"জপানের টোকিয়ো ইয়োকোহাম" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক কর
▩ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : -প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. এশিয়া মহাদেশের দীর্ঘতম নদীর নাম ও দৈর্ঘ্য লেখো।
উঃ। এশিয়া মহাদেশের দীর্ঘতম নদী ইয়াংসি এর দৈর্ঘ্য 6300 কিমি।
2. ইয়াংসি-নদীটি কোথা থেকে সৃষ্টি হয়েছে?
উঃ। ইয়াং সি-নদীটি কুয়েনলুন পর্বতের দক্ষিণে গোলাডানডং পর্বতশৃঙ্গের একটি হিমবাহ থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
3. ইয়াংসি নদীর ব-দ্বীপ অঞ্চল কোটি?
উঃ। হুনান থেকে চিন সাগরের মোহানা পর্যন্ত অঞ্চলটি ইয়াংসি -এর ব-দ্বীপ অঞ্চল।
4. রেড বেসিন অববাহিকা অঞ্চলটি কত দূর বিস্তৃত?
উঃ। ইয়াংসি নদীর উৎস থেকে ইচাং পর্যন্ত রেড বেসিন অববাহিকা বিস্তৃত।
5. চিনের ধানের গোলা কাকে বলা হয়?
উঃ। চিনের হুনান প্রদেশকে চিনের ধানের গোলা বলা হয়।
6. চিনের বৃহত্তম শহর কোটি?
উঃ। সাংহাই হল চিনের বৃহত্তম শহর।
7. চিনের ম্যাঞ্চেস্টার কাকে বলা হয়?
উঃ। চিনের সাংহাই শহরকে চিনের ম্যাঞ্চেস্টার বলা হয়।
8. ইয়াংসি কিয়াং অববাহিকার খনিজ সম্পদগুলি কী কী?
উঃ। কয়লা, আকরিক লোহা, তামা, দস্তা ও টাংস্টেন।
9. ইয়াংসি নদীটি কোথায় গিয়ে মিশেছে?
উঃ। ইয়াংসি নদীটি চিন সাগরে মিশেছে।
10. এই নদী অববাহিকার তিনটি বন্দরের নাম লেখো।
উঃ। সাংহাই, নানকিং ও চুংকিং।
11. ইয়াংসি নদীর এর ব-দ্বীপ অঞ্চলে কোন্ পদ্ধতিতে ফসল উৎপন্ন হয় ?
উঃ। নিবিড় কৃষি পদ্ধতিতে এই অঞ্চলে ফসল উৎপন্ন হয়।
12. ধান ছাড়া ইয়াংসি নদীর অববাহিকায় আর কোন্ কোন্ ফসল উৎপন্ন হয় ?
উঃ। ধান ছাড়া গম, আখ,কার্পাস, তৈলবীজ ইয়াংসি নদীর অববাহিকায় প্রচুর পরিমাণে চাষ হয়।
▧ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3
1. চিনের ইয়াংসি নদী অববাহিকার বিবরণ দাও ।
উঃ। চিনের ইয়াংসি-নদীর অববাহিকা অঞ্চল এশিয়া মহাদেশের একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী অঞ্চল। ভূ-প্রকৃতির পার্থক্য, মৃত্তিকা ও জলবায়ুর পার্থক্যের জন্য এই নদী অববাহিকাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। (i) সেজুয়ান অববাহিকা যেটি ইয়াং সি-নদীর উৎস থেকে ইচাং পর্যন্ত বিস্তৃত (ii) মধ্য ইয়াংসি অববাহিকা যেটি ইচাং থেকে হুনান পর্যন্ত বিস্তৃত (iii) ব-দ্বীপ অঞ্চল যেটি হুনান থেকে চিন সাগরের মোহানা পর্যন্ত বিস্তৃত।
2. ইয়াং সি-নদীর গতিপথের বর্ণনা দাও।
উঃ। ইয়াং-সি-এশিয়ার দীর্ঘতম নদী ও পৃথিবীর চতুর্থ দীর্ঘতম নদী (5,530 কিমি)। এই নদী কুয়েনলুন পর্বতের দক্ষিণে গোলাডানডং পর্বতশৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে চিন সাগরে পড়েছে। উচ্চ পার্বত্য প্রবাহে এই নদীটি চিনদেশে 'স্বর্ণরেণুর নদী' নামে পরিচিত। এই নদীটির অববাহিকা অঞ্চলের আয়তন 18.5 লক্ষ কিলোমিটার। লোহিত অববাহিকার পূর্বদিকে এই নদীটি বিখ্যাত ইচাং গিরিখাতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীটির গতিপথে টুংটিং ও আরও অনেকগুলি হ্রদ থাকায় কখনও বন্যা হয় না। হান, সিয়াং, ইউয়ান প্রভৃতি ইয়াং সি-এর উপনদী। এই নদীটির নিম্নপ্রবাহ নৌ- পরিবহণের উপযুক্ত।
3. রেড বেসিন অঞ্চল কোনটি ?
