Class 6th Poribesh Bigyan chapter -8 Questions And Answers || ষষ্ঠ শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর || মানুষের শরীর প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণীর পরিবেশ সহায়িকা - Psycho Principal

Fresh Topics

Friday, 3 January 2025

Class 6th Poribesh Bigyan chapter -8 Questions And Answers || ষষ্ঠ শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর || মানুষের শরীর প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণীর পরিবেশ সহায়িকা

  

অষ্টম অধ্যায়
প্রশ্ন উত্তর


নবম অধ্যায় "সাধারণ যন্ত্রসমুহ" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো

👉 ( নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর )


⬛সত্য মিথ্যা নির্বাচন করো :

1. দ্বিপত্র কপাটিকা দেখা যায় বাম অলিন্দ ও বাম নিলয়ের মাঝখানে ।

➤➣সত্য/মিথ্যা


2. হৃৎপিণ্ডের সমস্যা হলে দেহে পেসমেকার বসানো হয়।

➤➣সত্য/মিথ্যা


3. ডান নিলয়ের দূষিত রক্ত মহাধমনি দিয়ে ফুসফুসে যায় বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য।

➤➣সত্য/মিথ্যা


4. অক্সিজেন গ্যাসকে প্রাণবায়ু বলে।

➤➣সত্য/মিথ্যা


5. আমাদের দেহের বুক ও পেটের মাঝখানে যে পেশি আছে তার নাম হল মধ্যচ্ছদা ।

➤➣সত্য/মিথ্যা


6. হূৎপিণ্ডের সমস্যা থাকলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

➤➣সত্য/মিথ্যা


7. কোমরে হিত্ব সন্ধি দেখা যায়।

➤➣সত্য/মিথ্যা


৪. কাজ করার সময় পেশির দৈর্ঘ্য বাড়ে।

➤➣সত্য/মিথ্যা


9. লিগামেন্ট হাড়ের সাথে হাড়কে যুক্ত করে।

➤➣সত্য/মিথ্যা


10. দেহে বামনত্ব দেখা গেলে তাকে ডোয়ারফিজম বলে।

➤➣সত্য/মিথ্যা


11. চেহারা রোগা হলেও ওজন স্বাভাবিক হতে পারে।

➤➣সত্য/মিথ্যা

উত্তর: 1.সত্য 2.সত্য 3.মিথ্যা 4.সত্য 5.সত্য 6.মিথ্যা 7.মিথ্যা 8.সত্য 9.সত্য 10.সত্য 11.সত্য 


একটি বাক্যে উত্তর দাও:


1. ধমনি কী?

উত্তর: যে রক্তবাহের মধ্য দিয়ে হৃৎপিন্ড থেকে বিশুদ্ধ রক্ত সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে তার নাম হল ধমনি |


2. শিরা কী ?

উত্তর: যে রক্তবাহের মাধ্যমে সারাদেহ থেকে দূষিত রক্ত আবার হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে তার নাম হল শিরা।


3. বল ও সকেট সন্ধি কোথায় দেখা যায় ?

উত্তর: বল ও সকেট সন্ধি দেখা যায় কাঁধে ও কোমরে।


4. মানুষের হৃৎপিন্ডের কয়টি অংশ?

উত্তর: মানুষের হৃৎপিন্ডের 4টি অংশ—[1] ডান অলিন্দ, [2] বাম অলিন্দ, [3] ডান নিলয় ও [4] বাম নিলয় ।


5. হৃৎস্পন্দন কাকে বলে ?

উত্তর: হৃৎপিণ্ডের পর্যায়ক্রমিক সংকোচন ও প্রসারণের ফলে সৃষ্টি হওয়া ছন্দবদ্ধ স্পন্দনকে হৃৎস্পন্দন বলে।


6. একজন সুস্থ ব্যক্তির গড় হৃৎস্পন্দন কত ?

উত্তর: একজন সুস্থ ব্যক্তির গড় হয় স্পন্দন মিনিটে 72 বার।


7. অণুচক্রিকার কাজ কী?

