Pages

Sunday, 26 January 2025

সুখ প্রশ্ন উত্তর কামিনী রায় ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা (পদ্যা অংশ) | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা সুখ প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Sukh Question and Answer Madrasa (NCERT)


সুখ 
প্রশ্ন উত্তর




👉(অপরূপ প্রতিশোধ প্রশ্ন উত্তর )


  ❐ কবিতা থেকে ঠিক শব্দটি বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:

1.  পার না মুছিতে ----- ধার?

উত্তরঃ  নয়ন।


2.  ----- কারণে স্বার্থ দিয়া বলি।

উত্তরঃ  পরের।


3.  আপনারে লয়ে ---- রহিতে?

উত্তরঃ  বিব্রত।


4. ------  আমরা পরের তরে।

উত্তরঃ প্রত্যেকে।


❐ সঠিক উত্তরটির মাথায় (✔) এই চিহ্ন বসাও:


1. কি কারণে স্বার্থ দিয়া বলি।

(ক) নিজের।

(খ) পরের।

(গ) অপরের।

(ঘ) দেশের।

উত্তরঃ পরের।


2. ততই হৃদয় ভার।

(ক) বাড়িবে।

(খ) কমিবে।

(গ) কমিবে না।

(গ) থামিবে।

উত্তরঃ  বাড়িবে।


3.  পার না নয়ন ধার?

(ক) মুছিতে।

(খ) ছড়াতে।

(গ) শুকাতে।

(ঘ) ভাসাতে।

উত্তরঃ  মুছিতে।


4.  লয়ে বিব্রত রহিতে।

(ক) অপরকে।

(খ) দেশকে।

(গ) নিজেরে।

(ঘ) আপনারে।।

উত্তরঃ  আপনারে।


5. প্রত্যেকে পরের তরে।

(ক) আমরা।

(খ) তোমরা।

(গ) সকলে।

(ঘ) তারা।

উত্তরঃ  আমার।


❐ বন্ধনীর মধ্যে ঠিক উত্তরের পাশে টিক (✔) চিহ্ন দাও:

1. সুখ কবিতাটির কবি হলেন

(ক) মধূসুদন দত্ত।

(খ) কামিনি রায়।

(গ) রঞ্জন দাস।

(ঘ) জসিমউদ্দিন।

উত্তরঃ কামিনি রায়।


2.  এজীবন মন সকলি

(ক) দাও।

(খ) নাও।

(গ) খাও।

(ঘ) যাও।

উত্তরঃ  দাও।


3. যতই যতই ভাবিবে।

(ক) হাসিবে।

(খ) কাঁদিবে।

(গ) বলিবে।

(ঘ) কহিবে।।

উত্তরঃ  কাঁদিবে।


4.  পার না নয়ন ধার?

(ক) মুছিতে।

(খ) রাখিতে।

(গ) ধরিতে।

(ঘ) মারিতে।

উত্তরঃ  মুছিতে।


5. আমরা পরের তরে।

(ক) সকলে।

(খ) প্রত্যেকে।

(গ) একাকী।

(ঘ) তোমরা।

উত্তরঃ  প্রত্যেক।


❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

␧ দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাওঃ


1.  স্বার্থ কার জন্য বলি দিতে হবে?

উত্তরঃ  পরের জন্য বলি দিতে হবে?


2. হৃদয়ভার কীসে বাড়ে?

উত্তরঃ  সুখ সুখ করে কাঁদলে।


3. অবনিতে কেন আসা হয়?

উত্তরঃ  পরের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে।


❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি: 


1.  জীবন মন কবি কীসের জন্য দিতে বলেছেন?

উত্তরঃ  জীবন মন কবি পরের জন্য বিলিয়ে দিতে বলেছেন।


2. কবি কীসে হৃদয়ভার বাড়বে বলেছেন?

উত্তরঃ  কবি 'সুখ-সুখ' করে কাঁদতে নিষেধ করেছেন। কবির বক্তব্য 'সুখ-সুখ' করে যতই কাঁদবে ততই হৃদয় ভার বাড়বে।


3.  বিষাদ আমাদের মনে আসে কেন?