উঃ। ইয়াংসি নদীর উৎস অঞ্চলে চারটি উপনদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে সেজুয়ান অববাহিকা তৈরি হয়েছে। এই অববাহিকাটি নদীর উৎস থেকে ইচাং পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অববাহিকাটি লাল রঙের বেলেপাথর দিয়ে তৈরি বলে একে রেড বেসিন বলা হয়। এখানকার জলবায়ু খুবই মনোরম এবং এটি কৃষিসমৃদ্ধ এক জনবহুল অঞ্চল।
4. হুনান প্রদেশকে চিনের ধানের গোলা' বলা হয় কেন ?
উঃ। ইচাং থেকে হুনান পর্যন্ত বিস্তৃত মধ্য ইয়াংসি অববাহিকাটি উর্বর সমতল ভূমি। নবীন পলিমাটি থাকার জন্য এখানে কৃষিকাজ খুব ভালো হয় এবং প্রচুর পরিমাণে ধান চাষ হয়। এই কারণে হুনান প্রদেশকে চিনের ধানের গোলা বলা হয়।
5. চিনের শস্য ভাণ্ডার' কাকে ও কেন বলা হয় ?
উঃ। ইয়াংসি নদীর-মধ্য অববাহিকার হুনান প্রদেশ ধান চাষের জন্য বিখ্যাত, একে চিনের ধানের গোলাও বলা হয়। ধান ছাড়াও এখানে গম, কার্পাস, আখ, তৈলবীজ প্রভৃতি ফসল প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়। এই কারণে এই মধ্য ইয়াংসি অববাহিকাটিকে 'চিনের শস্যভাণ্ডার' বলা হয়।
6. কোন্ অঞ্চলকে কেন চিনের হল্যান্ড' বলা হয় ?
উঃ। ইয়াংসি- নদীর বদ্বীপ অঞ্চলকে চিনের হল্যান্ড বলে। সমুদ্রতল থেকে নীচু বলে, পলি গঠিত নিম্ন সমভূমি, জলাভূমি, সমুদ্র খাঁড়ি, অনেক শাখানদী এবং সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা পোল্ডার ভূমি নিয়ে এই অঞ্চল গঠিত। ইউরোপ মহাদেশের হল্যান্ডের মতো অসংখ্য খাল ও পোল্ডার ভূমির অবস্থানের জন্য এই অঞ্চলকে “চিনের হল্যান্ড” বলা হয়।
7. ইয়াংসি-অববাহিকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণগুলি আলোচনা করো ।
উঃ। ইয়াংসি-অববাহিকা কৃষি ও শিল্পে খুবই উন্নত। এখানকার অনুকূল জলবায়ু, উর্বর পলিমাটি ও বিস্তীর্ণ সমভূমি অঞ্চল কৃষির উন্নতিতে সহায়তা করেছে। লৌহ ইস্পাত, রাসায়নিক শিল্প, যন্ত্রপাতি নির্মাণ, রেশম বস্ত্রবয়ন শিল্পে ইয়াংসি-অববাহিকা খুবই সমৃদ্ধ। এই অববাহিকায় প্রাপ্ত কয়লা, আকরিক লোহা, তামা, দস্তা, টাংস্টেন প্রভৃতি খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য শিল্পের উন্নতিতে সহায়তা করেছে। এছাড়া উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত জলসম্পদ, সাংহাই, নানকিং ও চুংকিং বন্দরের অবস্থান, ঘনবসতি, সুলভ শ্রমিক ও উন্নত পরিকাঠামো ব্যবস্থা এই অঞ্চলে শিল্পের উন্নতিতে যথেষ্ট সহায়তা করেছে।
৪. “চিনের ম্যাঞ্চেস্টার” কাকে বলা হয়?
উঃ। চিনের সাংহাই শহর বৃহত্তম শিল্পকেন্দ্র ও শ্রেষ্ঠ বন্দর। এই শহরে কার্পাস, রেশম ও পশম শিল্পজাত দ্রব্য প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয় এবং সাংহাই বন্দরের নিকট অবস্থান এই শহরকে কার্পাস বয়ন শিল্পের উন্নতিতে বিশেষ সহায়তা করেছে। ইংল্যান্ডের বিখ্যাত বস্ত্রবয়ন শিল্পকেন্দ্র ম্যাঞ্চেস্টারের নামানুসারে সাংহাই শহরকে “চিনের ম্যাঞ্চেস্টার” বলা হয়।
Thank you
ReplyDelete