উত্তর: দেহের কোনো স্থান কেটে গেলে অণুচক্রিকা সেই স্থানে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। 


৪. রক্তের উপাদানগুলি কমবেশি হলে কী হার?

উত্তর: রক্তের উপাদানগুলি কমবেশি হলে দেহের স্বাভাবিক কাজে বিঘ্ন ঘটবে ফলে শরীর খারাপ হতে পারে।


9. কনুইতে কী ধরনের অস্থিসন্ধি আছে?

উত্তর: কনুইতে হিঞ্চু সন্ধি আছে। 


10. কোমরের অস্থিসন্ধিতে পায়ের ওপরের হাড়টির নাম লেখো।

উত্তর: কোমরের অস্থিসন্ধিতে পায়ের ওপরের হাড়টির নাম কিমার (Femur) ।


11. টেনডন কী?

উত্তর : টেনডন হল একপ্রকার স্থিতিস্থাপক তত্ত্ব যা পেশিকে হাড়ের সাথে যুক্ত করে।


12. ঈষৎ সচল অস্থিসন্ধির উদাহরণ দাও।

উত্তর: মেরুদণ্ডের কশেরুকাগুলি এই জাতীয় অস্থিসন্ধি দ্বারা যুক্ত থাকে।


13. এরকম দুটি অস্থিসন্ধির নাম করো যেখানে দুই- এর বেশি সংখ্যক অস্থি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। 

উত্তর: হাতের কবজির অস্থিসন্ধি এবং পায়ের পাতার অস্থিসন্ধি।


14. প্রথম কশেরুকার নাম কী?

উত্তর: প্রথম কশেরুকার নাম অ্যাটলাস। 


15. দেহের বৃদ্ধি কী কী কারণে প্রভাবিত হয় ?

উত্তর: বংশগত কারণ ও সঠিক পুষ্টি দেহের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে।


সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর ;


1. ত্ৰিপত্ৰ কপাটিকা কোথায় থাকে? এর কাজ কী? 

উত্তর: ত্রিপন্ন কপাটিকা ডান অলিন্দ ও ডান নিলয়ের সংযোগ জ্বলে থাকে। নিলয়ের সংকোচন ঘটলে ডান নিলয় থেকে দূষিত রক্তের ডান অলিন্দ ফিরে আসাকে আটকায় ত্রিপত্র কপাটিকা।


2. দ্বিপত্র কপাটিকা কোথায় থাকে? এর কাজ কী ? 

উত্তর: দ্বিপন্ন কপাটিকা বাম অলিন্দ ও বাম নিলয়ের সংযোগস্থলে থাকে। নিলয়ের সংকোচন ঘটলে বাম নিলয থেকে বিশুদ্ধ রক্তের বাম অলিন্দে ফিরে আসাকে আটকায় দ্বিপত্র কপাটিকা ।


3. রক্তের কোন্ উপাদানটি এর লাল রঙের জন্য দায়ী ? উপাদানটির কাজ কী ?

উত্তর: রক্তের উপাদান লোহিত কণিকার জন্য এর রং লাল । লোহিত রক্তকণিকা ফুসফুস থেকে অক্সিজেনকে সারা দেহের সমস্ত অংশে পৌঁছে দেয়।


4. শ্বেত রক্তকণিকার কাজ কী ?

উত্তর: শ্বেত রক্তকণিকা মূলত শরীরের রক্ষীর কাজ করে। এদের কাজ হল বাইরে থেকে আসা রোগের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে শরীরকে রক্ষা করা। আবার শরীরে কোথাও ক্ষত হলে তা সারাই করার সময়ও এদের দরকার হয়।


5. ক্লোমশাখা কী ?

উত্তর: ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালীর শেষভাগ বিভক্ত হয়ে দুটি শাখানালী গঠন করে যারা দুটি ফুসফুসে প্রবেশ করে। এদের ব্রঙ্কাস বা ক্লোমশাখা বলে ।


 6. বায়ুথলি কী? এর সংখ্যা কত?