উত্তরঃ  আমরা যদি শুধু নিজেদের সুখের কথাই ভাবি এবং সুখ সুখ করে কাঁদি তাহলে সুখত আসবেই না কিন্তু দুঃখ যে আসন্ন প্রায় সেটা বলা নিশ্চিত। অর্থাৎ আমরা যদি নিজের সুখের কথাই ভাবি আরসেই কাঙ্খিত সুখ যদি না আসে তাহলে আমাদের মনে বিষাদ আসবে।


4. 'প্রত্যেকে আমরা পরের তরে'। অন্তর্নিহিত অর্থ পরিস্ফুট করো।

উত্তরঃ  অআলোচ্য কবিতায় কবি কামিনি রায় বলতে চেয়েছেন এই পৃথিবীতে আমরা জন্মেছি শুধু নিজের জন্যই নয় অপরের জন্য আমাদের জীবনকে বিলিয়ে দিতে হবে। অপরের জন্য নিজের সুখকে বিলিয়ে দেবার মধ্যে যে আনন্দ আছে সেই আনন্দ আর কোথাও নেই। পৃথিবীতে আমরা জন্মেছি মানুষ হয়ে। এতে অপরের সুখ দুঃখের সাথি হতে না পারলে মানুষ নামটির অর্থ সার্থক হয় না।


5. 'যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে/ততই বাড়িবে হৃদয় ভার' - বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ  অআলোচ্য কবিতায় কবি কামিনি রায় বলেছেন পরের জন্য নিজেকে বলি দিতে হবে। অপরের জন্য মৃত্যুবরণ করলে তাতেও সুখ। কবি মনে করেন সুখ সুখ করে কাঁদলে সুখ পাওয়া যায়না। সুখের জন্যে যতই সুখ করে কাঁদবে ততই ভাবিবে ততই হৃদয় ভার বেড়ে যাবে।


❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি: 


1.  'সুখ' কবিতার মূল বিষয়বস্তু তোমার নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ  পরের জন্য নিজের স্বার্থকে বিলিয়ে দিতে হবে, তাতেই সবথেকে বড়ো সুখ। পরের জন্য মৃত্যু হলে তাতেও সুখ। সুখ-সুখ করে কাঁদলে সুখ পাওয়া যায়না। পরের সুখের জন্য নিজের বিষাদ ভার লুকিয়ে রাখতে হবে। নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পৃথিবীতে কেউ আসেনি। সকলের জন্য সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমার পরের তরে।


2. পরহিত ব্রতে পার না রাখিতে/চাপিয়া আপন বিষাদ ভার? কবি ও কবিতার নাম লেখো। পরহিত বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন বিষাদ দূর করতে কবি কোন্ পথের নির্দেশ দিয়েছেন?

উত্তরঃ  কবি হলেন কামিনি রায় এবং কবিতার নাম 'সুখ'। পরহিত বলতে কবি অপরের কল্যাণকে বুঝিয়েছেন।

বিষাদ দূর করতে কবি পরের জন্য নিজের স্বার্থকে বিলিয়ে দিতে বলেছেন। সকলের হাসিমুখ দেখে নিজের চোখের জলকে মুছতে বলেছেন।


3.  'সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে' - অংশটির মূল বক্তব্য বিশদ ভাবে আলচনা করো।

উত্তরঃ  অআলোচ্য লাইন দুটিতে কবি বলতে চেয়েছেন আমার সকলে সকলের জন্য প্রতেকে আমরা পরের জন্য। কবির মতে পৃথিবীতে আমরা কেবল নিজের নিয়ে ভাবতে আসিনি, অপরের জন্যও আমাদের ভাবতে হবে। অপরের জন্য নিজের স্বার্থকে বলি দিতে হবে। নিজের কথা ভুলে গিয়ে পরের জন্য মৃত্যু বরণ করার মধ্যেও সুখ আছে। সকলের মুখে হাসি দেখে নিজের চোখের জলমুছতে হবে। নিজের নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পৃথিবীতে কেউ আসেনি।


4. 'পরার্থে জীবন'? এই শিরোনামে ১০০টি শব্দে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।

উত্তরঃ  বেশির ভাগ মানুষ নিজেকে বা নিজেদেরকে ' নিয়েই ব্যস্ত থাকে। নিজের সুখ যুবিধা বিলাসিতা লাভ করার জন্য মানুষ উন্মুখ হয়ে থাকে তাতে সবারই দুঃখ বাড়ে, কারোরই সুখ আসে না। যদি নিজের জন্য কিছু না ভেবে পরের জন্য ভাবি তাহলে জীবন হবে ধন্য। জন্ম হবে সার্থক। পরকে নিজের মত করে ভাবতে না শিকলে পরের উপকারে কথাও ভাবা যায় না। তাই পরকে আপন ভাবতে হবে আগে তারপর পারর্থে জীবন উৎষর্গ করার মানসিকতা গেেড়া উঠবে। অপরের ক্ষতি করতে যাবার সময় ভাবতে হবে যে ক্ষতিটা আমারই হচ্ছে। পরার্থে জীবন বিলিয়ে দিয়ে নিজের জীবন ধন্য করাই আমাদের ব্রত হওয়া উচিত।

তাই কবির ভাষায় বলি, সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।


No comments:

Post a Comment