প্রথম অধ্যায়
পৃথিবীর অন্দরমহল
অভিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
1. পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ কত ?
উঃ । পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ 6370 কিমি ।
2. ভূপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দূরত্ব কত ?
উঃ । ভূপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দূরত্ব 6370 কিমি ।
3. পৃথিবীর বৃহত্তম খনির গভীরতা কত ? এর নাম কী ?
উঃ । 3-4 কিমি । এর নাম রবিনসন দ্বীপ ।
4. ভূ - গর্ভে কীহারে উন্নতা বৃদ্ধি পায় ?
উঃ । প্রতি 33 মিটার গভীরতায় 1 ° সেলসিয়াস ।
5. পৃথিবীর গভীরতম কৃত্রিম গর্ত কোন্টি ?
উঃ । উত্তর - পশ্চিম রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের 12 কিমি গভীর গর্ভটি হল পৃথিবীর গভীরতম কৃত্রিম গর্ভ ।
6. উদ্বু প্রলবণে ভূগর্ভ থেকে কী নির্গত হয় ?
উঃ । উয় প্রস্রবণে ভূগর্ভ থেকে ফুটন্ত জল নির্গত হয় ।
7. আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে কী নির্গত হয় ?
উঃ গলিত অর্ধতরল উত্তপ্ত লাভা নির্গত হয় ।
৪. পৃথিবী কৰে সৃষ্টি হয়েছিল ?
উঃ । আজ থেকে প্রায় 460 কোটি বছর আগে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল ।
9. তাপ বাড়লে পদার্থের কী হয় ?
উঃ । তাপ বাড়লে পদার্থ গলে তরলে পরিণত হয় ও আয়তনে বাড়ে ।
10. পৃথিবীর কোথায় চাপ ও তাপ দুটোই বেশি ?
উঃ । পৃথিবীর অভ্যতরে চাপ ও তাপ দুটোই খুব বেশি ।
11. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় উরু প্রস্রবণ আছে ?
উঃ । পশ্চিমবঙ্গের বক্রেশ্বরে উয় প্রস্রবণ আছে ।
12. বক্রেশ্বরের ওই ধরনের জলকে কী বলা হয় ?
উঃ পৃথিবীর ভৌমজল বলা হয় ।
13. ভূ - তাপ কী ?
উ: ভূ - তাপ হল এক ধরনের শক্তি ।
14. ভূ - তাপ শক্তি থেকে কী উৎপন্ন করা হয় ?
উঃ । ভূ - তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় ।
15. আইসল্যান্ডের বিদ্যুতের চাহিদার কত শতাংশ ভূ - তাপ শক্তি মেটায় ?
উঃ । প্রায় 30 % ।
16. পৃথিবীর মধ্যে কোন্ দেশ সবচেয়ে বেশি ভূ - তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ?
উঃ । আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ।
17. ভূ - তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে কীসের ব্যবহার কমানো যায় ?
উ: জীবাশ্ম জ্বালানি অর্থাৎ খনিজ তেল , করলা ইত্যাদির ব্যবহার কমানো যায় ।
18. ভূপৃষ্ঠের গড় ঘনত্ব কত ?
উঃ মাত্র 2.6 থেকে 3.3 গ্রাম ঘন সেমি ।
19. পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে পদার্থের গড় ঘনত্ব কত ?
উঃ । প্রায় 11 গ্রাম / ঘনসেমি ।
20. কৃত্রিম উপগ্রহের বিচারে সামগ্রিকভাবে পৃথিবীর গড় ঘনত্ব কত ?
উঃ । 5.5 গ্রাম / ঘন সেমি ।
21. কোন্ তরঙ্গ তরল বা অর্ধ তরল মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না ?
উ: S তরঙ্গ ।
23. পৃথিবী বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞানের গল্প কার লেখা ? গল্পটির নাম কী ?
উঃ । ফুল ভার্নের লেখা । গল্পটির নাম হল ' জার্নি টু দ্য সেন্টার অফ দ্য আর্থ ।
22. ভূত্বকের নীচে কী রয়েছে ?
উঃ । ভূত্বকের নীচে রয়েছে গুরুমণ্ডল ।
24. সিমা স্তরটি কোথায় অবস্থিত ?
উঃ । সিলিকন আর ম্যাগনেশিয়াম দিয়ে তৈরি সিমা স্তরটি মহাসাগরের নীচে অবস্থিত ।
25. প্রধানত কোন্ জাতীয় শিলা দ্বারা সিমা স্তরটি গঠিত ?