উত্তর: ফুসফুসে অবস্থিত, রক্তজালক দিয়ে আবৃত ছোটো ছোটো বেলুনের মতো দেখতে অংশগুলিকে বলে বায়ুথলি   এক-একটি ফুসফুসে প্রায় দশ কোটি বায়ুথলি থাকে ।


7. অস্থিসন্ধি বলতে কী বোঝ?

উত্তর: দুটি বা তার বেশি অস্থি যেখানে একে অপরের সঙ্গে লিগামেন্ট দিয়ে যুক্ত থাকে সেই জায়গাটিকেই বলে অস্থিসন্ধি।


৪. অচল অস্থিসন্ধি বলতে কী বোঝ? 

উদাহরণ দাও । উত্তর: যে প্রকার অস্থিসন্ধির অস্থিগুলি একেবারেই নড়াচড়া করে না তাকে অচল অস্থিসন্ধি বলে। যেমন— করোটির অস্থিসন্ধি ।


9. বল ও সকেট সন্ধি কী? এই ধরনের অস্থিসন্ধি থাকার ফলে আমাদের কী সুবিধা হয়?

উত্তর: যে অস্থিসন্ধিতে একটি অস্থির গোলাকার প্রান্ত অপর অস্থির খাঁজের মধ্যে অবস্থান করে তাকে বল ও সকেট অস্থিসন্ধি বলে।

এই ধরনের অস্থিসন্ধি থাকার ফলে কাঁধ থেকে হাতের এবং কোমর থেকে পায়ের বিচলন সামনে-পিছনে, ডান- বাঁয়ে সবদিকেই হয়। এমনকি তা অনেকটা চরকির মতো ঘোরানো সম্ভব হয় ।


12. পিভট সন্ধি কী? দেহের কোথায় এই সন্ধি দেখা যায় ? 

উত্তর: এই ধরনের অস্থিসন্ধিতে একটি প্রতিবেশী অস্থিকে অক্ষ করে অপর অস্থিটি ঘুরতে পারে । আমাদের মেরুদণ্ডের গলা অংশের দু-নম্বর কশেরুকার অক্ষ বা কীলক-দণ্ডের চারধারে আবর্তিত হয় এক নম্বর কশেরুকা—এটি পিভট সন্ধি।


13. শ্বাসকার্যে সাহায্যকারী পেশিগুলির নাম করো ৷ 

উত্তর: শ্বাসকার্যে সাহায্যকারী পেশিগুলি হল- [1] পাঁজরের ফাঁকে অবস্থিত পঞ্জর পেশি এবং [2] বুক ও পেটের মাঝে অবস্থিত মধ্যচ্ছদা।


14. হূৎপিণ্ডের ভিতরে রক্তপ্রবাহ সর্বদা একমুখী হয় কেন ?

উত্তর: হৃৎপিণ্ডের ভিতরে অবস্থিত দ্বিপত্র ও ত্রিপত্র কপাটিকা এবং রক্তবাহের সংযোগস্থলে অবস্থিত বিভিন্ন অর্ধচন্দ্রাকৃতি কপাটিকাগুলির জন্য রক্তপ্রবাহ সর্বদা একমুখী হয়  


15. বয়সের সাথে সাথে শরীরের বৃদ্ধি ছেলে ও মেয়েদের ক্ষেত্রে কীভাবে ঘটে?

উত্তর: বয়সের সাথে সাথে শরীরের বৃদ্ধির প্রকৃতি ছেলে ও মেয়েদের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হয়। মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধির হার বেড়ে যায় 8 থেকে 12 বছর বয়সে এবং শারীরিক বৃদ্ধি থেমে যায় 17-18 বছর বয়সে। তবে ছেলেদের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির বিকাশ শুরু হয় 10 বছর থেকে 14 বছর বয়সে এবং 21 বছর বয়সে বৃদ্ধির বিকাশ থেমে যায়। বংশগত কারণ ও সঠিক পুষ্টি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে দেহের পরিবর্তন ঘটে, উচ্চতা ও ওজন বাড়ে।


16. শরীর ও মনকে স্বাস্থ্যকর করে তোলার জন্য কী প্রয়োজন ?

