❑ ছিয়াত্তরের: ১১৭৬ সালের কথা বলা হয়েছে।
❑মন্বন্তর: দুর্ভিক্ষ ও মহামারি।
❑ লেখক পরিচিতি: জন্ম ১৮৩৮ খ্রিঃ ২৬ জুন বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায়। পিতার নাম যাদব চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি বাংলা গদ্য সাহিত্যের জনক নামে পরিচিত হন। বি. এ. পাস করে তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হন। তিনি প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস সবক্ষেত্রেই সাফল্য লাভ করেন। দুর্গেশনন্দিনী, কপালকুণ্ডলা, আনন্দ মঠ, বিষবৃক্ষ ইত্যাদি গ্রন্থের রচয়িতা। তিনি ঐ 'সাহিত্য সম্রাট', 'ঋষি বঙ্কিম', 'বাংলা স্কট' ইত্যাদি নামে ভূষিত হন। ১৮৯৪ খ্রিঃ ৮ এপ্রিল ইনি পরলোক গমন করেন।
❑ বিষয় পরিচিতি: ১১৭৬ সালে বাংলায় যে করুণ ও মর্মান্তিক মন্বন্তর হয়েছিল তারই দৃশ্য বর্ণনা করা হয়েছে এই রচনাটিতে। বৃষ্টিপাতের অভাবে ফসল না হওয়ায় বাংলার গ্রামগুলির লোকজন অনাহারে কাটাতে থাকে। কলেরা মহামারির প্রকোপ দেখা দেয়। গ্রাম যেন শ্মশানে পরিণত হয়। এই ঘটনাকেই লেখক তাঁর বিষয় হিসাবে গ্রহণ করেছেন।
❑ সারাংশ: ১১৭৬ সালের চরম দুর্ভিক্ষ বাংলার মানুষকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। বাংলার গ্রামগুলি সব নীরব। সুখ নেই। মুখে খাবার নেই অনাহারে মানুষগুলো শুকিয়ে মরছে। ভিক্ষা করছে সবাই, ভিক্ষা দেবার লোক কোথায়? সবাই বেচার জন্য চেষ্টা করছে, কিন্তু কিনবে কে? পথে ঘাটে মানুষ নেই, শ্মশানের নীরবতা। শেয়াল কুকুর ঘুরে বেড়াচ্ছে। আগের দুবছর দেশে বৃষ্টি হয়নি। লোকের কষ্ট হলেও রাজস্ব কিন্তু কড়ায় গন্ডায় আদায় করে নিল। কৃষক সর্বস্বান্ত হল। ফল হল না, মাঠ খাঁ খাঁ করছে। চৈত্রফসল হয়েছিল কিন্তু তুলনায় কিছুই নয়। বাংলায় হাহাকার দেখা দিল।
কৃষক গোরু লাঙল বীজ ধান সব বিক্রি করে ফেলল। মেয়ে ছেলে স্ত্রীকে বেচা আরম্ভ হল। কিন্তু কে কিনবে, কেনার লোকই তো নেই। মহামারি শুরু হল, কে কাকে দেখবে? মানুষ মরে পচতে থাকে এবং সবাই গ্রাম ছেড়ে পালাতে লাগল। মহেন্দ্র সিংহ গ্রামের ধনবান ব্যক্তি। দুজনে স্বামী-স্ত্রী ও এক কন্যাকে নিয়ে কী করবে ভেবে পেল না। শেষে ঠিক করল কোথাও চলে যাবে।
পথে হেঁটেই যাবে তারা। সঙ্গে নিল গুলি বন্দুক আর বারুদ। কল্যাণী নিল সঙ্গে বিষ। রাস্তায় খর রৌদ্রে তাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। মেয়েকে বাঁচাবার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সন্ধ্যায় তারা এক চটিতে পৌঁছোলেন। চটিতেও কোনো আশার আলো পাওয়া গেল না। সবাই পালিয়েছে। মহেন্দ্র স্ত্রী কন্যাকে রেখে দুধের সন্ধানে বের হল। মহেন্দ্রকে যেতে দিয়ে কল্যাণী চিন্তা করতে লাগল। এমন সময় একটা কঙ্কালসার মানুষ তার দিকে হাত বাড়াল। পরপর এরকম কয়েকটি দীর্ঘকায় ভয়ঙ্কর লোক এল। তারা সকলে মিলে কল্যাণী ও কন্যাকে নিয়ে দূরে মাঠে চলে গেল। এদিকে মহেন্দ্র এসে কাউকেই পেল না। চিৎকার করে ডাকার পরেও তাদের সন্ধান পেল না।
❐ শূন্যস্থান পূরণ করো : (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
(ক) পাঠ্যাংশটি ---- উপন্যাস থেকে গৃহীত।
