুটন ও অক্সফোর্ড শহর বিখ্যাত। গিলফোর্ড অঞ্চলে গড়ে উঠেছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প।
6. ট্রাক-ফার্মিং কাকে বলে?
উঃ। লন্ডন অববাহিকার বিপুল শহরবাসীর খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য ছোটো ছোটো খামারে ফল ও শাকসবজি উৎপাদন করে ট্রাকে করে শহরে পাঠানো হয়। একে ট্রাক-ফার্মিং বলে। পচনশীল নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলি দ্রুত পাঠানোর জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়।
7. লন্ডন অববাহিকায় কৃষির উন্নতি ঘটেনি কেন? মানুষের চাহিদার জন্য কীভাবে ট্রাক-ফার্সিং চাষ-আবাদ হয় ?
উঃ। ঘনবসতি অঞ্চল, শহরায়ন, শিল্পায়নের কারণে জমির অভাবে এখানে কৃষির উন্নতি লক্ষ করা যায় না। বসতি ও শিল্পের প্রয়োজনে লন্ডন অববাহিকার বেশির ভাগ জমি ব্যবহৃত হয়। তবুও স্থানীয় চাহিদা মেটাতে এখানে কিছু কিছু অঞ্চলে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে মিশ্র কৃষি মাধ্যমে কৃষিকাজ করা হয়। এখানকার কৃষির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল প্রচুর পরিমাণে সবজি চাষ। নদী উপত্যকায় গম, যব, ভুট্টা আর চিলটার্ন ও ডাউনসের উচ্চভূমিতে যব ও আলুর সঙ্গে পশুখাদ্য হিসেবে হে ও স্লোভার ঘাসের চাষ করা হয়।
৪. একটি বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে লন্ডন শহরের গুরুত্ব আলোচনা করো।
উঃ। ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। লন্ডন শহরটি পশম, চা, রবার ইত্যাদি পণ্যের একটি প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্ৰ ৰূপে খ্যাত। টেমস নদীর খাঁড়িমুখে অবস্থিত লন্ডন একটি বৃহত্তম পুনঃরপ্তানি বন্দর। এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের উৎপাদিত দ্রব্য এখানে আসে এবং ক্রয় বিক্রয়ের পর এই বন্দর দিয়েই অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হয়।
⬛ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর:তিটা প্রশ্নের মান -5/7
1. লন্ডন অববাহিকা অঞ্চলের সৃষ্টি কীভাবে হয়েছে?
উঃ । ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত টেমস নদীর দুই তীরে চিলটার্ন ও নর্থ ডাউস নামক দুটি উচ্চভূমির মধ্যবর্তী নিম্ন সমতলভূমিতে লন্ডন অববাহিকা অবস্থিত। এই অববাহিকার আকৃতি মাটির সরার মতো। এই অববাহিকার মাঝখান দিয়ে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে টেমস নদী বয়ে চলেছে। টেমস নদীর মোহানার কাছাকাছি বা এই অববাহিকার পূর্বদিকে বিশেষ কোনো উচ্চভূমি দেখা যায় না। তবে উৎস অঞ্চলে বিশেষত উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ অঞ্চলে চিলটার্ন, হোয়াইট হর্স ও নর্থ ডাউনস নামে তিনটি উচ্চভূমি দেখা যায়। অতীতে এই উচ্চভূমির মাঝের অংশ বসে গিয়ে এই নিম্নভূমির সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীকালে টেমস ও তার বিভিন্ন উপনদীর সয়কার্যের ফলে লন্ডন অববাহিকা অঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
2. লন্ডন শহরের বিবরণ দাও।
উঃ। টেমস নদীর তীরে অবস্থিত লন্ডন এই অঞ্চলের প্রধান শহর, বন্দর এবং শিল্পকেন্দ্র। শুধুমাত্র লন্ডন অববাহিকা নয় ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের জনজীবনে লন্ডন জড়িত। হিথরো লন্ডন মহানগরের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শহর। লন্ডন একটি বিখ্যাত নদী বন্দরও। এই অঞ্চলে রেলপথ ও সড়কপথ জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে। লন্ডন পশম, চা, রবার প্রভৃতি পণ্যের পৃথিবীর একটি প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র। লন্ডন পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ পুনঃরপ্তানি বন্দর হিসাবে খ্যাত। এ ছাড়া রিডিং, লুটন, কোল, লি, ক্রয়ডন, চেস্টার, গিলফোর্ড, নিউব্যারি, অক্সফোর্ড প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র। শিল্প বিপ্লবের পর থেকে এখানে দ্রুত শিল্পোন্নয়ন হয়েছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে লন্ডন ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।
3. লন্ডন অববাহিকার শিল্প ও শিল্পকেন্দ্রগুলির পরিচয় দাও।
উঃ। লন্ডন অববাহিকা শিল্প ও বাণিজ্যে অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী। শিল্প বিপ্লবের ফলে এখানে দ্রুত শিল্পায়ন সম্ভব হয়েছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ফলে এখানে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে উঠেছে। এখানে গিলফোর্ড অঞ্চলে ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প ও লুটন শহরে অক্সফোর্ড প্রভৃতি মোটরগাড়ি নির্মাণ শিল্প গড়ে উঠেছে। চ্যাথাম শহরে গড়ে উঠেছে জাহাজ মেরামতি কেন্দ্র। রিডিং, হ্যামেল হ্যাম্পস্টেডে গড়ে উঠেছে বিমান ও বিমান যন্ত্রাংশ নির্মাণ কেন্দ্র। বৈদ্যুতিক ও কৃষিযন্ত্র নির্মিত হয় রিডিং ও নিউব্যারি অঞ্চলে। ওয়াচফোর্ড-এ গড়ে উঠেছে ছাপাখানা বা মুদ্রণ শিল্প। পারফ্লিক্ট, নর্থফ্লিক্ট, ডাটফোর্ড অঞ্চল কাগজ শিল্পের জন্য বিখ্যাত। লন্ডন শহর রাসায়নিক ও দেশলাই শিল্পকেন্দ্র। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প রয়েছে রিডিং অঞ্চলে। ডেয়ারি ও ময়দা শিল্প গড়ে উঠেছে লিচেস্টার ও এসেক্স অঞ্চলে।
4. বন্দর হিসাবে লন্ডনের গুরুত্ব আলোচনা করো।
উঃ। লন্ডন ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের একটি বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। লন্ডন বন্দর সমুদ্র থেকে ৪৪ কিমি অভ্যন্তরে টেমস নদীর উভয় তীরে প্রসারিত। এই বন্দর থেকে রেলপথ, সড়কপথ ব্রিটিশ রাজ্যের চতুর্দিকে প্রসারিত। লন্ডন বন্দরের মাধ্যমে ইংল্যান্ডের আমদানি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এবং রপ্তানির এক-চতুর্থাংশ বিদেশে রপ্তানি করা হয়। লন্ডন বন্দর আটলান্টিক মহাসাগরের এমন অবস্থানে অবস্থিত যেখান থেকে সমগ্র ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, পশ্চিম এশিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা দেশগুলোর বাণিজ্য এই বন্দরের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই বন্দর বিভিন্ন পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার হিসাবে পরিচিত। এই সকল কারণগুলোর জন্য সারাবছর কর্মব্যস্ত লন্ডন বন্দর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশ থেকে সুলভ মূল্যে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে এবং পুনরায় তা অন্য দেশে রপ্তানি করে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পুনঃরপ্তানি বন্দর হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment