Chapter-9 Geography Questions And Answers Class 7th | ক্লাস সেভেন ভূগোল নবম অধ্যায় এশিয়ার নদ নদী প্রশ্ন উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর - Psycho Principal

Fresh Topics

Wednesday, 4 January 2023

Chapter-9 Geography Questions And Answers Class 7th | ক্লাস সেভেন ভূগোল নবম অধ্যায় এশিয়ার নদ নদী প্রশ্ন উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

 

এশিয়ার নদ নদী 
প্রশ্ন উত্তর



"এশিয়ার জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো

👉 ( এশিয়ার জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রশ্ন উত্তর )

▩  অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : -প্রতিটা প্রশ্নের মান -1 

1. টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মিলিত প্রবাহের নাম কী?

উঃ। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মিলিত প্রবাহের নাম সাত-এল-আরব।


2. ইয়াং-সি- নদী কোথা থেকে উৎপন্ন হয়েছে? এর দৈর্ঘ্য কত ?

উঃ। ইয়াং-সি-নদীটি কুয়েনলুন পর্বতের দক্ষিণে গোলাডানডং পর্বতশৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য 630 কিলোমিটার।


3. আমুর নদী কোথা থেকে উৎপন্ন হয়ে কোথায় পড়েছে? এর দৈর্ঘ্য কত? 

উঃ। আমুর নদী রাশিয়ার ইয়ারোনয় পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে ওখটস্ক সাগরে পড়েছে। এর দৈর্ঘ্য 2824 কিমি।


4. ওব ও ইনিসি নদী কোথায় পড়েছে?

উঃ। ওব নদী পড়েছে ওব সাগরে এবং ইনিসি নদী পড়েছে ইনিসি উপসাগরে।


5. লেনা নদী কোথা থেকে উৎপন্ন হয়ে কোথায় পড়েছে? 

উঃ। লেনা নদী বৈকাল পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে লাপ্টেভিক সাগরে পড়েছে।


6. এশিয়ার দক্ষিণ বাহিনী নদীগুলি কীসের কাজে উপযোগী? 

উঃ। এশিয়ার দক্ষিণ বাহিনী নদীগুলি পরিবহন ও সেচের কাজে বিশেষ উপযোগী।


7. ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর উৎপত্তিস্থল কোনটি?

উঃ। ব্রক্ষ্মপুত্র নদী তিব্বতের মানস সরোবরের কাছে চেমায়ুং দং হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।


8. ইরাবতী নদী কোথা থেকে উৎপন্ন হয়ে কোথায় পড়েছে? 

উঃ। ইরাবতী নদী ইউনান মালভূমি থেকে উৎপন্ন হবে মার্তাবান উপসাগরে পড়েছে।


9. মেনাম নদী কোথা থেকে উৎপন্ন হয়ে কোথায় পড়েছে?

উঃ। মেনাম নদী শান মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে শ্যামসাগরে পড়েছে।


10. হোয়াংহো নদী কোথা থেকে উৎপন্ন হয়ে কোথায় পড়েছে? 

উঃ। হোয়াংহো নদী কুয়েনলুন পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে পোহাই উপসাগরে পড়েছে।


11. কাকে এবং কেন পীতনদী বলা হয়?

উঃ। চিনের হোয়াংহো নদী হলুদ রঙের পলিযুক্ত জল বহন করে বলে একে পীত নদী বলা হয়।


12. এশিয়া মহাদেশের কোন্ নদীকে ‘স্বর্ণরেণুর’ নদী বলে ?

উঃ। ইয়াংসি নদীকে ‘স্বর্ণরেণুর’ নদী বলে।


13. এশিয়ার পূর্বদিকে প্রবাহিত দুটি নদীর নাম করো যারা চিনসাগরে পড়েছে।

উঃ। ইয়াংসি ও সিকিয়াং নদী চিনসাগরে পড়েছে।


14. এশিয়ার কোন্ নদীকে পীত নদী বলে ? 

উঃ। এশিয়ার হোয়াংহো নদীকে পীত নদী বলে। 


15. এশিয়ার দীর্ঘতম নদী কোনটি? 

উঃ। এশিয়ার দীর্ঘতম নদী হল ইয়াংসি ।


▧ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

1. এশিয়া মহাদেশের উত্তর দিকে প্রবাহিত নদীগুলির বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

উঃ। এশিয়া মহাদেশের উত্তরদিকে প্রবাহিত নদীগুলি হল ওর, ইনিসি, লেনা। এই নদীগুলির বৈশিষ্ট্য হল— (i) এই নদীগুলির মোহানা উচ্চ অক্ষাংশের হিমমণ্ডলে অবস্থিত হওয়ায় বছরের আট থেকে নয় মাস বরফে ঢাকা থাকে। শরৎ ও বসন্তকালে পার্বত্য অঞ্চলে বেশি বৃষ্টি হলে ওই জল নদীর মোহানার বরফে বাধা পেয়ে বন্যা সৃষ্টি করে। (ii) এই নদীগুলি যাতায়াতের অনুপযোগী। (iii) এই নদী উপত্যকা জনবিরল। (iv) এই নদী অববাহিকায় একাধিক জলাভূমি দেখা যায়।


2. এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত নদীগুলির বৈশিষ্ট্যআলোচনা করো।

উঃ। এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত নদীগুলি হল গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, সিন্ধু, মেকং, মেনাম, ইরাবতী, টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদী। এই নদীগুলির বৈশিষ্ট্য হল (i) এই নদীগুলি মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত এবং পার্বত্য অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হওয়ার কারণে বৃষ্টির জল ও বরফ গলা জলে পুষ্ট। (ii) নদীগুলির নিম্নগতিতে বর্ষাকালে বন্যা দেখা দেয়। (iii) অধিকাংশ নদীগুলির অববাহিকা অঞ্চল ঘনবসতিপূর্ণ। (iv) নদীগুলি পরিবহণ ও সেচের কাজে বিশেষ উপযোগী।


3. এশিয়া মহাদেশের পূর্বদিকে প্রবাহিত নদীগুলির বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

উঃ। এশিয়া মহাদেশের পূর্বদিকে প্রবাহিত নদীগুলি হল ইয়াংসি, সিকিয়াং, হোয়াংহো ও আমুর। এই নদীগুলির বৈশিষ্ট্য হল (ক) নদী অববাহিকা ঘনবসতিপূর্ণ। (খ) নদীগুলি নিম্নপ্রবাহে পলি সঞ্চয় করে সমভূমি গড়ে তুলেছে ফলে এখানে কৃষি ও শিল্পের উন্নতি ঘটেছে।


4. এশিয়ার দক্ষিণবাহিনী নদীগুলির মধ্যে কোন্ দুটি নদী তিব্বতের মানস সরোবরের কাছ থেকে উৎপন্ন হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে?

উঃ। এশিয়ার ব্রহ্মপুত্র নদী তিব্বতের মানস সরোবরের কাছে চেমায়ুং দুং হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে বঙ্গোপসাগরে ও সিন্ধুনদ তিব্বতে মানস সরোবরের কাছ থেকে উৎপন্ন হয়ে আরব সাগরে পড়েছে।


5. এশিয়ার দক্ষিণবাহিনী নদীগুলির মধ্যে দীর্ঘতম নদীর নাম কী? নদীটির দৈর্ঘ্য কত কিমি?

উঃ। এশিয়ার দীর্ঘতম দক্ষিণবাহিনী নদী হল মেকং নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য 4,350 কিমি।


▧ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর :  প্রতিটা প্রশ্নের মান -5/8

1. এশিয়া মহাদেশের পূর্বদিকে প্রবাহিত নদীগুলির বর্ণনা দাও।

উঃ । মধ্য এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চল পূর্বদিকে বিস্তৃত বলে মধ্য এশিয়া থেকে উৎপন্ন হয়ে যেসব নদী পূর্বদিকে গিয়েছে, সেখানকার পর্বতের বাধার ফলে সেগুলি অনেক সময় বহুদূর পর্যন্ত এঁকেবেঁকে গিয়েছে।

এইসব নদীগুলির মধ্যে (i) ইয়াংসি (ii) হোয়াংহো, (iii) আমুর এবং (iv) সিকিয়াং প্রভৃতি নদী বিশেষ উল্লেখযোগ্য। 