উঃ । ব্যাসন্ট জাতীয় আগ্নেয় শিলা দিয়ে সিমা স্তরটি গঠিত ।
26. সিয়াল স্তরটি কী কী নিয়ে গঠিত ?
উঃ । সিয়াল স্তরটি সিলিকন আর অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে গঠিত ।
27. কোন্ শিলা সিয়াল ভরটি গঠন করেছে ?
উঃ । গ্রানাইট জাতীয় আগ্নেয়শিলা সিয়াল স্তরটি গঠন করেছে ।
28. সিয়াল কোথায় অবস্থান করছে ?
উঃ । সিমা বা মহাসাগরীয় ভূত্বকের উপরে সিয়াল স্তরটি অবস্থান করছে ।
29. ভূত্বকের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে কোন গ্যাস রয়েছে ?
উঃ । ভূত্বকের বেশিরভাগ অংশ , প্রায় 47 শতাংশ জুড়ে রয়েছে অক্সিজেন গ্যাস ।
30. কোন্ রেখা দ্বারা দুটি ভিন্ন উপাদান ও ঘনত্বের স্তরকে আলাদা করা যায় ?
উঃ । বিযুক্তি রেখা দ্বারা ।
31. সিয়াল ও সিমা স্তরের মাঝে কোন্ রেখা রয়েছে ?
উঃ । কনরাড বিযুক্তি রেখা ।
32. গুরুমণ্ডলের প্রধান উপাদান কী কী ?
উঃ । লোহা , নিকেল , ক্রোমিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন ।
33. ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের মাঝে কোন্ স্তর রয়েছে ?
উঃ । মোহোরোভিসিক বিযুক্তিরেখা বা মোহো ।
34. কেন্দ্ৰমণ্ডল কতটা পুরু ? এর গড় তাপমাত্রা কত ?
উঃ । কেন্দ্রমণ্ডল 3500 কিমি পুরু । এর গড় তাপমাত্রা প্রায় 5000 ° সে .।
35. অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের গভীরতা কত ?
উঃ । অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের গভীরতা 5100 কিমি থেকে প্রায় 6370 কিমি ।
36. বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল কতটা পুরু ?
উঃ । বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল 2900 কিমি থেকে 5100 কিমি পুরু ।
37. গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে কোন্ রেখা রয়েছে ?
উঃ । গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা রয়েছে ।
38. ম্যাগমা কী ?
উঃ । ভূগর্ভের পদার্থ প্রচণ্ড চাপ ও তাপে গ্যাস , বাষ্প মিশ্রিত হয়ে গলিত অবস্থায় থাকলে তাকে ম্যাগমা বলে ।
39. লাভ কী ?
উঃ । ভূগর্ভের গলিত উত্তপ্ত অর্ধতরল ম্যাগমা ফাটল দিয়ে ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে এলে তাকে লাভা বলে ।
40. ঘনত্ব কাকে বলে ?
উঃ । একক আয়তনে পদার্থের যতটুকু ভর আছে তার পরিমাপকে পদার্থের ঘনত্ব বলে ।
41. কেন্দ্রমণ্ডল কাকে বলে ?
উঃ । ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের পরবর্তী এবং কেন্দ্রের চারদিকে বেষ্টনকারী শেষ স্তরটিকে বলে কেন্দ্রমণ্ডল ।
42. ক্রোফেসিমা ও নিফেসিমার মাঝে কোন্ বিযুক্তিরেখা আছে ?
উঃ । রেপিত্তি বিযুক্তিরেখা ।
43.আপেলের কোন্ অংশ গুরুমণ্ডলের সঙ্গে তুলনীয় ?
উঃ ) আপেলের খোসার নীচে শাঁস অংশটি গুরুমণ্ডলের সঙ্গে তুলনীয় ।
দ্বিতীয় অধ্যায় অস্থিত পৃথিবী প্রশ্ন উত্তর পড়তে ক্লিক করো
👉 ( অস্থিত পৃথিবী প্রশ্ন উত্তর )
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
1. পৃথিবীর অভ্যন্তরে চাপ ও তাপ দুটোই খুব বেশি হলে সেখানে পদার্থ কী অবস্থায় থাকে ?