উত্তর: পাঠ্যাংশটি আনন্দমঠ উপন্যাস থেকে গৃহীত।
(খ) 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' রচনাংশটির লেখকের নাম ------
উত্তর: ছিয়াত্তরের মন্বন্তর রচনাংশটির লেখকের নাম 'বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়'।
(গ) 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' রচনাংশে বর্ণিত গ্রামটির নাম -----
উত্তর: বর্ণিত গ্রামটির নাম পদচিহ্ন।
❐ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
(ক) (১১৭৬/১১৭৪/১১৭৫) সালের ঘটনা এখানে বর্ণিত হয়েছে।
উত্তর: ১১৭৬ সালের ঘটনা এখানে বর্ণিত হয়েছে।
(খ) মহেন্দ্র (ধনবান/দরিদ্র/কৃষিজীবী) ব্যক্তি।
উত্তর: মহেন্দ্র ধনবান ব্যক্তি।
(গ) মহম্মদ রেজা খাঁ ছিলেন (সেনাপতি/রাজস্ব আদায়কারী/শাসক)
উত্তর: মহম্মদ রেজা খাঁ ছিলেন রাজস্ব আদায়কারী।
(ঘ) ঘরে ঘরে লোক মারা গেলো (জ্বরে/বসন্তে/কলেরাতে/ক্ষয়-এ)
উত্তর: ঘরে ঘরে লোক মারা গেলো বসন্তে।
(ঙ) মহেন্দ্র কলসি করিয়া (জল/খাবার/দুধ) লইয়া উপস্থিত হইল।
উত্তর : মহেন্দ্র কলসি করিয়া দুধ লইয়া উপস্থিত হইল।
(চ) রাজধানী যাত্রার সময় মহেন্দ্রর স্ত্রী কল্যাণী সঙ্গে নিয়ে নিয়েছিল (শুকনো খাবার/বন্দুক/বিষ)
উত্তর : রাজধানী যাত্রার সময় মহেন্দ্রর স্ত্রী কল্যাণী সঙ্গে নিয়ে নিয়েছিল বিষ।
❐ বাক্যের ভুল অংশটি সংশোধন করে লেখো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
(ক) ১৯৮০ সালে ভালো ফসল হয় নাই।
উত্তর: ১১৭৪ সালে ভালো ফসল হয় নাই।
(খ) মহেন্দ্রর স্ত্রীর নাম কামিনী।
উত্তর: মহেন্দ্রর স্ত্রীর নাম কল্যাণী।
(গ) মহেন্দ্র সিংহ চরণচিহ্ন গ্রামে বড়ো ধনবান।
উত্তর: মহেন্দ্র পদচিহ্ন গ্রামে বড়ো ধনবান।
(ঘ) জ্যৈষ্ঠ মাস; দারুণ শীত।
উত্তর: জ্যৈষ্ঠ মাস; দারুণ রৌদ্র।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
(ক) 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' পাঠ্যাংশটি কোন্ উপন্যাস থেকে গৃহীত?
উত্তর: ছিয়াত্তরের মন্বন্তর পাঠ্যাংশটি সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত আনন্দমঠ উপন্যাস থেকে গৃহীত।
(খ) ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কবে হয়েছিল?
উত্তর: ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ১১৭৬ সালে হয়েছিল।
(গ) মহেন্দ্র ও কল্যাণী কোথায় যাত্রা শুরু করলেন?
উত্তর: মহেন্দ্র ও কল্যাণী রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ (প্রতিটি প্রশ্নের মান-২/৩)
(ক) কবে, কেন ছিয়াত্তরের মন্বন্তর হয়েছিল?
উত্তর: ১১৭৬ সালের আশ্বিন কার্তিক মাসে কিছুমাত্র বৃষ্টি হল না। ফলে সমস্ত ফসল শুকিয়ে গেল, সামান্য যা ফসল ছিল তা রাজপুরুষের সিপাহিদের জন্য কিনে রাখলেন। লোকের অন্নসংস্থানের আর উপায় রইল না। তার ওপর মহম্মদ রেজা খাঁ শতকরা দশ টাকা রাজস্ব বাড়িয়ে দিল। এরই ফলস্বরূপ ১১৭৬ সালে দেখা দিল দুর্ভিক্ষ বা মন্বন্তর।
(খ) কে কাকে সঙ্গে নিয়ে শহরে যাত্রা করল?
উত্তর: পদচিহ্ন গ্রামের ধনবান ব্যক্তি মহেন্দ্র তার স্ত্রী কল্যাণী ও শিশু কন্যাকে নিয়ে শহরে যাত্রা করল।
(গ) তারা যাত্রা করার আগে কী কী করল?
উত্তর: একদিন প্রভাতে কিছু অর্থ সঙ্গে নিয়ে ঘরদ্বারের চাবি বন্ধ করে, গোরুগুলিকে ছেড়ে দিয়ে তারা রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। পথ বিপদসংকুল বলে মহেন্দ্র বন্দুক গুলি বারুদ এবং কল্যাণী বিষের ক্ষুদ্র কৌটো সঙ্গে নিলেন।-
(ঘ) কে কলশি নিয়ে দুধ আনতে গেল? সে ফিরে এসে কী দেখল?
উত্তর: মহেন্দ্র কলশি নিয়ে দুধ আনতে গেল। দুধ নিয়ে ফিরে এসে মহেন্দ্র দেখল, যে বাড়িটিতে সে তার স্ত্রী কল্যাণী ও শিশুকন্যাকে রেখে গিয়েছিল সেখানে কেউ কোথাও নেই। নাম ধরে ডাকিয়াও তাদের খোঁজ পেল না।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫)
(ক) দুর্ভিক্ষ পীড়িত পদচিহ্ন গ্রামের বিবরণ দাও।
উত্তর: ১১৭৬-এর মন্বন্তরের প্রভাব পদচিহ্ন গ্রামের ওপর প্রবলভাবে পড়েছিল। প্রথম প্রথম লোকে ভিক্ষা করতে আরম্ভ করল কিন্তু ক্রমশ ভিক্ষা দেবার মতো লোক গ্রামে- রইল না। ফলে উপবাস করা ছাড়া উপায় রইল না। মানুষ গোরু, গোয়াল, ঘরবাড়ি বিক্রি করল, সঞ্চিত বীজধানও খেয়ে ফেলল। অভাবের তাড়নায় স্ত্রী, পুত্রকন্যাও বিক্রি করে, কিন্তু গ্রামের তখন এমনই দূরবস্থা যে সবাই বিক্রি করতে চায়, কেনার লোক নেই। খাদ্যের অভাবে মানুষ ঘাসপাতা, এমনকি আগাছা পর্যন্ত খেতে আরম্ভ করে। বন্যেরা কুকুর, বেড়াল, ইঁদুর প্রভৃতি অখাদ্য খেতে লাগল। অনেকে দেশ ছেড়ে পালাল বটে, কিন্তু অনাহারে বা রোগের প্রকোপে কেউই মৃত্যুর হাত এড়িয়ে পালাতে পারল না। বিশেষত জ্বর, ওলাউঠা, ক্ষয় ও বসন্ত রোগে বাড়িতে বাড়িতে মানুষ মরতে লাগল। মৃতদেহ, সংস্কার করার লোক পাওয়া দায় হয়ে উঠল। ধনবানের বিশাল অট্টালিকার মধ্যেও মৃতদেহ পচতে লাগল। আস্তে আস্তে গোটা গ্রাম শ্মশানে পরিণত হলো।
(খ) মহেন্দ্রর যাত্রাপথের দৃশ্যবলির পরিচয় দাও।
উত্তর: মহেন্দ্র ধনবান ব্যক্তি, কিন্তু নিষ্ঠুর মন্বন্তর ধনী দরিদ্রের মধ্যে কোনো প্রভেদ রাখেনি। অনাহারে ও রোগে যখন গ্রামের সব মানুষই আক্রান্ত তখন মহেন্দ্র ও তার স্ত্রী কল্যাণী স্থির করলেন যে, মুরশিদাবাদ, কাশিমবাজার বা কলকাতায় গেলে হয়তো বা প্রাণ বাঁচাতে পারে। বহুকালের পুরুষানুক্রমে সঞ্চিত ধনরত্ন বাড়িতে বন্ধ করে তারা পদব্রজে রাজধানীর পথে রওনা হল। পথ অত্যন্ত দুর্গম ও ডাকাত লুঠোরাসংকুল বলে মহেন্দ্র বন্দুক ও গোলাবারুদ সঙ্গে নিল, কল্যাণী নিল বিষের একটা কৌটা। জ্যৈষ্ঠ মাসের দারুণ রোদ্দুর। উত্তপ্ত আকাশ থেকে যেন আগুনের হলকার মতো হাওয়া ছুটছে। কখনো বাবলা বা খেঁজুর গাছের ছায়ায় বিশ্রাম করে, কখনো বা শুকনো পুকুরের কাদাগোলা জলে তৃষ্ণা নিবারণ করে অতিকষ্টে তারা পথ - চলতে লাগল। একবার এক সুগন্ধি পুষ্পের বৃক্ষের নীচে মেয়েকে নিয়ে বসে তারা কিছুক্ষণ ক্লান্তি নিবারণ করল। কাপড় ভিজিয়ে জল এনে কল্যাণী হাত পা ও কপালে সিঞ্চন করল। এর ফলে তারা কিছুটা স্নিগ্ধ হল বটে কিন্তু তাতে তো আর ক্ষুধার অবসান হয় না। তার ওপর সঙ্গে রয়েছে শিশুকন্যাটি। অতএব একট নিরাপদ আশ্রয় ও খাদ্যদ্রব্যের আশায় তারা আবার সেই অগ্নিদগ্ধ পথে যাত্রা শুরু করল এবং সন্ধ্যার পূর্বে এক চটিতে এসে পৌঁছল।
(গ) 'মহেন্দ্র চলিয়া গেল'--মহেন্দ্র চলে গেলে কী ঘটেছিল?