(i) ইয়াংসি (6300 কিমি) : ইয়াংসি এশিয়ার দীর্ঘতম নদী এই নদীটি কুয়েনলুন পর্বতের দক্ষিণে গোলডানডং পর্বতশৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রথমে অনেকদূর পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্বদিক দিয়ে বয়ে যাবার পর পার্বত্য অঞ্চলে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত চিন সাগরে পড়েছে। এই নদীর তীরে স্বর্ণরেণু পাওয়া যায়। এর উপনদীগুলি হল—হ্যান কিয়াং, টু কিয়াং প্রভৃতি। চিনের বহু শহর, নগর, শিল্প ও বাণিজ্যকেন্দ্র এই নদীর তীরে অবস্থিত।

(ii) সিকিয়াং (1,920 কিমি) : এই নদীটি চিনের দক্ষিণ-পূর্বে ইউনান মালভূমির বায়ানহারা পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকে গিয়ে চিন সাগরে পড়েছে। চিনের বৃহৎ বন্দর ক্যান্টন এই নদীর মোহানায় অবস্থিত হওয়ায় এই নদীর অন্য নাম ক্যান্টন নদী।

(iii) হোয়াংহো (5464 কিমি) : হোয়াংহো নদীটি কুয়েনলুন পর্বতের দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর- পূর্বদিকে বহুদূর বয়ে গিয়ে পোহাই উপসাগরে পড়েছে। এর প্রধান উপনদী ওয়েই হো ও ফেন হো। পার্বত্য অঞ্চলের বৃষ্টি ও বরফগলা জল ওই নদীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে এই নদীতে মাঝে মাঝে বন্যা হয়। এইজন্য নদীতীরের অধিবাসীদের কাছে নদীটি দুঃখের কারণ হওয়ায় এর নাম দেওয়া হয়েছে হোয়াংহো বা ‘চিনের দুঃখ'। বর্তমানে এর গতিপথে বাঁধ দিয়ে জলের বেগ কিছুটা নিয়ন্ত্রিত করার ফলে নদীটিতে বন্যা কম হয় এবং জলসেচ, যাতায়াত, বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন প্রভৃতি ব্যাপারে যথেষ্ট সুবিধা হওয়ায় এই নদীর তীরে নগর, শিল্পকেন্দ্র প্রভৃতি গড়ে উঠেছে।

(iv) আমুর (2,824 কিমি) : আমুর নদীটি রাশিয়ার ইয়ারোনয় পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব সীমা দিয়ে পূর্বদিকে গিয়ে সাখালিন দ্বীপের পশ্চিমদিকের সংকীর্ণ প্রণালীতে পড়েছে। উসুরি, সিল্কা ও সুঙ্গারি, এর প্রধান উপনদী।


2. এশিয়ার দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত নদীগুলির বর্ণনা দাও।

উঃ। এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত নদীগুলি পার্বত্য অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হবার জন্য বৃষ্টির জল ও বরফগলা জলে পুষ্ট এই নদীগুলি মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

(i) গঙ্গা (2,525 কিমি) : হিমালয় পর্বতের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। যমুনা, শোন, ঘর্ঘরা, গণ্ডক প্রভৃতি এর প্রধান উপনদী।

(ii) ব্রহ্মপুত্র ( 2,900 কিমি) : তিব্বতের মানস সরোবরের কাছে চেমায়ুং দং হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। এর উপনদীগুলি হল মানস, বুড়িডিহং । 

(iii) সিন্ধু (2,900 কিমি) : তিব্বতের মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরে পড়েছে। তিস্তা, বিপাশা, শতদ্রু, ইরাবতী প্রভৃতি এর উপনদী।

(iv) মেকং (4,350 কিমি) : কুয়েনলুন পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে পড়েছে। 

(v) ইরাবতী (2090) : এই নদী টি ইউনান মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়েছে এবং ব্রহ্মদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মার্তাবান উপসাগরে পড়েছে। ইরাবতীর প্রধান উপনদী হল চিন্দুইন।

(vi) টাইগ্রিস (1900) ইউফ্রেটিস (2800) : দুটি নদীই আর্মেনীয় মালভূমির কুর্দিস্তান পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে পারস্য উপসাগরে পড়েছে।

(vii) মেনাম নদী (372 কিমি) : এটি শান মালভূমিতে উৎপন্ন হয়ে থাইল্যান্ড উপসাগরে পড়েছে।

No comments:

Post a Comment