উঃ । পৃথিবীর অভ্যন্তরে অত্যাধিক চাপ ও তাপে পদার্থগুলি গলিত ও নরম প্রকৃতির হয়ে আছে । পিচ গলালে বা খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করলে যে অবস্থায় থাকে , পৃথিবীর অভ্যন্তরে পদার্থ অনেকটা সেইরকম অবস্থায় থাকে ।
2. ভূ - তাপশক্তি কাকে বলে ?
উঃ । ভূ - তাপ হল একধরনের শক্তি । পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপ ধীরে ধীরে বাইরের দিকে অর্থাৎ পৃথিবীপৃষ্ঠের দিকে আসতে থাকে । এই তাপশন্তিকে ভূ - তাপশক্তি বলে ।
3. কেন্দ্রমণ্ডল কাকে বলে ? কীসের ওপর ভিত্তি করে কেন্দ্রমণ্ডলকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে ও কী কী ?
উঃ । গুরুমণ্ডলের নীচে এবং পৃথিবীর কেন্দ্রের চারিদিকে বেষ্টন করে থাকা সর্বাধিক ঘনত্বযুক্ত স্তরকে কেন্দ্রমণ্ডল বলে । পদার্থের ঘনত্ব , উন্নতা , চাপ এগুলির ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা কেন্দ্রমণ্ডলকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন— ( 1 ) অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল ও ( ii ) বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল ।
4. অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল বলতে কী বোঝ ?
উঃ । এই স্তরটি পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্রের চারদিকে রয়েছে । এই স্তরের গভীরতা 5100 কিমি থেকে প্রায় 6370 কিমি । এই স্তরের চাপ , তাপ ও ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি । অত্যাধিক চাপের ফলে পদার্থগুলো এখানে কঠিন অবস্থায় আছে ।
5. বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল বলতে কী বোঝ ?
উঃ । অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের চারদিকে রয়েছে বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল । এই স্তর 2900 কিমি থেকে 5100 কিমি পুরু । এর চাপ , তাপ ও ঘনত্ব অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের তুলনায় কম । এই স্তর অর্ধকঠিন অবস্যায় পৃথিবীর অক্ষের চারদিকে আবর্তন করে চলেছে । সাস্ত্র অবস্থায় থাকা এই লোহা প্রচণ্ড গতিতে ঘুরতে ঘুরতে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করেছে । সেখান থেকেই সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর চৌম্বকত্ব ।
6. বিযুক্তি রেখা কাকে বলে ? এর দ্বারা কী করা যায় ?
উঃ । ভূপৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত যেখানে ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতিবেগ পরিবর্তিত হয় ; সেখানটিকে ভূতত্ত্ববিদরা বিযুক্তি রেখা বলেন । বিযুক্তি রেখা দ্বারা দুটি ভিন্ন উপাদান ও ঘনত্বের স্তরকে আলাদা করা যায় ।
যেমন : সিয়াল ও সিমার মাঝে কনরাড় বিযুক্তি রেখা রয়েছে ।
7. ভূমিকম্প তরঙ্গ কীভাবে সৃষ্টি হয় ? এগুলি কীভাবে প্রবাহিত হয় ?
উঃ । ভূ - অভ্যন্তরে কম্পন সৃষ্টি হলে ভূমিকম্প তরঙ্গ সৃষ্টি হয় । ভূমিকম্পের দুটি তরঙ্গ একটি P তরঙ্গ ও অপরটি S তরঙ্গ । ভূমিকম্পের তরঙ্গ বিভিন্ন পদার্থের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় । এই তরঙ্গের গতি কখনও ধীর কখনও বা দ্রুত হয় । ভূমিকম্পের P তরঙ্গ ভূ - অভ্যন্তরের যেকোনো কঠিন বা তরল মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে । কিন্তু S ত তরল বা অর্ধতরল কোনো মাধ্যমের মধ্য দিয়েই প্রবাহিত হতে পারে না । বর্তমানে পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে জানতে ভূমিকম্প তরঙ্গের গতিবিধি অনেকখানি সাহায্য করেছে । এর দ্বারা পর্যবেক্ষন করে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অভ্যন্তরে তিনটি স্তরের সন্ধান পেয়েছেন ।
8. ক্লোফেসিমা স্তর কী ?
উঃ । গুরুমগুলের 30-700 কিমি পর্যন্ত অংশে ক্রোমিয়াম , লোহা , সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়ামের প্রাধান্য দেখা যায় তাই একে ক্লোফেসিমা ( Cro + Fe + Si + Ma ) স্তর বলে ।
9. নিফেসিমা স্তর কী ?
উঃ । গুরুমণ্ডলের 700-2900 কিমি পর্যন্ত অংশে নিকেল , লোহা , সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়ামের আধিক্য দেখা যায় । তাই এই স্তরকে নিফেসিমা ( Ni + Fe + S + Ma ) বলে ।
10. পরিচলন স্রোত সৃষ্টি হয় কীভাবে ?
উঃ । ভূগর্ভের তাপে পদার্থগুলি উত্তপ্ত হয়ে ওপরের দিকে উঠে যায় আবার উপরের অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা , ভারী পদার্থ নীচে নেমে যায় । এর ফলে পরিচলন স্রোত সৃষ্টি হয় ।
11. ঘনত্ব কী ? এর দ্বারা কী জানা যায় ?
উঃ । একক আয়তনে পদার্থের কতটুকু ভর আছে তার পরিমাপকে পদার্থের ঘনত্ব বলে । প্রতি ঘনসেমি জায়গায় পদার্থের ভর কতটা সেটাই পদার্থের ঘনত্ব । পদার্থের অণু পরমাণুগুলি কত কাছাকাছি বা কত দূরে আছে তা জানা যায় ঘনত্বের দ্বারা ।
12. নিকে কাকে বলে ?
উঃ । কেন্দ্ৰমণ্ডল হল ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের পরবর্তী এবং কেন্দ্রের চারিদিকে বেষ্টনকারী শেষ স্তর । এর অপর নাম নিয়ে । এই স্তরটি প্রায় 3500 কিমি পুরু । অত্যন্ত ভারী নিকেল ( Ni ) আর লোহা ( Fe ) দিয়ে তৈরি বলে একে নিয়ে বলা হয় । এই স্তরটির গড় ঘনত্ব প্রায় 9.1 থেকে 13.1 গ্রাম / ঘনসেমি । এখানকার গড় তাপমাত্রা প্রায় 5000 সেমি ।
13. ( SIMA ) ওসিয়াল ( SIAL ) স্তরটির বিবরণ দাও ।
উঃ মহাসাগরের নীচে প্রধানত সিলিকন ( Si ) ও ম্যাগনেশিয়াম ( Mg ) দিয়ে তৈরি স্তরটি হল সিমা । এই স্তরটি তুলনায় ভারী । ব্যাসন্ট জাতীয় আগ্নেয় শিলা দ্বারা এই স্তরটি গঠিত । এই স্তরের ঘনত্ব 2.9 গ্রাম / ঘনসেমি । মহাদেশের নীচে প্রধানত সিলিকন ( SI ) ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি ভূত্বকের ওপরের স্তরটি সিয়াল নামে পরিচিত । এটি গ্রানাইট জাতীয় আগ্নেয় শিলা
14.পৃথিবীর যে শক্ত পিঠটার ওপর আমরা আছি তার নীচে কী আছে ?
উঃ । পৃথিবীর উপরিভাগ হালকা কঠিন উপাদান দ্বারা ঢাকা । যার গড় গভীরতা 30 কিমি । শক্ত পিঠটার নীচে ভূকেন্দ্র পর্যন্ত প্রতিটি পদার্থ অত্যন্ত উত্তপ্ত ও গণিত অবস্থায় রয়েছে ।
15.কেউ কি কখনো দেখেছে পৃথিবীর ভেতরটা কেমন ?
উঃ । পৃথিবীর ভেতরটা দেখা কখনোই সম্ভব নয় । তবে আগ্নেয়গিরির লাভা , উগ্ন প্রবণের ফুটন্ত জল , সোনার খনি , কয়লার খনি ইত্যাদি থেকে Pics কিছুটা অনুমান করতে পারি যে এর ভিতরে কী কী থাকতে পারে ।
17.পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত দেখতে গেলে কত গভীর গর্ত খুঁড়তে হবে ?
উঃ । পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত দেখতে গেলে 6370 কিমি গভীর গর্ত খুঁড়তে হবে ।
18. পৃথিবীর ভেতরটা কেমন তা কতটা জানা সম্ভব হয়েছে ?
উঃ । পৃথিবীর ভেতরটা কেমন তা মোটামুটি অনুভব করা সম্ভব হয়েছে ।
19. পৃথিবীর ভেতরটা সম্পর্কে মানুষ যতটা জেনেছে , সেটুকু জানল কী ভাবে ?