উত্তর: শরীর ও মনকে স্বাস্থ্যকর করে তোলার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। সকাল, দুপুর, বিকাল ও রাত্রে পরিমাণ মতো খাবার না খেলে শরীরের যেমন বৃদ্ধি হয় না তেমন মনের বিকাশও বাধা পায় ।  


17. রক্তের উপাদানগুলি কী কী ?

উত্তর: রক্তের অধিকাংশ অংশ হল জলীয় অংশ যার নাম রক্তরস বা প্লাজমা। এ ছাড়াও রক্তে তিন ধরনের কণিকা থাকে—লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা। এ ছাড়াও রক্তের মধ্যে কিছু চিনি, নুনও থাকে।


20. ফুসফুসের কাজ কী ?

উত্তর: বায়ুমণ্ডল থেকে বাতাস শরীরের ভিতর টেনে নেওয়া, সেই টেনে নেওয়া বাতাস থেকে অক্সিজেনকে রক্তে পৌঁছে দেওয়া আর শরীরে তৈরি হওয়া কার্বন ডাইঅক্সাইডকে রক্ত থেকে টেনে নিয়ে বাতাসের সঙ্গে শরীর থেকে বের করে দেওয়া হল ফুসফুসের কাজ।


21. হূৎপিণ্ডের কী ধরনের সমস্যা দেখা যায় ?

উত্তর: মানুষের হৃৎপিণ্ডে যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায় সেগুলি হল—[1] হৃৎপিণ্ডের গায়ে ফুটো থাকা, [2] হৃৎপিণ্ডের অনিয়মিত সংকোচন, এমনকি মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যাওয়া, [3] হৃৎপিণ্ডের দেয়ালের পেশিতে রক্ত চলাচল কমে যাওয়া প্রভৃতি ।


22. টিকা দেওয়া হয় কেন? টিকা দিয়ে প্রতিরোধ করা হয় এমন দুটি রোগের নাম লেখো ।

উত্তর: কিছু মারাত্মক রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না। সেক্ষেত্রে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আগে থাকতেই উজ্জীবিত ও সক্রিয় করার জন্য টিকা দেওয়া হয়। ফলে ওই সব রোগের জীবাণু শরীরে ঢুকলে শরীর তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। টিকা দিয়ে প্রতিরোধ করা হয়—টিটেনাস ও ডিপথেরিয়া  


23. অস্থিসন্ধির বিচলন বলতে কী বোঝ? দেহত্তর সূচক নির্ণয়ের সূত্রটি লেখো ।

উত্তর: মস্তিষ্ক থেকে আসা নির্দেশ স্নায়ুপথে মাংসপেশিতে পৌঁছোনোমাত্র নির্দিষ্ট মাংসপেশি সংকুচিত হয় এবং অস্থিসন্ধির অস্থিগুলি সামনে, পিছনে, পাশে সঞ্চালিত হয়। একেই বলে অস্থিসন্ধির বিচলন।


24. পেশি কয় প্রকার ও কী কী? এর দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর: পেশি তিনপ্রকার—ঐচ্ছিক, অনৈচ্ছিক ও হৃদ্‌পেশি । পেশির দুটি বৈশিষ্ট্য হল — [1] পেশি টানার কাজ করে, [2] পেশি যখন কাজ করে তখন তার দৈর্ঘ্য কমে ।


25. ফুসফুসের দুটি সমস্যা লেখো। অস্থিসন্ধির দুটি সমস্যা লেখো।

উত্তর: ফুসফুসের দুটি সমস্যা হল — [1] দম নিতে কষ্ট হওয়া, কাশি হওয়া, [2] কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া, জ্বর আসা।

 অস্থিসন্ধির দুটি সমস্যা হল — [1] কোমর, হাতের আঙুল, হাঁটু প্রভৃতি স্থানের অস্থিসন্ধিতে অসহ্য যন্ত্রণা সঙ্গে কখনো কখনো জ্বর আসা, [2] দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পর উঠে দাঁড়ালে পিঠে ব্যথা হওয়া।



No comments:

Post a Comment