উত্তর: সন্ধ্যার পূর্বে মহেন্দ্র ও কল্যাণী তাদের শিশুকন্যাকে নিয়ে যে চটিতে পৌঁছালেন তা জনমানবশূন্য। মহেন্দ্র তখন সেই চটিতে পড়ে থাকা একটি কলসি নিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করে কন্যার জন্য দুধের সন্ধানে বেরোল। কিছুক্ষণ পরে দরজা ছাড়া ঘরে উলঙ্গ, রোগা, কালো দীর্ঘকায় মানুষের ছায়া দেখতে পেল। তারা ঘরে ঢুকিয়া প্রবেশ করিতে কল্যাণী অজ্ঞান হইয়া গেল। তারপর তারা কল্যাণী ও তার কন্যাকে গভীর জঙ্গলে নিয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর মহেন্দ্র কলসি করিয়া দুধ নিয়ে এসে দেখল ঘরে কেউ কোথাও নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও মহেন্দ্র তাদের কোনো সন্ধান পেল না।
❐ পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
❐ সমাস নির্ণয় করো: কৃষ্ণবর্ণ, ফুল্লকুসুম, রাজপথ, স্নাতক, দম্পতি, গোচারণ, শব্দহীন, মধ্যাহ্ন, মন্বন্তর, মহার্ঘ, অনাহার।
উত্তর: কৃষ্ণবর্ণ = কৃষ্ণ যে বর্ণ-কর্মধারয় সমাস।
ফুল্লকুসুম = ফুল্ল যে কুসুম-কর্মধারয় সমাস।
রাজপথ = পথের রাজা-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
স্নাতক = স্নান করে যে-উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
দম্পতি = জায়া ও প্রতি-দ্বন্দু সমাস।
শব্দহীন = শব্দ দ্বারা হীন-করণ তৎপুরুষ সমাস।
গোচারণ = গোর (গোরুর) জন্য চারণ-নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস।
মধ্যাহ্ন = অহ্নের মধ্যভাগ-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
মহার্ঘ = মহা যে অর্ঘ (বস্তু)-কর্মধারয় সমাস।
মন্বন্তর = অন্যমনু-নিত্য সমাস।
অনাহার = নাই আহার-নঞ তৎপুরুষ সমাস।
❐ সন্ধি বিচ্ছেদ করো : মন্বন্তর, মৃন্ময়, অভ্যন্তর, রোগাক্রান্ত, প্রাদুর্ভাব, দুর্গম, কিঞ্চিৎ, ইতস্তত, নিরীক্ষণ, উচ্চৈঃস্বরে, মহেন্দ্র।
উত্তর : মন্বন্তর = মনু + অন্তর।
মৃন্ময় = মৃৎ + ময়।
অভ্যন্তর = অভি + অন্তর।
রোগাক্রান্ত = রোগ + আক্রান্ত।
প্রাদুর্ভাব = প্রাদুঃ + ভাব।
দুর্গম = দুঃ + গম।
কিঞ্চিৎ = কিম্ + চিৎ।
ইতস্তত = ইত + তত।
নিরীক্ষণ = নি + ইক্ষণ।
উচ্চৈঃস্বরে= উচ্চৈ স্বরে।
মহেন্দ্র = মহা + ইন্দ্র।
❐ পদান্তর করো: রৌদ্র, নীরব, শিশু, শোভা, রুদ্ধ, দৌরাত্ম্য, ক্ষয়, স্নিগ্ধ, স্পর্শ, ধনী।
উত্তর: রৌদ্র-রোদ।
নীরব-নীরবতা।
শিশু-শৈশব।
শোভা-শোভিত।
বুদ্ধ-রোধ।
দৌরাত্ম-দুরাত্ম।
ক্ষয়-ক্ষয়িয়।
স্নিগ্ধ-স্নেহ।
স্পর্শ-স্পৃষ্ট।
ধনী-ধন।
No comments:
Post a Comment