উঃ । পৃথিবী নিজেই বুঝিয়ে দেয় তার ভিতরে কি আছে । তাই মাঝে মধ্যেই মানুষ আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে গলিত অর্ধতরল উত্তপ্ত লাভা বের হতে দেখতে পায় , আবার রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের গর্ত কখনো কখনো প্রবল ভূমিকম্পে ভূপৃষ্ঠ কেঁপে ওঠা ও উরু প্রস্রবণে ভূত্বক থেকে ফুটন্ত জল বেরিয়ে আসে তা দেখতে পায় । এছাড়া মাধ্যাকর্ষণ সূত্র অনুযায়ী পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে ক্রমশ ভারী পদার্থ সজ্জিত হবে এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে । ভূকম্প তরঙ্গের গতিবিধি সম্পর্কিত গবেষণা থেকে পৃথিবীর অভ্যত্তর সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া গেছে । অনুমান করা যায় , ভূগর্ভে অবস্থিত বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় খনিজ পদার্থ থেকে নির্গত তাপের প্রভাবে ভূঅভ্যন্তরভাগ সির থাকে না ।
20. বলতো কেন আমরা পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে পারি না ?
উঃ । পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল আজ থেকে প্রায় 460 কোটি বছর আগে । তখন পৃথিবী ছিল প্রচন্ড উত্তপ্ত গ্যাসীয় পিণ্ড । সময়ের সাথে সাথে পৃথিবীর উপরিপৃষ্ঠটা আগে ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়ে গেছে কিন্তু পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ এখনো বিরাট বড়ো অগ্নিকুন্ড হয়ে আছে তাই আমরা পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে পারি না ।
21.কেন আমরা পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে সরাসরি কোনো তথ্য পাইনা ?
উঃ । পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ এখনও বিরাট বড়ো অগ্নিকুপ্ত হয়ে আছে সেখানে চাপ এবং ভাপ দুটোই খুব বেশি হয় বলে আমাদের পক্ষে সেখানে পৌঁছে সরাসরি তথ্য জোগাড় করা সম্ভব হয় না ।
22.পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলোর ঘনত্ব বেশি হয় কেন ?
উঃ । পৃথিবী সৃষ্টির পর উত্তপ্ত অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা হওয়ার সময় কেন্দ্রের আকর্ষণের জন্য অপেক্ষাকৃত ঘন পদার্থগুলি যেমন নিকেল , লোহা নীচের দিকে জমা হয় । ফলে কেন্দ্রের দিকে ঘনত্ব ক্রমশ বেশি হয় । স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীর অভ্যন্তরে যত যাওয়া যায় পদার্থের চাপ তত বাড়ে । চাপ বাড়লে পদার্থের ঘনত্ব বেড়ে যায় , তাই পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলোর ঘনত্ব বেশি হয় ।
23. নিজে পরীক্ষা করে দেখো । কিছুটা মুড়ি , পাথর , মাটি নাও । কাচের গ্লাসে অর্ধেক জল ভর্তি করো । ওগুলো গ্লাসে ঢেলে নাড়িয়ে দেখো কী হয় ?
উঃ । এতে দেখতে পাওয়া যাবে সবচেয়ে ভারী হওয়ার কারণে পাথরগুলি গ্লাসের একেবারে নীচে রয়েছে , মাঝখানে রয়েছে অপেক্ষাকৃত কম ঘনত্বযুক্ত মুড়ি এবং সবশেষে ওপরের দিকে রয়েছে মাটি । এইভাবে গ্লাসের জলের মধ্যে তিনটি স্তর তৈরি হবে ।
Very helpful 👍
ReplyDeleteThank you so much 💖💖💖🥰🥰🥰
You are right ✅️
DeleteIs this helpful for us
DeleteThank you so much
ReplyDelete9735819072
ReplyDeleteVery helpful
ReplyDeleteThanks
ReplyDeleteThanks a lot
ReplyDeleteHmm very halp full
ReplyDeleteThank you Google🙂
ReplyDeleteThanks Google 😇🥰🥰
ReplyDeleteThank u 💓 💗
ReplyDeleteThats good the question and answer are so good thank you for helping me
ReplyDeleteThank you Google
ReplyDeleteThankyou for this
ReplyDelete❤️❤️😊☺️
Thank you very much 🥰
ReplyDeleteOk
ReplyDeleteOk
ReplyDeleteThankyou so much ☺️
ReplyDelete